সিঙ্গাপুরের নারীদের মধ্যে প্রচলিত একটি হরমোনজনিত সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিনের ভয় ও ভুল ধারণা ভাঙছে নতুন গবেষণা। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম নামে পরিচিত এই অবস্থাটি সব সময় উদ্বেগের কারণ নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে এটি নারীদের প্রজনন সময়কাল আরও দীর্ঘ করতে পারে—এমন ইঙ্গিত মিলেছে সাম্প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায়
গবেষণায় কী উঠে এলো
গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গাপুরে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত অধিকাংশ নারীর ক্ষেত্রে এর তুলনামূলক মৃদু রূপ দেখা যায়। এই নারীদের প্রজনন সম্ভাবনা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ফল সাধারণত ভালো থাকে। বিশ্বজুড়ে যেখানে প্রায় এক-দশমাংশ নারী এই সমস্যায় ভোগেন, সেখানে সিঙ্গাপুরের তথ্য নতুন আশার বার্তা দিচ্ছে।
চার ধরনের ভিন্ন বৈশিষ্ট্য
আন্তর্জাতিক এই গবেষণায় বিশ হাজারের কাছাকাছি নারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের চারটি ভিন্ন ধরন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের অংশগ্রহণকারীদের বড় একটি অংশ , যাদের শরীরে নির্দিষ্ট হরমোনের ভারসাম্য ভালো থাকে, শরীরের ওজন তুলনামূলক কম এবং সন্তান ধারণের ফলাফল বেশি ইতিবাচক।
দীর্ঘদিনের ধারণা বদলাচ্ছে
দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যাকে অনিয়মিত মাসিক, বন্ধ্যাত্ব, অতিরিক্ত ওজন ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হতো। তবে গবেষকেরা বলছেন, নতুন তথ্য প্রমাণ করছে যে এই রোগ নির্ণয় মানেই ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। বরং অনেক নারী স্বাভাবিকভাবেই বা চিকিৎসার সহায়তায় সফলভাবে সন্তান ধারণ করতে পারেন।
.jpg?updatedAt=1734591447786)
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সাক্ষ্য
গবেষণায় অংশ নেওয়া কয়েকজন নারীর অভিজ্ঞতাও এই ধারণাকে শক্তিশালী করেছে। কেউ কেউ কোনো দৃশ্যমান উপসর্গ ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আবার সহায়ক প্রজনন চিকিৎসার মাধ্যমে তুলনামূলক বেশি বয়সে সফল গর্ভধারণের নজির মিলেছে।
ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসার সম্ভাবনা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গবেষণা ভবিষ্যতে ব্যক্তিভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতির পথ খুলে দিচ্ছে। এক ধরনের চিকিৎসা সবার জন্য প্রযোজ্য—এই ধারণা থেকে সরে এসে রোগীর ধরন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া গেলে ফল আরও ভালো হতে পারে।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















