শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

নির্যাতিত ব্যক্তির আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবী

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪, ১.১৭ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতি সমর্থন দিবস” উপলক্ষ্যে (২৬ জুন)  নির্যাতিত ব্যক্তি এবং নির্যাতনের ফলে নিহত ব্যক্তির পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিল স্থাপন এবং তা থেকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে ব্লাস্ট।

বাংলাদেশের সংবিধানে সব ধরনের নির্যাতন এবং অমানবিক ও নিষ্ঠুর সাজা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইন ও আদালতের বেশ কিছু রায় পেলেও বাস্তব চিত্র এর বিপরীত। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু (নিবারন) আইনটি ২০১৩ সালে প্রণীত হলেও এই পর্যন্ত প্রায় ১১ বছরে এই আইনের আওতায় গুটিকয়েক মামলা রজু হয়েছে। এর মধ্যে আইন প্রণয়নের প্রায় ৭ বছর পর গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে দেশে সর্বপ্রথম এই আইনের আওতায় পুলিশি হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার রায় প্রকাশ পায়।

বিগত ২০১৪ সালে রাজধানীর পল্লবী থানায় পুলিশের হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুতে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইনের অধীনে জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাত বছর পর গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকার দায়রা জজ আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় তিন পুলিশ সদস্যের যাবজ্জীবন এবং অপর দুই জনের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশও দেয়া হয়েছে। জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে আরো ৬ মাস করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আদেশ দেয় আদালত। কিন্তু বর্তমানে হাইকোর্টের আপীল আবেদনটি বিচারাধীন অবস্থায় আছে এবং আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টিও স্থগিত রাখা হয়েছে।

সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট সিনিয়র আইনজীবী এবং ব্লাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জেড আই খান পান্না বলেন, “নির্যাতনের শিকার সকলচ ব্যক্তির আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যে কোন নির্যাতনের শিকার হয়ে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার পরিবারের যে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তা কোনোভাবেই টাকার অংকে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। সেজন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি আইনগত সুরক্ষা প্রদান এবং অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।”

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত জনির মা খুরশীদা বেগম বলেন যে, “পুলিশ এর হেফাজতে নির্যাতন এর শিকার হয়ে আমার ছেলের মৃত্যুতে তার ছোট সন্তানরা ও আমার পরিবার অনেক অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ হতে এখনো পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় নাই”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024