০২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা: জামায়াত নেতা তাহের ইসরায়েলের পদক্ষেপের পর তুরস্কে সোমালি প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক বৈঠক সুইস কোম্পানির সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন এক এনআইডিতে পাঁচ সিম সীমা গুজব: টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সেনা নিহতের সংখ্যা দ্বিগুণ পল্লবীতে অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সরকারি ক্রয় কমিটিতে সার, চাল ও টার্মিনাল প্রকল্প অনুমোদন পরিবারের ভিতরে গুপ্তচরবৃত্তি, কারাগারে মৃত্যু: আসাদের সিরিয়ার গোপন নথিতে ভয়ংকর বাস্তবতা তুরস্কের পথে ইউরোপে রুশ জ্বালানি প্রবাহ, নিষেধাজ্ঞার মাঝেও বন্ধ হচ্ছে না তেলবাহী জাহাজ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে খনিজের লড়াই: কুক দ্বীপপুঞ্জে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের নীরব প্রতিযোগিতা

ভারতের প্রতিনিধিত্বে ঢাকায় এসেছেন জয়শঙ্কর, খালেদা জিয়ার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকায় এসেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় তিনি ঢাকায় পৌঁছান বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

ভারত সরকারের বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও উত্তরাধিকার ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক সম্পর্ককে দিকনির্দেশনা দেবে। সেই বিশ্বাস থেকেই ভারত সরকার ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে তার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এই সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন ড. জয়শঙ্কর।

ঢাকায় পৌঁছানোর পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, স্বল্প নোটিশে হওয়া এই সফরের মূল উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ সম্মান জানানো।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে তিনি ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দেশটি সফর করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালের মার্চ মাসে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান। সেই সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক বার্তায় তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ঢাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাতের স্মৃতি তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, খালেদা জিয়ার চিন্তাধারা ও অবদান ভবিষ্যতেও ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে পথ দেখাবে।

বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির উন্নয়নে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জোরদারে খালেদা জিয়ার ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে তার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দেওয়ার প্রার্থনা করেন।

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে দাফন করা হবে।

Page
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা: জামায়াত নেতা তাহের

ভারতের প্রতিনিধিত্বে ঢাকায় এসেছেন জয়শঙ্কর, খালেদা জিয়ার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে

০১:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকায় এসেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় তিনি ঢাকায় পৌঁছান বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

ভারত সরকারের বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও উত্তরাধিকার ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক সম্পর্ককে দিকনির্দেশনা দেবে। সেই বিশ্বাস থেকেই ভারত সরকার ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে তার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এই সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন ড. জয়শঙ্কর।

ঢাকায় পৌঁছানোর পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, স্বল্প নোটিশে হওয়া এই সফরের মূল উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ সম্মান জানানো।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে তিনি ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দেশটি সফর করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালের মার্চ মাসে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান। সেই সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক বার্তায় তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ঢাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাতের স্মৃতি তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, খালেদা জিয়ার চিন্তাধারা ও অবদান ভবিষ্যতেও ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে পথ দেখাবে।

বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির উন্নয়নে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জোরদারে খালেদা জিয়ার ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে তার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দেওয়ার প্রার্থনা করেন।

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে দাফন করা হবে।

Page