দখলদারিত্বের ছায়ায় আরও ঘনীভূত হচ্ছে পশ্চিম তীর। ইসরায়েল অধিকৃত এই ভূখণ্ডে বসতি স্থাপনকারীদের সংগঠিত সহিংসতায় ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো ঘরছাড়া হচ্ছে বলে উঠে এসেছে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। পাহাড়চূড়ার ছোট ছোট অবৈধ ঘাঁটি থেকে পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে জমি দখল ও স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সংগঠিত হামলার অভিযোগ
পশ্চিম তীরের দেইর দিবওয়ান গ্রামের আশপাশে গড়ে ওঠা পাহাড়চূড়ার ঘাঁটি থেকে নেমে আসা হামলাকারীরা বসতবাড়ি ও খামারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বেদুইন পরিবারগুলো বলছে, রাতের অন্ধকারে পেট্রোল বোমা ছুড়ে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তারা আর কখনো নিজেদের জমিতে ফিরতে পারবেন না।
সহিংসতার পরিসংখ্যান ও উদ্বেগ
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর বেসামরিক হামলার ঘটনা ছিল সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বেশি। শত শত মানুষ আহত হয়েছেন এবং দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন বসতি ও ঘাঁটি। শান্তি ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, এই সহিংসতা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং একটি ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত প্রক্রিয়া।

রাষ্ট্রীয় নীতির ছায়া
ইসরায়েলের ভেতরেই স্বীকৃতি রয়েছে যে, অনেক অবৈধ ঘাঁটি পরে সরকারি স্বীকৃতি পেয়ে পূর্ণাঙ্গ বসতিতে রূপ নেয়। সাম্প্রতিক সময়ে আরও নতুন বসতির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে আরও সংকুচিত করছে বলে বিশ্লেষকদের মত। যদিও ইসরায়েল সরকার এসব হামলাকে একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর কাজ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও মানবাধিকার প্রশ্ন
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পশ্চিম তীরে সব ধরনের বসতি কার্যক্রম অবৈধ বলে বিবেচিত। তবে ইসরায়েল এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করছে, ধারাবাহিক সহিংসতা ও জমি দখল ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব ও ভবিষ্যৎকে গভীর সংকটে ফেলছে।
#পশ্চিমতীর #ইসরায়েলফিলিস্তিন #বসতিসহিংসতা #মানবাধিকার #ফিলিস্তিন
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















