০৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন গণতন্ত্রের পথে বাধা দিতে গভীর চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনে কিছু এলাকার কারখানা বন্ধ রাখার পরামর্শ বিজিএমইএর সাধারণ মানুষের সচেতনতাই ডিজিটাল ভূমিসেবার সাফল্য: সিনিয়র সচিব মানবাধিকার সংগঠনের সতর্কবার্তা: বাংলাদেশে সংকুচিত হচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিসর শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি, দাবি না মানলে লং মার্চের ঘোষণা গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই অন্তত ১০টি বসতঘর দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে উত্তপ্ত বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা আইসিসিআরের দিগন্ত সিরিজে সংগীতের সন্ধ্যা কলকাতায় বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক কমাতে বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করল জাপান

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-৪৬)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • 44

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


নীলের এই বোঝাগুলো কয়েকটি বাঁশ দিয়ে চাপা দেয়া হয়। তারপর এই বাঁশগুলোর উপর তিনটি কাঠের বিম দেয়া হয় আড়াআড়িভাবে। এরপর কয়েকজন লোক কাঠের বীমের উপর উঠে চাপ দিতে থাকে পা দিয়ে। জলাধারের কিনারা থেকে উপরে উঠে থাকা নীলের আটিগুলো জলাধারের কিনারার একই লেভেলে সমান হয়ে আসে। এবার বীমগুলো ক্রু দিয়ে আটকে দেয়া হয় বাঁশের সঙ্গে। এসব তাবদ কাজ করতে হয় খুব তাড়াতাড়ি যাতে গ্যাজানো শুরু না হয়ে যায়। এসব শেষ করতে হয় গ্যাঁজানো শুরু হবার আগে।

নিষ্কাষণ

পেটানোর জন্য ভ্যাট পরিপূর্ণ করা হয়েছে

গ্যাঁজানো

যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে জলাধার জলে পূর্ণ করার পরের কাজ হল গ্যাঁজানো শুরু হবার জন্যে অপেক্ষা করে থাকা। জলে নীল গাছ গ্যাঁজানোর কোনো পূর্ব নির্দ্ধারতি সময় নেই, কেননা গ্যাঁজানোর তারতম্য নির্ভর করে নানা রকম ব্যাপার ও পরিস্থিতির উপর। সে যা হোক গ্যাঁজাতে লাগে সাধারণতঃ দশ থেকে পনেরো ঘণ্টা। অন্য জিনিস গ্যাঁজানোর মত নীল গাছ গ্যাঁজানোর কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় যেমন ভাল গ্যাঁজানো, পাকা গ্যাজানো ইত্যাদি। ভাল পচনের লক্ষণ হচ্ছে জলাধারের জল সবজে রং ধারণ করবে আর জলের উপর হাল্কা আবরণ পড়বে নীলচে অথবা বেগুনি, আর শ্লেষ্মার মত ঘন, কিন্তু তা বদ গন্ধ বেরোবে না। আর কড়া গ্যাঁজানো হল, যখন উপরের শ্লেষ্মার মত পদার্থ আরও ঘন হবে আর উৎকট বদ গন্ধ বের হবে। তারপর জলাধারের জল থেকে বুদবুদ উঠতে থাকবে আর সে গন্ধ হবে বিদঘুটে পঁচা গন্ধ।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-৪৬)

১০:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


নীলের এই বোঝাগুলো কয়েকটি বাঁশ দিয়ে চাপা দেয়া হয়। তারপর এই বাঁশগুলোর উপর তিনটি কাঠের বিম দেয়া হয় আড়াআড়িভাবে। এরপর কয়েকজন লোক কাঠের বীমের উপর উঠে চাপ দিতে থাকে পা দিয়ে। জলাধারের কিনারা থেকে উপরে উঠে থাকা নীলের আটিগুলো জলাধারের কিনারার একই লেভেলে সমান হয়ে আসে। এবার বীমগুলো ক্রু দিয়ে আটকে দেয়া হয় বাঁশের সঙ্গে। এসব তাবদ কাজ করতে হয় খুব তাড়াতাড়ি যাতে গ্যাজানো শুরু না হয়ে যায়। এসব শেষ করতে হয় গ্যাঁজানো শুরু হবার আগে।

নিষ্কাষণ

পেটানোর জন্য ভ্যাট পরিপূর্ণ করা হয়েছে

গ্যাঁজানো

যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে জলাধার জলে পূর্ণ করার পরের কাজ হল গ্যাঁজানো শুরু হবার জন্যে অপেক্ষা করে থাকা। জলে নীল গাছ গ্যাঁজানোর কোনো পূর্ব নির্দ্ধারতি সময় নেই, কেননা গ্যাঁজানোর তারতম্য নির্ভর করে নানা রকম ব্যাপার ও পরিস্থিতির উপর। সে যা হোক গ্যাঁজাতে লাগে সাধারণতঃ দশ থেকে পনেরো ঘণ্টা। অন্য জিনিস গ্যাঁজানোর মত নীল গাছ গ্যাঁজানোর কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় যেমন ভাল গ্যাঁজানো, পাকা গ্যাজানো ইত্যাদি। ভাল পচনের লক্ষণ হচ্ছে জলাধারের জল সবজে রং ধারণ করবে আর জলের উপর হাল্কা আবরণ পড়বে নীলচে অথবা বেগুনি, আর শ্লেষ্মার মত ঘন, কিন্তু তা বদ গন্ধ বেরোবে না। আর কড়া গ্যাঁজানো হল, যখন উপরের শ্লেষ্মার মত পদার্থ আরও ঘন হবে আর উৎকট বদ গন্ধ বের হবে। তারপর জলাধারের জল থেকে বুদবুদ উঠতে থাকবে আর সে গন্ধ হবে বিদঘুটে পঁচা গন্ধ।