০১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ভারতের পরিবর্তিত নাগরিক আইন “সিএএ” সে দেশের কেবিনেটে পাশ হলো

  • Sarakhon Report
  • ০৮:২১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • 14

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সে দেশের নাগরিকত্ব আইন যা ২০১৯ সালে সে দেশের আইন সভায় পরিবর্তন করা হয়েছিলো তা আজ সে দেশের কেবিনেটে পাশ হয়েছে।

এই আইনের ফলে ২০১৪’র আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যে সকল শিখ, বৌদ্ধ,হিন্দু ও পার্সি নাগরিক ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে ওই দেশে আশ্রয় নিয়েছে- তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন, অনলাইন অথবা মোবাইলে করা যাবে।

সেদেশের বিরোধী দল মনে করেছে , ক্ষমতাসীনরা তাদের নিজস্ব ভোটের স্বার্থে লোকসভা নির্বাচনের আগেই এটা কেবিনেটে পাশ করলো।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল নেতা রাহুল গান্ধী সেদেশের বেশ কয়েকটি টেলিভিশন ও পত্রিকাকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,বিষয়টি রাজনৈতিক ও নির্বাচন কেন্দ্রিক ।

অন্যদিকে সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাতকারে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জোর হুশিয়ারি দিয়েছেন, তিনি বলেছেন,  তার রাজ্যে এই আইন নিয়ে কোন গোষ্টিকে লক্ষ্য করা হলে বা বৈষম্যের মধ্যে ফেলে দেয়া হলে তিনি সেটা রুখে দেবেন।

অন্যদিকে আইন কেবিনেটে  নোটিফাইয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানোর সময় ভারতের  ইউনিয়ন মিনিস্টার ও বিজেপির অন্যতম নেতা অমিত শাহ জানিয়েছেন, এর সঙ্গে রাজনীতির বা বৈষম্যের কোন যোগ নেই।

তবে দিল্লিস্থ একজন সম্পাদককে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন শুধুমাত্র কেবিনেটে পাশ হলো। এর পরেও অনেকগুলো ধাপ আছে আইনটি বাস্তবায়নে যেতে। যা কমপক্ষে দুই মাসেরও বেশি সময় লাগবে।কারণ এটাকে আবারও পার্লামেন্টে পাঠাতে হবে। তাই এ নির্বাচনের আগে এই আইন কার্যকর করার সময় নেই।

তবে নির্বাচনের আগে বিষয়টি কেবিনেটে পাশ হওয়ায় নানা পক্ষ বিষয়টি নির্বাচনে নানান ভাবে ব্যবহারের সুযোগ পেলেও পেতে পারেন।

ভারতের পরিবর্তিত নাগরিক আইন “সিএএ” সে দেশের কেবিনেটে পাশ হলো

০৮:২১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সে দেশের নাগরিকত্ব আইন যা ২০১৯ সালে সে দেশের আইন সভায় পরিবর্তন করা হয়েছিলো তা আজ সে দেশের কেবিনেটে পাশ হয়েছে।

এই আইনের ফলে ২০১৪’র আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যে সকল শিখ, বৌদ্ধ,হিন্দু ও পার্সি নাগরিক ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে ওই দেশে আশ্রয় নিয়েছে- তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদন, অনলাইন অথবা মোবাইলে করা যাবে।

সেদেশের বিরোধী দল মনে করেছে , ক্ষমতাসীনরা তাদের নিজস্ব ভোটের স্বার্থে লোকসভা নির্বাচনের আগেই এটা কেবিনেটে পাশ করলো।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল নেতা রাহুল গান্ধী সেদেশের বেশ কয়েকটি টেলিভিশন ও পত্রিকাকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,বিষয়টি রাজনৈতিক ও নির্বাচন কেন্দ্রিক ।

অন্যদিকে সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাতকারে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জোর হুশিয়ারি দিয়েছেন, তিনি বলেছেন,  তার রাজ্যে এই আইন নিয়ে কোন গোষ্টিকে লক্ষ্য করা হলে বা বৈষম্যের মধ্যে ফেলে দেয়া হলে তিনি সেটা রুখে দেবেন।

অন্যদিকে আইন কেবিনেটে  নোটিফাইয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানোর সময় ভারতের  ইউনিয়ন মিনিস্টার ও বিজেপির অন্যতম নেতা অমিত শাহ জানিয়েছেন, এর সঙ্গে রাজনীতির বা বৈষম্যের কোন যোগ নেই।

তবে দিল্লিস্থ একজন সম্পাদককে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন শুধুমাত্র কেবিনেটে পাশ হলো। এর পরেও অনেকগুলো ধাপ আছে আইনটি বাস্তবায়নে যেতে। যা কমপক্ষে দুই মাসেরও বেশি সময় লাগবে।কারণ এটাকে আবারও পার্লামেন্টে পাঠাতে হবে। তাই এ নির্বাচনের আগে এই আইন কার্যকর করার সময় নেই।

তবে নির্বাচনের আগে বিষয়টি কেবিনেটে পাশ হওয়ায় নানা পক্ষ বিষয়টি নির্বাচনে নানান ভাবে ব্যবহারের সুযোগ পেলেও পেতে পারেন।