পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
স্মার্ট নেতার জন্যে জরুরী কিছু বিষয় (ছ)
নেতা কখন তুলনামূলক শক্তিশালী হয়
যখন নেতার দল, টিম বা কোম্পানির সদস্যরা তার সন্তানের মতো হয়, এবং সন্তানের মতো ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দিয়ে তাকে ঘিরে রাখে সেই সময়ই নেতার তুলনা মূলক শক্তিশালী সময়।
এ সময়টিতে তার কর্মী বা সহকর্মীদের নেতা তেমন অবস্থানে নিয়ে যেতে সমর্থ হয় যে, নেতা যদি কোন গভীর খাঁদে পড়ে যায় তার সহকর্মীরাও তার সঙ্গে সেই গভীর খাঁদে চলে যাবে। এবং তারা কখনও মনে করবে না এটা একটি গভীর খাঁদ। তার মনে করবে এটা আসলে কোন গভীর খাঁদ নয়। বাস্তবে এটা পার্ট অফ লাইফ। এমন উত্থান পতন হতেই পারে। এবং এই উত্থান বা পতন শুধু নেতার একার নয় তাদের সকলের।
একটি ভয়াবহ যুদ্ধে একজন জেনারেলের নিজ সন্তানের মতো সৈন্যরা যেমন জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি জেনারেলের সঙ্গে থাকে নেতার কর্মীদেরও সে মনোভাব হবে।
আর এই মনোভাব কখনও আরোপ করে তৈরি করা যায় না।
কীভাবে কর্মীদের মধ্যে এই মনোভাব গড়ে তুলতে হয়-
১. কর্মীরা যেন প্রথম থেকে বুঝতে পারে নেতার ভেতর কোন হিপোক্রেসি নেই। নেতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্বচ্ছ। এবং নেতা অবশ্যই তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সকলের সামনে তুলে ধরবে।
২. যে লক্ষ্যে নেতা এগিয়ে চলেছে এই লক্ষে পৌঁছানোর মতো শুধু সংঘ শক্তি নয় জ্ঞান ভিত্তিক শক্তি নেতার আছে।
৩. নেতার জীবনাচরণ ও কাজের ধরন এমন হতে হবে যেন তাকে লক্ষ্য করে বা তার সাহচর্যে থেকে কর্মীরা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
৪. নেতার জীবনাচরণ লক্ষ্য করে যেন কর্মীরা বুঝতে পারে, বাস্তবে নিজ জীবনাচারনই মানুষের সব থেকে বড় শক্তি। সঠিক ও নিয়ামনুবর্তী লাইফ স্টাইল ছাড়া কখনই জীবনে উন্নতি করা বা প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না।
৫. নেতার অনুপ্রেরনায় যেন কর্মীদের বা টিমের সদস্যদের বা সহকর্মীদের জীবন বোধ ও জীবনাচরণ বদলে যায়।
৬. বদলে যাওয়া এই জীবন বোধের মধ্যে দিয়ে সে যেন বুঝতে পারে সে শুধু সফল নয় একটি ভালো মানুষও হতে চলেছে। আর সেটা নেতার প্রজ্ঞা ও চরিত্রের সাহচর্যে। এবং তারাও ধীরে ধীরে প্রজ্ঞাবান বা প্রকৃত সম্পদের অধিকারী হচ্ছে।
৭. এই বোধ কর্মী বা সহকর্মীকে নেতার সঙ্গে সন্তানের মতো ভালোবাসায় আবদ্ধ করে।