বন্যাকবলিত পরিবারের জন্য সহায়তা পৌঁছে দিতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। এখন থেকে ত্রাণকেন্দ্রে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের কর্তা এক হাজার রিঙ্গিতের নগদ সহায়তা পাবেন। আগে ত্রাণকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার তিন দিন পর এই অর্থ দেওয়া হতো। নতুন ব্যবস্থায় ঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ক্ষতিগ্রস্ত আসবাব মেরামত ও প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা সহজ হবে।
ত্রাণকেন্দ্রেই অর্থ প্রদান শুরু
উপপ্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ডক্টর আহমদ জাহিদ হামিদি জানিয়েছেন, ত্রাণকেন্দ্রে নিবন্ধন সম্পন্ন হলেই সহায়তার টাকা দেওয়া হবে। কুয়ানতানের পায়া বেসার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, নতুন এই ব্যবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের চাপ অনেকটাই কমবে। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পাহাংয়ের মুখ্যমন্ত্রী দাতুক সেরি ওয়ান রোশদি ওয়ান ইসমাইল এবং শিক্ষামন্ত্রী ফাদলিনা সিদেক।

সহায়তা বিতরণে অগ্রগতি
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদ হামিদি জানান, মোট সহায়তার প্রায় সাতাত্তর শতাংশ ইতিমধ্যে বিতরণ হয়েছে। প্রায় সাতচল্লিশ হাজার মানুষ এর আওতায় সহায়তা পেয়েছেন। বাকি অর্থ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা শিগগিরই পরিশোধ করবে। সব অর্থ রাষ্ট্রীয় সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় দফার বন্যায় বাড়তি সতর্কতা
উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর দ্বিতীয় ধাপে বৃষ্টিপাত আগের তুলনায় পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যের কথা জানান উপপ্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি মন্ত্রিসভাকেও জানানো হয়েছে। তিনি নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ও রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনা কঠোরভাবে মানার আহ্বান জানান।

উদ্ধার ও নিরাপত্তায় বাড়তি জনবল
প্রয়োজনে বন্যাকবলিত নয় এমন এলাকা থেকে সমাজকল্যাণ দপ্তরের কর্মী, পুলিশ ও সেনাসদস্যদের মোতায়েন করা হবে বলে জানান জাহিদ হামিদি। উদ্ধার, স্থানান্তর ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাং
সমাজকল্যাণ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চার হাজারের বেশি পরিবারের তেরো হাজারেরও বেশি মানুষ একশ এক ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য পাহাং। এছাড়া তেরেংগানু, কেলান্তান, জোহর, সেলাঙ্গর ও সারাওয়াকেও বন্যার প্রভাব পড়েছে।



সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















