০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
চেইনসো ম্যান’ বক্স অফিসে নাম্বার ওয়ান: অ্যানিমে এখন শুধু ‘নিশ’ নয়, মেইন ইভেন্ট অজানা প্রাণীর অস্তিত্বে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি  জাংকুকের একক স্টেজ এখন টিকটক-ক্যামেরা ফার্স্ট: ফ্যানের ফোনই অফিসিয়াল শট” মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৪) অ্যাপল ম্যাপসেও এখন বিজ্ঞাপন? ‘নিয়ার মি’ সার্চই হবে বিডিং ওয়ার সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ চার দিন- ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত শতাধিক যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যায় যাবজ্জীবন হালাল পণ্যের মান ও স্বীকৃতিতে বাংলাদেশ–পাকিস্তান এমওইউ স্বাক্ষর নিরপেক্ষতা হারিয়েছে উইকিপিডিয়া—ল্যারি স্যাঙ্গারের নেতৃত্বে রক্ষণশীল অভিযাত্রা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শিল্প ও সেবা খাতে পরিবর্তন, প্রয়োজন শিক্ষিত, দক্ষ মানবসম্পদ

মাদারীপুরের জোড়া খুনে ৪ জনের ফাঁসির দন্ড বহাল

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • 63

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৩ সালে ঈদুল আজহার দিন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামে হামলার ঘটনায় জোড়া খুনের মামলায় চারজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে সোমবার এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মাসুদ উল হক। পলাতকদের বিরুদ্ধে ছিলেন আইনজীবী নারগিস আক্তার।

২০০৩ সালের ১২ ফেব্রয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামে ঈদুল আজহার দিন আসামিরা শটগান, কাটাবন্দুক, পিস্তল ও হাতবোমা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিরাজুল হক মোল্লার কর্মী সৈয়দ আলী মোল্লা ও সুলেমান মোল্লাসহ ৩৬ জনের ওপর হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলে সৈয়দ আলী মোল্লা মারা যান। পরে হাসপাতালে সুলেমান মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজন আইয়ুব আলী মোল্লা বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মামলা করেন।

এ মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় দেন। রায়ে চারজনের মৃত্যুদন্ড , এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং নয় আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন— মহিউদ্দিন হাওলাদার, সোহাগ হাওলাদার, হালিম সরদার ও হাবি শিকদার। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি শামসুল হক হাওলাদার।

১০ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন হিরু হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, কাইয়ুম শিকদার, জাহাঙ্গীর শিকদার, টুটুল হাওলাদার, মোস্তফা হাওলাদার, জিন্নাত খাঁ, ইদ্রিস শেখ ও সেকান্দার শেখ। পরে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। কারাবন্দি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চেইনসো ম্যান’ বক্স অফিসে নাম্বার ওয়ান: অ্যানিমে এখন শুধু ‘নিশ’ নয়, মেইন ইভেন্ট

মাদারীপুরের জোড়া খুনে ৪ জনের ফাঁসির দন্ড বহাল

০৫:৫২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৩ সালে ঈদুল আজহার দিন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামে হামলার ঘটনায় জোড়া খুনের মামলায় চারজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে সোমবার এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মাসুদ উল হক। পলাতকদের বিরুদ্ধে ছিলেন আইনজীবী নারগিস আক্তার।

২০০৩ সালের ১২ ফেব্রয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামে ঈদুল আজহার দিন আসামিরা শটগান, কাটাবন্দুক, পিস্তল ও হাতবোমা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিরাজুল হক মোল্লার কর্মী সৈয়দ আলী মোল্লা ও সুলেমান মোল্লাসহ ৩৬ জনের ওপর হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলে সৈয়দ আলী মোল্লা মারা যান। পরে হাসপাতালে সুলেমান মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজন আইয়ুব আলী মোল্লা বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মামলা করেন।

এ মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় দেন। রায়ে চারজনের মৃত্যুদন্ড , এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং নয় আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন— মহিউদ্দিন হাওলাদার, সোহাগ হাওলাদার, হালিম সরদার ও হাবি শিকদার। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি শামসুল হক হাওলাদার।

১০ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন হিরু হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, কাইয়ুম শিকদার, জাহাঙ্গীর শিকদার, টুটুল হাওলাদার, মোস্তফা হাওলাদার, জিন্নাত খাঁ, ইদ্রিস শেখ ও সেকান্দার শেখ। পরে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। কারাবন্দি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।