০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

অহিংসায় অবনত মস্তক

  • Sarakhon Report
  • ১২:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
  • 81

নিয়ান্ডারথালদের সভ্যতা হোমো সেপিয়ান্সের আগে বলেই ধরা হয়। সেই বরফ যুগের আগে নিয়ান্ডারথাল রমনী গাছ থেকে ফুল হাতে নিয়েছিলো। কাঁটা নেয়নি। তাই সুন্দর বা হিংসাহীন আনন্দিত হবার শুরুটা যে কবে তার সঠিক হিসাব পৃথিবী জানে না।

এরপরে সভ্যতার ক্রম বিকাশে কাঁটার বিপরীতে ফুল, অসুন্দরের বিপরীতে সুন্দর আর হিংসার বিপরীতে অহিংসা- এই যাত্রা পাশাপাশিই চলছে। বাস্তবে এ সভ্যতার এক গোপন ও নীরব ফল্গুধারা।

তবে মাঝে মাঝে দেখা যায়, এমন কেউ কেউ এসে যায় সভ্যতার এই পথে- যার মনের ভেতর থাকে একটা বিশাল বাহু। মনের সেই বাহুর শক্তি দিয়ে  পাথরের পাহাড় থেকে নদীকে টেনে এনে করে দেয় স্রোতিস্মীনি। আর সে নদী তখন অহিংসার স্রোতটি অনেকটা ভূমিতে প্লাবিত শুধু করে না, সেখানে নতুন নতুন ফুলও ফোঁটায়।

এমনি এক মনের বাহু’র শক্তি গৌতম বুদ্ধ বা সিদ্ধার্থ। যিনি ভারতীয় সভ্যতায় অহিংসার বা সুন্দরের নদীকে এমন স্রোতস্মীনি করেছিলেন যে তার প্লাবন বয়ে যায় গোটা এশিয়ার ভূখন্ড জুড়ে,- গঙ্গা আর মেকং বা মা-গঙ্গায় একই জলধারা প্রবাহিত হয়।

এই জলধারার ওপর যখন রক্তের বা কাঁটার ছাপ আসে তখন ধরে নিতে হয় সিদ্ধার্থ যে সিদ্ধি লাভ করেছিলো তা থেকে এ ভূমির মানুষ সরে যাচ্ছে।

তবে তারপরেও হতাশ হয় না সভ্যতা। কারণ যে স্রোত ফুল ফোটাঁয়, তাকে মরুপথে ঠেলে দেয়া যায় তবে সে মরু চিরকালের নয়। চিরকালের থাকে সিদ্ধি বা জ্ঞান যার প্রতিশব্দ বুদ্ধ। যেখানে শান্তি ও অহিংসায় অবনত সকল মস্তক।

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

অহিংসায় অবনত মস্তক

১২:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

নিয়ান্ডারথালদের সভ্যতা হোমো সেপিয়ান্সের আগে বলেই ধরা হয়। সেই বরফ যুগের আগে নিয়ান্ডারথাল রমনী গাছ থেকে ফুল হাতে নিয়েছিলো। কাঁটা নেয়নি। তাই সুন্দর বা হিংসাহীন আনন্দিত হবার শুরুটা যে কবে তার সঠিক হিসাব পৃথিবী জানে না।

এরপরে সভ্যতার ক্রম বিকাশে কাঁটার বিপরীতে ফুল, অসুন্দরের বিপরীতে সুন্দর আর হিংসার বিপরীতে অহিংসা- এই যাত্রা পাশাপাশিই চলছে। বাস্তবে এ সভ্যতার এক গোপন ও নীরব ফল্গুধারা।

তবে মাঝে মাঝে দেখা যায়, এমন কেউ কেউ এসে যায় সভ্যতার এই পথে- যার মনের ভেতর থাকে একটা বিশাল বাহু। মনের সেই বাহুর শক্তি দিয়ে  পাথরের পাহাড় থেকে নদীকে টেনে এনে করে দেয় স্রোতিস্মীনি। আর সে নদী তখন অহিংসার স্রোতটি অনেকটা ভূমিতে প্লাবিত শুধু করে না, সেখানে নতুন নতুন ফুলও ফোঁটায়।

এমনি এক মনের বাহু’র শক্তি গৌতম বুদ্ধ বা সিদ্ধার্থ। যিনি ভারতীয় সভ্যতায় অহিংসার বা সুন্দরের নদীকে এমন স্রোতস্মীনি করেছিলেন যে তার প্লাবন বয়ে যায় গোটা এশিয়ার ভূখন্ড জুড়ে,- গঙ্গা আর মেকং বা মা-গঙ্গায় একই জলধারা প্রবাহিত হয়।

এই জলধারার ওপর যখন রক্তের বা কাঁটার ছাপ আসে তখন ধরে নিতে হয় সিদ্ধার্থ যে সিদ্ধি লাভ করেছিলো তা থেকে এ ভূমির মানুষ সরে যাচ্ছে।

তবে তারপরেও হতাশ হয় না সভ্যতা। কারণ যে স্রোত ফুল ফোটাঁয়, তাকে মরুপথে ঠেলে দেয়া যায় তবে সে মরু চিরকালের নয়। চিরকালের থাকে সিদ্ধি বা জ্ঞান যার প্রতিশব্দ বুদ্ধ। যেখানে শান্তি ও অহিংসায় অবনত সকল মস্তক।