ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, নাগরিক জীবনে স্বস্তি আনার লক্ষ্যেই তাঁর সরকার সংস্কার কর্মসূচি আরও শক্তিশালীভাবে এগিয়ে নেবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের একটি আলোচনার জবাবে তিনি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন চাপ কমানোই প্রকৃত সংস্কারের আসল মানদণ্ড। সরকার সেই পথেই কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও এই গতি অব্যাহত থাকবে
সহজ জীবন নিশ্চিত করতে সংস্কার
প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, সরকারের নেওয়া নীতিগুলো মানুষের ক্ষমতায়ন ও আস্থার পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শাসনব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে, যেখানে জটিলতার বদলে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ফলাফলে। করব্যবস্থা সরল করা, দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং শ্রম আইন সহজীকরণের মাধ্যমে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য কাজকর্ম সহজ হয়েছে।
কর ও আয়ের ক্ষেত্রে স্বস্তি
নতুন করনীতির ফলে সাধারণ মানুষের জন্য কর ছাড় বাস্তব হয়েছে। নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত আয় করমুক্ত হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর হাতে বাড়তি অর্থ থাকছে। এতে তারা খরচ, সঞ্চয় ও বিনিয়োগে বেশি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। পাশাপাশি নতুন আয়কর আইন সরাসরি করা ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও ন্যায্য করে তুলেছে।

ক্ষুদ্র উদ্যোগ ও শ্রম সংস্কার
সরকারি ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বিনিয়োগ ও লেনদেন সীমা বাড়ানো হয়েছে। এতে এসব প্রতিষ্ঠান ঋণ ও কর সুবিধা ধরে রেখেই ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারছে। একই সঙ্গে একাধিক শ্রম আইন একত্র করে সহজ কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, যাতে শ্রমিক অধিকার স্পষ্ট হয়েছে এবং নারীদের মাতৃত্ব ও কর্মস্থলের সুরক্ষা আরও জোরদার হয়েছে।
ব্যবসা ও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব
সরল করহার, দ্রুত নিবন্ধন ও দ্রুত কর ফেরতের ব্যবস্থার ফলে ব্যবসায়িক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। উৎসব মৌসুমে রেকর্ড কেনাকাটার পরিসংখ্যানই এর প্রমাণ বলে মনে করছে সরকার।
তরুণদের উদ্দেশে আহ্বান
এদিকে জাতীয় এক অনুষ্ঠানে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়স সাফল্যের বাধা নয়। স্বপ্ন বড় করতে হবে এবং নীতির পথে থেকে দেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। নতুন শিক্ষানীতির মাধ্যমে ব্যবহারিক শিক্ষা ও চিন্তাশক্তি গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















