লাহোর থেকে রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদির নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে গণ রাজপথ আন্দোলন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে লাহোরের কেন্দ্রস্থল লিবার্টি চত্বরে বড় জনসমাবেশ আয়োজন করা হবে। দলীয় নেতারা বলছেন, এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য সংবিধান, আইন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান-এর মুক্তি নিশ্চিত করা।
লাহোরে সমাবেশের প্রস্তুতি
পিটিআইয়ের পাঞ্জাব প্রধান সংগঠক আলিয়া হামজা মালিক জানিয়েছেন, দলের প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশ অনুযায়ী এই গণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লাহোরে দলের টিকিটধারী, নেতা-কর্মী ও আইনজীবীদের লিবার্টি চত্বরে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, এটি হবে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যখন লাহোরের প্রধান সড়ক পরিণত হবে মুক্তির দাবিতে গণমিছিলে।
কারাবন্দি ইমরান ও আইনি লড়াই
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন। একই মামলায় তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মে মাসের আন্দোলন ঘিরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীন একাধিক মামলার মুখে রয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে তিনি দেশব্যাপী প্রতিবাদের ডাক দেন এবং আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সংলাপ ও বিরোধী দলের উদ্বেগ
পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা মালিক আহমদ খান ভাচার সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, অধস্তন আদালতের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে, যা সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদালতের এখতিয়ার।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অঙ্গীকার
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদি জানিয়েছেন, ‘সত্যিকারের স্বাধীনতা’ অর্জনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই পিটিআইয়ের পথ। তিনি বলেন, সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে এবং সেই অধিকার প্রয়োগ করেই আন্দোলন চলবে। শিক্ষার্থী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আবেগ নয়, সংগঠন ও রাজনৈতিক সচেতনতার মাধ্যমেই এই সংগ্রাম এগোবে। তাঁর মতে, দীর্ঘমেয়াদি ও শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রস্তুতিই রাজপথ আন্দোলনের সাফল্যের চাবিকাঠি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















