ব্যয় ও প্রত্যাশার চাপ
২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিপুল বিনিয়োগের যৌক্তিকতা প্রমাণের চাপে পড়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত এক বছরে ডেটা সেন্টার, বিশেষায়িত চিপ ও এআই বিশেষজ্ঞ নিয়োগে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদনশীলতা ও নতুন আয়ের আশ্বাস দিলেও বিনিয়োগকারীরা এখন স্পষ্ট ফলের সময়সীমা জানতে চাইছেন, বিশেষ করে সুদের হার বেশি থাকা ও ভোক্তা প্রযুক্তি ব্যয়ে শ্লথতা দেখা দেওয়ায়।
বাস্তবতা বনাম প্রতিশ্রুতি
প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, এআইভিত্তিক স্বয়ংক্রিয়তা সফটওয়্যার উন্নয়ন থেকে গ্রাহকসেবা পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে ব্যয় কমাবে। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, স্বল্পমেয়াদে সুফল সবার জন্য সমান নাও হতে পারে। বড় মডেল প্রশিক্ষণে বিপুল বিদ্যুৎ ও কম্পিউটিং শক্তি প্রয়োজন, পাশাপাশি ডেটা ব্যবহার ও কপিরাইট নিয়ে নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে।
নীতিনির্ধারণ ও বাজারের দৃষ্টি
তবু বাজারে এআই নেতৃত্বদানকারী কোম্পানিগুলো এখনো ইতিবাচক মূল্যায়ন পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে নীতিনির্ধারকেরা উদ্ভাবন ও দায়বদ্ধতার ভারসাম্য খুঁজছেন। ২০২৬ সালে এই নীতিগুলো কীভাবে গড়ে ওঠে, তার ওপর এআই বিনিয়োগের গতি অনেকটাই নির্ভর করবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















