ওজন কমানোর ইনজেকশনের যুগ পেরিয়ে এবার বড়ির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন ক্ষুধা দমনকারী ওজন কমানোর বড়ির অনুমোদন মিলতেই খাদ্য ও ফাস্টফুড শিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস মিলছে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছর থেকেই খাবারের ধরন, পরিমাণ ও বিপণনে স্পষ্ট রূপান্তর দেখা যাবে।
বড়ির সহজতা বদলে দিচ্ছে ভোক্তার অভ্যাস
ইনজেকশনের বদলে বড়ি হওয়ায় অনেকেই এই ওষুধ ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। দাম তুলনামূলক কম এবং ব্যবহার সহজ হওয়ায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে ভোক্তার কেনাকাটায়। মানুষ এখন কম খাচ্ছে, বেছে খাচ্ছে এবং প্রোটিন ও আঁশসমৃদ্ধ খাবারের দিকে ঝুঁকছে।
খাবারের পরিমাণ কমছে, প্রোটিন বাড়ছে
খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে ছোট পরিমাণের খাবার, বেশি প্রোটিন ও আঁশযুক্ত পণ্যের দিকে ঝুঁকছে। প্যাকেটে ‘জিএলপি–১ ব্যবহারকারীর উপযোগী’ ধরনের বার্তা জুড়ছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, নোনতা স্ন্যাকস, মিষ্টি পানীয় ও বেকারি পণ্যের চাহিদা কমছে, আর দই, ফল ও স্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা বাড়ছে।
খরচ কমছে ঘরে ও বাইরে
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পরিবার এই ওষুধ ব্যবহার করছে, তারা মুদিদোকানে খরচ কমিয়েছে এবং ফাস্টফুডে ব্যয় আরও বেশি কমেছে। যদিও ওষুধ বন্ধ হলে খরচ আবার কিছুটা বাড়ে, তবু বড়ির সহজলভ্যতা মানুষকে দীর্ঘদিন এই অভ্যাসে রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেস্তোরাঁর মেনুতেও নতুন ধারা
রেস্তোরাঁগুলোও বদল আনছে। ছোট পরিমাণের খাবার, কম দামের বিকল্প এবং বেশি প্রোটিনের মেনু যোগ করা হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই—অতিরিক্ত না খেয়ে তৃপ্তি পাওয়ার সুযোগ তৈরি করা।
দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের ইঙ্গিত
বিশ্বজুড়ে স্থূলতার হার বেশি থাকায় এই ওষুধের বিস্তার খাদ্যশিল্পে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন বড়ি শুধু ওজন কমাবে না, মানুষের খাবার ভাবনাও বদলে দেবে।
#ওজন_কমানোর_বড়ি #খাদ্যশিল্প #স্বাস্থ্যকর_খাবার #প্রোটিন_খাবার #খাদ্য_বাজার #স্বাস্থ্য_খবর
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















