নীতির লক্ষ্য বনাম বাজার বাস্তবতা
হোয়াইট হাউস ঘরোয়া দাম নামাতে ও মিত্রদেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে এলএনজি রপ্তানি বাড়াতে চায়। কিন্তু ১৪ অক্টোবরের বিশ্লেষণ দেখায়—রপ্তানি বাড়লে উৎপাদনশীলতা ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ে বটে, তবে শীতকালে দেশীয় জোগান টানটান হলে স্থানীয় বিলও চাপে পড়তে পারে। মেক্সিকো উপসাগরীয় টার্মিনালগুলো দ্রুত এগোচ্ছে; ইউরোপ ও এশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি ক্রেতারা সারি দিচ্ছে। আবার বৈশ্বিক অর্থনীতি নরম, ফ্রেইট ওঠানামা করছে; স্পট দামে বছরের মধ্যে বড় ভ্যারিয়েশন দেখা গেছে। নীতিগত সিগন্যাল গুরুত্বপূর্ণ, তবে কোন পরিকাঠামো কবে চালু হবে ও কতটা শিপিং ক্ষমতা পাওয়া যাবে—দাম ও ডেলিভারি সেখানেই নির্ভর।
আগামী পথচলা
বিশ্লেষকদের তিনটি সুইং-ফ্যাক্টর: (১) উৎপাদন বৃদ্ধি—তেলক্ষেত্রের ‘অ্যাসোসিয়েটেড গ্যাস’ যোগ হলে সরবরাহ বাড়তে পারে, যদিও ক্যাপেক্স শৃঙ্খলা অতিরিক্ত উল্লম্ফন ঠেকাচ্ছে; (২) অনুমোদন—আদালত ও ফেডারেল রিভিউ পাইপলাইন/টার্মিনাল বিলম্বিত করলে স্বল্পমেয়াদি রপ্তানি সীমিত থাকবে; (৩) বৈশ্বিক চাহিদা—এশিয়ায় অতিরিক্ত গরম/শীত পড়লে স্পট দাম আবার চড়তে পারে, ফলে ইউরোপ থেকে কার্গো সরে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা বিল অনেকটাই নির্ভর করবে শীতের আগে স্টোরেজে কতটা মজুত থাকে তার ওপর; ইউটিলিটিগুলো বেশি হেজিং করছে যেন ধাক্কা কমে। দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানি বিস্তার জলবায়ু প্রশ্নও তোলে—মিথেন লিকেজ ও সামগ্রিক নির্গমন নিয়ে নজরদারি আরও কড়া হবে। তাই ক্ষমতা বাড়ানো ও ঘরোয়া দামের স্থিতি—দুইয়ের মাঝে সূক্ষ্ম ভারসাম্যই নীতিনির্ধারকদের চ্যালেঞ্জ।