প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সফর বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক বিনিময় এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একই সঙ্গে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্র অতিথি ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ
রোববার ঢাকায় রাষ্ট্র অতিথি ভবনে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ–পাকিস্তান বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দেন এবং আশা প্রকাশ করেন, হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের মেয়াদকালে দুই দেশ নতুন বিনিয়োগের সুযোগ ও যৌথ উদ্যোগ খুঁজে পাবে।
সহযোগিতা বিস্তারের আলোচনা
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিমান যোগাযোগের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হন।
বাণিজ্যে অগ্রগতি ও শিক্ষায় আগ্রহ

পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় বিশ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী মহল নতুন বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধানে সক্রিয় রয়েছে। তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সাংস্কৃতিক বিনিময় বেড়েছে এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানোপ্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে আগ্রহ উল্লেখযোগ্য।
চিকিৎসা সহযোগিতা ও বিমান যোগাযোগ
ইমরান হায়দার বলেন, লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য পাকিস্তানের শীর্ষ হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ খাতে প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক সুযোগ দিতে পাকিস্তান প্রস্তুত। তিনি জানান, ঢাকা ও করাচির মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল আগামী জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যান্য উপস্থিতি
এ বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















