০২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ইন্ডিজেনাস পিপলস ডে: উৎসবের সাথে বাস্তব দাবি আমেরিকার এলএনজি রপ্তানি বাড়ানোর চাপ: দামের সমীকরণ কী বলছে ভারতে গুগলের ১৫ বিলিয়ন ডলারের এআই ডেটা সেন্টার মার্কিন–চীন নতুন বন্দর ফি: সরবরাহ শৃঙ্খলে চাপ ভাতা–ভাড়াভাতা সমতায় দাবিতে এমপিও শিক্ষকদের ‘সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে ফিরতে হতে পারে বেশির ভাগ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে সারাদেশে ২৭০ রেস্টুরেন্টে বিকাশে পেমেন্টে পিৎজায় সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ছাড় এবারে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে দিল্লিতে তালেবান মন্ত্রীর নতুন সাংবাদিক সম্মেলন বান্দরবানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় সিএমএইচে স্থানান্তর ফারিয়া ইয়াসমিন হচ্ছেন বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক

চাকসু কি ডাকসু ও জাকসুর পথেই হাঁটছে?—চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটের হাওয়া, উত্তেজনায় শিক্ষার্থীরা

৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘ বিরতির পর এই নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস এখন উৎসবমুখর। প্রচারণার শেষ মুহূর্তে ছাত্র সংগঠনগুলো মাঠে নেমেছে পূর্ণ উদ্দীপনায়, আর শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করছে এক শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোটের। তবে প্রশ্ন উঠেছে—চাকসু কি ডাকসু ও জাকসুর মতো বিতর্কের মুখে পড়বে, নাকি দেখাবে নতুন দৃষ্টান্ত?

প্রচারণার উত্তেজনায় মুখর ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এই মুহূর্তে যেন রাজনৈতিক উৎসবের বুকে—চাকসু নির্বাচনের প্রচারণা প্রায় শেষ পর্যায়ে। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সময় শেষ হবে। প্রার্থীরা এবং তাদের অনুসারীরা ব্যস্ত ফ্লায়ার বিতরণ, মিছিল, এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলায়—সবই চলছে অবিরামভাবে।

প্রধান কার্যালয়, হল এলাকা, যত্রতত্র ছাত্রবহুল স্থান—জারুলতলা’র মতো জায়গায় প্রচারণার শব্দ ও আলো ছড়িয়ে পড়েছে।

ঈদে ভোটের হাওয়া!

“যারা জয়ী হবেন, তাদের প্রতিশ্রুতি রাখার আশা করছি,” বললেন তাসলিমা বেগম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। অনেকে আরও বলছেন—নির্বাচন হোক উৎসবমুখর, সুস্থ পরিবেশে; পরাজিত পক্ষও যেন মর্যাদাপূর্ণভাবে বিজয়ীদের স্বাগত জানাতে পারে।

৩৫ বছরের বিরতির পর ভোটের আমেজ

এই বছরের চাকসু নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে—কারণ প্রায় ৩৫ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে যেন ভোট প্রক্রিয়া হয় স্বচ্ছ ও নির্বিঘ্ন।

ভোট হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত, মোট ৬০টি কেন্দ্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি একাডেমিক ভবনে। ১৫টি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন, এবং প্রতিটি শিক্ষার্থী ৪০টি পদে ভোট দিতে পারবেন। ভোট গণনায় ব্যবহার হবে ওএমআর (Optical Mark Recognition) প্রযুক্তি। গোপন কেবিন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও নির্বাচনী নিরীক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আনুমানিক ৪০০–৫০০ জন করে শিক্ষার্থী প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট দেবেন। মোট নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ২৭,৫১৬। চাকসুর ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল সংসদে প্রার্থী ৪৯৩ জন। নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মুনির উদ্দিন জানিয়েছেন, পাঁচটি একাডেমিক ভবনই ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে, এবং মোট ৬০টি গোপন কেবিন থাকবে।

ডাকসুর তুলনায় জাকসুতে নারীদের অংশগ্রহণ দ্বিগুণ

জাকসু ও ডাকসু নির্বাচনের প্রভাব: নতুন প্রেক্ষাপট

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনের উত্তাপ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ছাত্রসংগঠন নির্বাচনের প্রভাবেও বাড়ছে—বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়ার কারণে।

জাকসু নির্বাচন ও বিতর্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয় ভোটগ্রহণের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর। আবদুর রশিদ জিতু ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মজহারুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। তবে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে নির্বাচন কমিশন ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বেশ কয়েকজন প্রার্থী নতুন করে নির্বাচন দাবিও করেছেন।

একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভোটে প্রভাব বিস্তার ও অনিয়মের অভিযোগে বিতর্ক দেখা দেয়। কিছু প্রার্থীর অতীত কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যা নির্বাচনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

উত্তর প্রতিদিন

ডাকসু নির্বাচন ও প্রতিক্রিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে শিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্যভাবে বিজয়ী হন, যার মধ্যে শাদিক কায়েম ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে নির্বাচনকে ঘিরে অনিয়ম, প্রভাব খাটানো ও স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

শিক্ষক সংগঠন “সাদা দল” জানায়, যদি নির্বাচনে বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচন করা উচিত। ছাত্র–শিক্ষক উভয় পক্ষই এই অনিয়মে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

ভবিষ্যতের দিশা ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুধুই ক্যাম্পাস রাজনীতির প্রতিফলন নয়—এটি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গঠনের সূচনাও।

যদি নির্বাচনের পর বিজয়ী ও পরাজিত উভয় পক্ষ পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তবে এই নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ ঘটাতে পারে।

তবে, যদি আগের মতো অনিয়ম ও অভিযোগ থেকে যায়, তাহলে ছাত্ররাজনীতির ওপর শিক্ষার্থীদের আস্থা আরও দুর্বল হতে পারে।

জাকসু ও ডাকসুর অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জাগিয়েছে—এই নির্বাচন কি হবে নতুন দৃষ্টান্ত, নাকি পুরোনো বিতর্কের পুনরাবৃত্তি?

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন অপেক্ষায়—তাদের নির্বাচনের মাধ্যমে যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়, যেখানে রাজনীতি হবে দায়িত্বশীলতার ও স্বচ্ছতার প্রতীক।

#চট্টগ্রামবিশ্ববিদ্যালয় #চাকসু #ডাকসু #জাকসু #ছাত্ররাজনীতি #নির্বাচনীউৎসব #বাংলাদেশশিক্ষাঙ্গন #ক্যাম্পাসনির্বাচন  #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্ডিজেনাস পিপলস ডে: উৎসবের সাথে বাস্তব দাবি

চাকসু কি ডাকসু ও জাকসুর পথেই হাঁটছে?—চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটের হাওয়া, উত্তেজনায় শিক্ষার্থীরা

১১:৩২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। দীর্ঘ বিরতির পর এই নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাস এখন উৎসবমুখর। প্রচারণার শেষ মুহূর্তে ছাত্র সংগঠনগুলো মাঠে নেমেছে পূর্ণ উদ্দীপনায়, আর শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করছে এক শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোটের। তবে প্রশ্ন উঠেছে—চাকসু কি ডাকসু ও জাকসুর মতো বিতর্কের মুখে পড়বে, নাকি দেখাবে নতুন দৃষ্টান্ত?

প্রচারণার উত্তেজনায় মুখর ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এই মুহূর্তে যেন রাজনৈতিক উৎসবের বুকে—চাকসু নির্বাচনের প্রচারণা প্রায় শেষ পর্যায়ে। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সময় শেষ হবে। প্রার্থীরা এবং তাদের অনুসারীরা ব্যস্ত ফ্লায়ার বিতরণ, মিছিল, এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলায়—সবই চলছে অবিরামভাবে।

প্রধান কার্যালয়, হল এলাকা, যত্রতত্র ছাত্রবহুল স্থান—জারুলতলা’র মতো জায়গায় প্রচারণার শব্দ ও আলো ছড়িয়ে পড়েছে।

ঈদে ভোটের হাওয়া!

“যারা জয়ী হবেন, তাদের প্রতিশ্রুতি রাখার আশা করছি,” বললেন তাসলিমা বেগম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। অনেকে আরও বলছেন—নির্বাচন হোক উৎসবমুখর, সুস্থ পরিবেশে; পরাজিত পক্ষও যেন মর্যাদাপূর্ণভাবে বিজয়ীদের স্বাগত জানাতে পারে।

৩৫ বছরের বিরতির পর ভোটের আমেজ

এই বছরের চাকসু নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে—কারণ প্রায় ৩৫ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে যেন ভোট প্রক্রিয়া হয় স্বচ্ছ ও নির্বিঘ্ন।

ভোট হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত, মোট ৬০টি কেন্দ্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি একাডেমিক ভবনে। ১৫টি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন, এবং প্রতিটি শিক্ষার্থী ৪০টি পদে ভোট দিতে পারবেন। ভোট গণনায় ব্যবহার হবে ওএমআর (Optical Mark Recognition) প্রযুক্তি। গোপন কেবিন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও নির্বাচনী নিরীক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আনুমানিক ৪০০–৫০০ জন করে শিক্ষার্থী প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট দেবেন। মোট নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ২৭,৫১৬। চাকসুর ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল সংসদে প্রার্থী ৪৯৩ জন। নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মুনির উদ্দিন জানিয়েছেন, পাঁচটি একাডেমিক ভবনই ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে, এবং মোট ৬০টি গোপন কেবিন থাকবে।

ডাকসুর তুলনায় জাকসুতে নারীদের অংশগ্রহণ দ্বিগুণ

জাকসু ও ডাকসু নির্বাচনের প্রভাব: নতুন প্রেক্ষাপট

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনের উত্তাপ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ছাত্রসংগঠন নির্বাচনের প্রভাবেও বাড়ছে—বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়ার কারণে।

জাকসু নির্বাচন ও বিতর্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয় ভোটগ্রহণের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর। আবদুর রশিদ জিতু ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মজহারুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। তবে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে নির্বাচন কমিশন ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বেশ কয়েকজন প্রার্থী নতুন করে নির্বাচন দাবিও করেছেন।

একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভোটে প্রভাব বিস্তার ও অনিয়মের অভিযোগে বিতর্ক দেখা দেয়। কিছু প্রার্থীর অতীত কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যা নির্বাচনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

উত্তর প্রতিদিন

ডাকসু নির্বাচন ও প্রতিক্রিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে শিবির–সমর্থিত প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্যভাবে বিজয়ী হন, যার মধ্যে শাদিক কায়েম ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে নির্বাচনকে ঘিরে অনিয়ম, প্রভাব খাটানো ও স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

শিক্ষক সংগঠন “সাদা দল” জানায়, যদি নির্বাচনে বড় ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচন করা উচিত। ছাত্র–শিক্ষক উভয় পক্ষই এই অনিয়মে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

ভবিষ্যতের দিশা ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুধুই ক্যাম্পাস রাজনীতির প্রতিফলন নয়—এটি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গঠনের সূচনাও।

যদি নির্বাচনের পর বিজয়ী ও পরাজিত উভয় পক্ষ পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তবে এই নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ ঘটাতে পারে।

তবে, যদি আগের মতো অনিয়ম ও অভিযোগ থেকে যায়, তাহলে ছাত্ররাজনীতির ওপর শিক্ষার্থীদের আস্থা আরও দুর্বল হতে পারে।

জাকসু ও ডাকসুর অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জাগিয়েছে—এই নির্বাচন কি হবে নতুন দৃষ্টান্ত, নাকি পুরোনো বিতর্কের পুনরাবৃত্তি?

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন অপেক্ষায়—তাদের নির্বাচনের মাধ্যমে যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়, যেখানে রাজনীতি হবে দায়িত্বশীলতার ও স্বচ্ছতার প্রতীক।

#চট্টগ্রামবিশ্ববিদ্যালয় #চাকসু #ডাকসু #জাকসু #ছাত্ররাজনীতি #নির্বাচনীউৎসব #বাংলাদেশশিক্ষাঙ্গন #ক্যাম্পাসনির্বাচন  #সারাক্ষণরিপোর্ট