বড় বিমানবন্দরের কোলাহল, দীর্ঘ নিরাপত্তা পরীক্ষা আর দূরত্বের ভোগান্তি এড়িয়ে এখন অনেক যাত্রীই ঝুঁকছেন ছোট বিমানবন্দরের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এমন প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। যাঁরা বাড়ির কাছের ছোট বিমানবন্দর ব্যবহার করছেন, তাঁরা বলছেন সময় বাঁচছে, মানসিক চাপ কমছে, আর ভ্রমণটা হয়ে উঠছে অনেক বেশি স্বস্তির।
সহজ যাত্রা, কম অপেক্ষা
ছোট বিমানবন্দরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো সহজ প্রবেশ আর দ্রুত প্রক্রিয়া। পার্কিং কাছেই, নিরাপত্তা পরীক্ষায় লাইন নেই বললেই চলে, আর টার্মিনালের ভেতরে হাঁটার দূরত্বও কম। অনেক যাত্রী বলছেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে বিমান ধরতে যে সময় লাগে, তা বড় বিমানবন্দরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।
পরিচিত পরিবেশে ব্যক্তিগত সেবা
ছোট বিমানবন্দরে কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের সম্পর্ক অনেক বেশি ব্যক্তিগত। নিয়মিত যাত্রীদের অনেক সময় নাম ধরেই চেনেন কর্মীরা। ব্যাগ জমা দেওয়া থেকে শুরু করে গেট পর্যন্ত পৌঁছানো, সবকিছুতেই থাকে আন্তরিক সহযোগিতা। এই মানবিক স্পর্শটাই অনেকের কাছে বড় বিমানবন্দরের জাঁকজমকের চেয়ে বেশি মূল্যবান হয়ে উঠছে।

সংযোগ ফ্লাইটের ঝামেলা সত্ত্বেও আকর্ষণ
ছোট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইট সব গন্তব্যে না থাকায় অনেক সময় সংযোগ ফ্লাইট নিতে হয়। তবু বহু যাত্রী মনে করছেন, বাড়ি থেকে দূরের বড় হাব বিমানবন্দরে তিন চার ঘণ্টা গাড়ি চালানোর চেয়ে একবার সংযোগ নেওয়াই ভালো। ভ্রমণ শেষে দীর্ঘ ড্রাইভের ক্লান্তি এড়াতে পারাটাই তাঁদের কাছে বড় সুবিধা।
নতুন এয়ারলাইনের আগমন বদলাচ্ছে চিত্র
স্বল্পমূল্যের নতুন এয়ারলাইনের আগমনে ছোট বিমানবন্দরগুলোর গুরুত্ব আরও বেড়েছে। আগে যেসব রুটে ফ্লাইট ছিল না, এখন সেসব জায়গায় সরাসরি উড়াল মিলছে। এতে ছোট শহর আর গ্রামীণ এলাকার যাত্রীরাও সহজে আকাশপথে যুক্ত হতে পারছেন।
বড় সুবিধা ছোট পরিসরে
বড় বিমানবন্দরের বিলাসী লাউঞ্জ বা বিশাল টার্মিনাল না থাকলেও ছোট বিমানবন্দরের কার্যকারিতা আর স্বাচ্ছন্দ্যই অনেক যাত্রীকে স্থায়ীভাবে আকৃষ্ট করছে। সময়, খরচ আর মানসিক স্বস্তির হিসাব মিলিয়ে অনেকেই বলছেন, ছোট বিমানবন্দরই তাঁদের জন্য সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পছন্দ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















