০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৫) ভারতের কৃষকদের জন্য নতুন আশার আলো— কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বদলে যাচ্ছে মৌসুমি বৃষ্টির পূর্বাভাস নীল উপত্যকার টমেটোর গল্পে মিশরীয় স্বাদের ইতিহাস ও নারী ঐতিহ্যের সন্ধান শত্রুর তুলনায় বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতা  অধিক আঘাত দেয়  বলিউডের তারকারা এখন চায় স্ট্রিমিংয়ের লাভের শেয়ার, শুধু অগ্রিম চেক নয় মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৩) যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ৩ শতাংশে পৌঁছালেও প্রত্যাশার নিচে, সুদহার কমাতে স্বস্তিতে ফেড অধিকাংশ শেয়ারদরের পতনে ডিএসই ও সিএসই সপ্তাহ শুরু করল লাল সূচকে শেহবাজ শরিফ ও আসিম মুনির ‘মহান মানুষ’, বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আত্মসাৎ হওয়া ৪৫০০ কোটি টাকার ফেরত দাবি—দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় গ্রাহকরা

বিয়ের সামাজিক প্রথা রক্ষায় বাবা ও মা হত্যা করলো মেয়েকে

  • Sarakhon Report
  • ১২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • 65

পাকিস্তানে অনার কিলিং এর প্রতিবাদ করছেন নারীরা

সারাক্ষণ ডেস্ক

ইতালিতে নিজের কিশোরী কন্যাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক নারী তিন বছর পলাতক থাকার পর পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

২০২১ সালে ১৮ বছর বয়সী সামান আব্বাসকে খুনের দায়ে গত ডিসেম্বরে মা নাজিয়া শাহীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ইতালির একটি আদালত। খবরে জানা যায়, বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নাজিয়া শাহীন ও তার স্বামী শব্বর আব্বাস তাদের মেয়েকে হত্যা করে।

তারপরে দুজনেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। পিতা আব্বাসকে ২০২৩ সালের আগস্টে পাকিস্তানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং ইতালীতে ফেরত পাঠানো হয়।

কিন্তু  নাজিয়া শাহিন, ৫১, এই সপ্তাহ নাগাদ পালিয়েছিল। কিন্তু ইন্টারপোল এবং পাকিস্তান ফেডারেল পুলিশের যৌথ অভিযানে কাশ্মীরের সীমান্তে একটি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। ইতালীয় সংবাদ সংস্থা ‘আনসা’ এ খবর নিশ্চিত করেছে।

ইতালীয় সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, নাজিয়াকে ইতালীতে ফেরত আনার প্রক্রিয়ার জন্য শুক্রবার তাকে ইসলামাবাদের একটি আদালতে হাজির করা হয়।

২০২১ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে সামান আব্বাসের তথাকথিত অনার কিলিংএ  ইতালিতে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল । মেয়েটির নিখোঁজের খবরে ইতালির ইসলামী সম্প্রদায়ের ইউনিয়ন একটি ফতোয়া জারি করেেএই বলে যে, ধর্মীয় বিধানে – “জোরপূর্বক বিবাহ নিষিদ্ধ।”

ইতালী থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, কিশোরীটি ২০১৬ সালে পাকিস্তান থেকে তার পরিবারের সাথে নোভেলারার একটি খামার শহরে বসবাস করতে আসে।

সামান আব্বাস অন্য ছেলের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন খবরে পরিবারটি ২০২০ সালে একটি পরিবারিক বিয়ের জন্য পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সামান তা প্রত্যাখ্যান করে।

তারপরে সে সামাজিক পরিষেবার সুরক্ষার অধীনে বেশ কয়েক মাস কাটায়। তার সাত মাস পরে সে নোভেলারার পারিবারিক বাড়িতে ফিরে এসেছিল। ইতালীয থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়-  বাবা-মা’র দ্বারা সে প্রতারিত হয়েছিল।

আইনজীবিরা জানিয়েছেন, এই সময়েই কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়।

তার চাচা কবরের স্থান প্রকাশ করার পরে সামান আব্বাসের মৃতদেহ অবশেষে ২০২১ সালের নভেম্বরে উদ্ধার করা হয়। তার কবর দেওয়ার স্থানটি খুব দূরে ছিলনা। পরিবারটি যেখানে বাস করত তার নিকটেই একটি খামার বাড়ির কাছে।

ময়নাতদন্ত পরীক্ষায় তার ঘাড়ের হাড় ভাঙ্গা পাওয়া গেছে। সম্ভবত তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৫)

বিয়ের সামাজিক প্রথা রক্ষায় বাবা ও মা হত্যা করলো মেয়েকে

১২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

ইতালিতে নিজের কিশোরী কন্যাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক নারী তিন বছর পলাতক থাকার পর পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

২০২১ সালে ১৮ বছর বয়সী সামান আব্বাসকে খুনের দায়ে গত ডিসেম্বরে মা নাজিয়া শাহীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ইতালির একটি আদালত। খবরে জানা যায়, বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নাজিয়া শাহীন ও তার স্বামী শব্বর আব্বাস তাদের মেয়েকে হত্যা করে।

তারপরে দুজনেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। পিতা আব্বাসকে ২০২৩ সালের আগস্টে পাকিস্তানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং ইতালীতে ফেরত পাঠানো হয়।

কিন্তু  নাজিয়া শাহিন, ৫১, এই সপ্তাহ নাগাদ পালিয়েছিল। কিন্তু ইন্টারপোল এবং পাকিস্তান ফেডারেল পুলিশের যৌথ অভিযানে কাশ্মীরের সীমান্তে একটি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। ইতালীয় সংবাদ সংস্থা ‘আনসা’ এ খবর নিশ্চিত করেছে।

ইতালীয় সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, নাজিয়াকে ইতালীতে ফেরত আনার প্রক্রিয়ার জন্য শুক্রবার তাকে ইসলামাবাদের একটি আদালতে হাজির করা হয়।

২০২১ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে সামান আব্বাসের তথাকথিত অনার কিলিংএ  ইতালিতে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল । মেয়েটির নিখোঁজের খবরে ইতালির ইসলামী সম্প্রদায়ের ইউনিয়ন একটি ফতোয়া জারি করেেএই বলে যে, ধর্মীয় বিধানে – “জোরপূর্বক বিবাহ নিষিদ্ধ।”

ইতালী থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, কিশোরীটি ২০১৬ সালে পাকিস্তান থেকে তার পরিবারের সাথে নোভেলারার একটি খামার শহরে বসবাস করতে আসে।

সামান আব্বাস অন্য ছেলের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন খবরে পরিবারটি ২০২০ সালে একটি পরিবারিক বিয়ের জন্য পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সামান তা প্রত্যাখ্যান করে।

তারপরে সে সামাজিক পরিষেবার সুরক্ষার অধীনে বেশ কয়েক মাস কাটায়। তার সাত মাস পরে সে নোভেলারার পারিবারিক বাড়িতে ফিরে এসেছিল। ইতালীয থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়-  বাবা-মা’র দ্বারা সে প্রতারিত হয়েছিল।

আইনজীবিরা জানিয়েছেন, এই সময়েই কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়।

তার চাচা কবরের স্থান প্রকাশ করার পরে সামান আব্বাসের মৃতদেহ অবশেষে ২০২১ সালের নভেম্বরে উদ্ধার করা হয়। তার কবর দেওয়ার স্থানটি খুব দূরে ছিলনা। পরিবারটি যেখানে বাস করত তার নিকটেই একটি খামার বাড়ির কাছে।

ময়নাতদন্ত পরীক্ষায় তার ঘাড়ের হাড় ভাঙ্গা পাওয়া গেছে। সম্ভবত তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল।