০৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত—ট্রাম্পের নতুন অবস্থান ও পুতিনের কূটনৈতিক প্রভাব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফাঁদে কিশোর প্রেম—চ্যাটবটের সঙ্গে সম্পর্কের পর আত্মহত্যা, সতর্ক করছে বিশেষজ্ঞরা কাম্বোডিয়ার নতুন ২ বিলিয়ন ডলারের বিমানবন্দর—পর্যটন বাড়াতে আধ্যাত্মিকতা, আধুনিকতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মিশ্রণ মিডিয়া জগতে বড় রদবদলের সম্ভাবনা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তব আলোচনার প্রতিফলন নয়: সালাহউদ্দিন ফখরুলের অভিযোগ: জনগণ ও রাজনৈতিক দলকে প্রতারণা করেছে সমন্বয় কমিশন, অভিযোগের তীর ইউনূসের দিকেও ট্রাম্পের এশিয়া সফরের শেষ গন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়া—চীন ও বাণিজ্য আলোচনায় সমঝোতার ইঙ্গিত শতাব্দীর ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’ ধ্বংসস্তূপে জ্যামাইকা, বিপদের মুখে কিউবা আরব আমিরাতের পারফিউমশিল্প— রাতের সুবাসে আরবের ঐতিহ্যের ছোঁয়া মানসিক স্বাস্থ্য ও MAID বিতর্ক: কষ্টের অবসান কি মৃত্যুর অনুমোদন নাকি ভালো জীবনের সহায়তা?

চালকদের বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি একচেটিয়া ব্যবসায় সুযোগ করে দিচ্ছে

  • Sarakhon Report
  • ০৪:২২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • 64

সারাক্ষণ ডেস্ক

বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ফারুক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, পরিবহন মালিক চালকদের আন্দোলনের ফসল বিআরটিএ এখন মালিক, চালকদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করছে। কিসের বিনিময়ে? কার স্বার্থে তা পরিবহন চালক ও মালিকগণ জানতে চায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০২ সালে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল শুরু হয় শুরু থেকেই তখন গাড়ীর সাথে মিটার স্থাপন করা হয়। মিটার স্থাপনে মিটিংয়ে ফর হায়ার ও হায়ার্ড শব্দ প্রদর্শনের যন্ত্র একই সাথে স্থাপন করে আসছে মিটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং এই নিয়মটি কাগজে আছে। মালিকগণ অটোরিক্সার দৈনিক জমা মাত্রার অতিরিক্ত আদায় শুরু করছে তখন চালকগণ ও মিটারে চলাচল থেকে বিরত রয়েছে।


নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৪ই জুলাই ২০২৪ তারিখে প্রথম আলো প্রত্রিকার অনলাইন মাধ্যমে সংবাদ জানতে পারি যে, টাঙ্গাইল জেলার একজন রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ‘ফর হায়ার ও হায়ার্ড’ শব্দ প্রদর্শনের যন্ত্রটি  এনেছে। এই পণ্যটি বিক্রয়ের জন্য এবং একচেটিয়া ব্যবসা করিয়ে দেয়ার জন্য বিআরটিএর নীতিমালায় না থাকলেও উক্ত পণ্যের জন্য নীতিমালায় সংযোগ করার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করে আসছে। কিসের স্বার্থে এত বড় উদ্যোগ? কারা এর সাথে জড়িত তা প্রকাশ করা দরকার। গাড়ী প্রতি বছর ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করতে হয় এবং প্রতিবছর ফিটনেস করে সনদ নিতে হয়।

জানা গেছে গাড়ীতে ফর হায়ার ও হায়ার্ড শব্দ প্রদর্শন না করলে ফিটনেস সনদ দেয়া হবে না যা বেআইনী বলে আমরা মনে করি এবং চালক মালিকদের অতিরিক্ত অর্থদন্ড সহ এটি হয়রানীর নতুন একটি মাধ্যম। এই অনিয়মকে কোন রকম নিয়মে আনতে পারলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রায় ৩০ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে কোটি কোটি হাতিয়ে নিতে পারবে ঐ অসাধু ব্যবসায়ী চক্রটি।


উল্লেখ্য যে, ২০০২ সাল থেকে গাড়ীর মিটারের সাথে ‘ফর হায়ার ও হায়ার্ড’ শব্দ প্রদর্শনের যন্ত্রটি ফ্রি দিচ্ছে মিটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। ২০০২ সালে তখন যাত্রীর কথা বিবেচনা করে গাড়ীতে মিটার স্থাপন করা হয়েছিল। মালিক শ্রমিক বিআরটিএ ও মিটার কোম্পানীর প্রতিনিধি গণ একাধিক বার মিটিং করে উক্ত যন্ত্রটির ত্রুটি কারিগরি বিষয়ে ও প্রয়োজনে রিপ্লেস সহ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ সকল সিদ্ধান্তের কাগজপত্র বিআরটিএ পরিচালকের দপ্তরে অবশ্যই আছে।

তাই নেতৃবৃন্দ হায়ার মিটার স্থাপনের নামে চালক, মালিক-যাত্রীর নতুন করে হয়রানির শিকার বন্ধ করতঃ এই পরিবহন নির্বিঘ্নে চলাচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত—ট্রাম্পের নতুন অবস্থান ও পুতিনের কূটনৈতিক প্রভাব

চালকদের বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি একচেটিয়া ব্যবসায় সুযোগ করে দিচ্ছে

০৪:২২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ফারুক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, পরিবহন মালিক চালকদের আন্দোলনের ফসল বিআরটিএ এখন মালিক, চালকদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করছে। কিসের বিনিময়ে? কার স্বার্থে তা পরিবহন চালক ও মালিকগণ জানতে চায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০২ সালে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল শুরু হয় শুরু থেকেই তখন গাড়ীর সাথে মিটার স্থাপন করা হয়। মিটার স্থাপনে মিটিংয়ে ফর হায়ার ও হায়ার্ড শব্দ প্রদর্শনের যন্ত্র একই সাথে স্থাপন করে আসছে মিটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং এই নিয়মটি কাগজে আছে। মালিকগণ অটোরিক্সার দৈনিক জমা মাত্রার অতিরিক্ত আদায় শুরু করছে তখন চালকগণ ও মিটারে চলাচল থেকে বিরত রয়েছে।


নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৪ই জুলাই ২০২৪ তারিখে প্রথম আলো প্রত্রিকার অনলাইন মাধ্যমে সংবাদ জানতে পারি যে, টাঙ্গাইল জেলার একজন রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ‘ফর হায়ার ও হায়ার্ড’ শব্দ প্রদর্শনের যন্ত্রটি  এনেছে। এই পণ্যটি বিক্রয়ের জন্য এবং একচেটিয়া ব্যবসা করিয়ে দেয়ার জন্য বিআরটিএর নীতিমালায় না থাকলেও উক্ত পণ্যের জন্য নীতিমালায় সংযোগ করার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করে আসছে। কিসের স্বার্থে এত বড় উদ্যোগ? কারা এর সাথে জড়িত তা প্রকাশ করা দরকার। গাড়ী প্রতি বছর ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করতে হয় এবং প্রতিবছর ফিটনেস করে সনদ নিতে হয়।

জানা গেছে গাড়ীতে ফর হায়ার ও হায়ার্ড শব্দ প্রদর্শন না করলে ফিটনেস সনদ দেয়া হবে না যা বেআইনী বলে আমরা মনে করি এবং চালক মালিকদের অতিরিক্ত অর্থদন্ড সহ এটি হয়রানীর নতুন একটি মাধ্যম। এই অনিয়মকে কোন রকম নিয়মে আনতে পারলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রায় ৩০ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে কোটি কোটি হাতিয়ে নিতে পারবে ঐ অসাধু ব্যবসায়ী চক্রটি।


উল্লেখ্য যে, ২০০২ সাল থেকে গাড়ীর মিটারের সাথে ‘ফর হায়ার ও হায়ার্ড’ শব্দ প্রদর্শনের যন্ত্রটি ফ্রি দিচ্ছে মিটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। ২০০২ সালে তখন যাত্রীর কথা বিবেচনা করে গাড়ীতে মিটার স্থাপন করা হয়েছিল। মালিক শ্রমিক বিআরটিএ ও মিটার কোম্পানীর প্রতিনিধি গণ একাধিক বার মিটিং করে উক্ত যন্ত্রটির ত্রুটি কারিগরি বিষয়ে ও প্রয়োজনে রিপ্লেস সহ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ সকল সিদ্ধান্তের কাগজপত্র বিআরটিএ পরিচালকের দপ্তরে অবশ্যই আছে।

তাই নেতৃবৃন্দ হায়ার মিটার স্থাপনের নামে চালক, মালিক-যাত্রীর নতুন করে হয়রানির শিকার বন্ধ করতঃ এই পরিবহন নির্বিঘ্নে চলাচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানান।