পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতা কখন নেগোশিয়েশান করতে ব্যর্থ হয়
কোন নেতা যদি ছোট বড় যে কোন ক্রাইসিস নেগোশিয়াশানের মাধ্যমে সমাধানে ব্যর্থ হয় তখন স্বাভাবিকভাবে তাকে স্মার্ট নেতা হিসেবে ধরা হয় না। নেতৃত্বের সব থেকে বড় গুন নেগোশিয়েশানের সমর্থ দিয়েই মাপা হয়।
সংগঠন, দল, কোম্পানি বা রাষ্ট্র’র যে কোন ক্রাইসিসে নেগোশিয়েশানই সব থেকে বড় অস্ত্র। সাধারণত এই অস্ত্র ফেইল করলে তখন হাতে থাকে কেবলমাত্র সংঘাত, যার অর্থ ডু আর ডাই। অর্থাত্ মৃত্যু বা ধ্বংস বা সমাধান না হওয়া সেখানে অপর পিঠে এসে যায়। তাই নেগোশিয়ানে ফেইল করার অর্থই যে কোন বিষয়কে একটি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া।
সাধারণত কী কী কারণে একজন নেতা নেগোশিয়াশানে ব্যর্থ হয়।
১. নেতা যদি বিষয়টির গুরুত্ব সঠিকভাবে না বোঝে।
এই সঠিকভাবে না বোঝার ক্ষেত্রে নেতার ক্ষেত্রে যে কারণগুলো কাজ করে
ক) নেতা বিষয়টি নিয়ে মোটেই সিরিয়াস নয়। সে বিষয়টিকে ছোট কোন বিষয় হিসেবে ধরে নিয়েছে। অথচ কোন স্মার্ট নেতা কখনই কোন বিষয়কে ছোট হিসেবে মনে করবে না।
২. নেতার বিষয় বোঝার সক্ষমতা কম।
কেন একজন নেতার বিষয় বোঝার সক্ষমতা কম হয় এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে প্রথমে যে বিষয়গুলো সামনে আসে
ক) বাস্তবে ওই নেতা বিষয় বোঝার মতো প্রকৃত জ্ঞানের অধিকারী নয়। যে কোন স্মার্ট নেতাকে বিষয় বুঝতে হলে অবশ্যই তাকে সার্বক্ষনিক তার কোম্পানি, সংগঠন বা রাষ্ট্র নিয়ে চর্চার মধ্যে থাকতে হয়। আর এটা যদি সে দরজা জানালা বন্ধ করে চর্চা করে তাহলে তা আসলে কোন চর্চা নয়।
খ্) চর্চার ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই দিগন্ত প্রসার করতে হবে। তার সমসাময়িক সময় সারা পৃথিবীতে সংগঠন, দল সম্পর্কে তাকে জানতে হবে ও চর্চা করতে হবে। এবং সেগুলো থেকে গ্রহন করার সক্ষমতা রাখতে হবে।
গ) এই সক্ষমতা আসলে জ্ঞান ছাড়া অর্জন করা যায় না।
ঘ) আর সেই জ্ঞান অর্জনের পথে প্রথম ও প্রধান বাধা নেতা যদি ইগোতে ভোগে।
ঙ) এ সত্য যে কোন নেতাকে মনে রাখতে হয়, ইগো থাকে কেবল মূর্খ এবং শিশুর। কোন পরিনত বয়স্ক নূন্যতম জ্ঞানীর কোন ইগো থাকে না।
চ) আর ইগোর উর্ধে উঠতে না পারলে কখনই নেতা হওয়া সম্ভব নয়।
৩) নেতা যদি তার সংগঠন, দল বা কোম্পানি বা রাষ্ট্র’র থেকে নিজেকে বড় মনে করে বসে তখন সে অবশ্যই যে কোন নেগোশিয়ানে ফেইল করবে। কারণ যখন সে নিজেকে বড় মনে করে বসে তখন সে বাস্তবে সংগঠন, কোম্পানি বা রাষ্ট্র’র প্রকৃত প্রতিনিধি থাকে না। মানসিকতার দিক থেকে সে তখন একটি বাবলের মধ্যে বাস করে। আর যখনই কোন নেতা কোন বাবলে ঢুকে যায় তখন সে অবশ্যই নেগোশিয়ানে ব্যর্থ হবে।
Leave a Reply