পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
নেতার শব্দ চয়ন
মানুষকে অন্য জীবের সঙ্গে পার্থক্য করে আজ যে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে এর মূলে ভাষা। অন্য সকল জীবের থেকে মানুষের ভাব প্রকাশের সীমা অসীম। আর এই অসীম সীমানাই মূলত মানুষকে অসীম ক্ষমতাশালী করেছে।
এই ক্ষমতা যে কোন সাধারণ একজনের থেকে সংগঠন প্রধান, কোম্পানি প্রধান, রাষ্ট্র প্রধান এমনি নেতারাই সব থেকে বেশি ভোগ করে।
তাই তাদের যত ক্ষমতা, যত রকম কাঠামো থাকুক না কেন, মনে রাখা দরকার, ভাষা তার সব থেকে বড় ক্ষমতার উত্স।
আর এ্রখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, প্রতিটি ভাষায় প্রতি বছর বহু নতুন শব্দ তৈরি হচ্ছে।
কেন এই নতুন শব্দগুলো তৈরি হয়।
প্রধানত দুই কারণে এই শব্দগুলো তৈরি হয়।
১, আরো বেশি ভাব প্রকাশের জন্য ।
২. ভাষার শালীনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনে।
সভ্যতার এই মূল কারগির ভাষার শালীনতা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে।
তাই নেতাকে সব সময়ই ভাষার এই অগ্রগতির সঙ্গে থাকতে হয়।
এমনকি দশ বছর আগে যেটা ডিপ্ললোমেটিক ভাষা, পার্লামেন্টেরিয়ানের ভাষা, ক্রিকেটারের ভাষা ছিলো, দশ বছর পরে সেটা অতি সাধারণ হয়ে যেতে পারে। এমনকি তা বিপরীত অর্থও সীমায় গিয়েও দাঁড়াতে পারে।
তাছাড়া প্রতিটি জেনারেশান তাদের নিজস্ব ভাষা তৈরি করে।
এখানেও যা লক্ষ্যনীয় আগে জেনারেশান চেঞ্জ হতো ১২ বছরে।
এখন টেকনোলজির জেনারেশান চেঞ্জ হয় ছয় মাসে।
তাই মানুষের জেনারেশান চেঞ্জ বড় জোর দুই বছর সময় নিচ্ছে। তার বেশি ভাবা ঠিক নয়।
এ কারণে নেতার ভাষা প্রয়োগে অনেক দিক বিবেচনার প্রয়োজন থাকে।
তাকে যেমন নতুন শব্দের সঙ্গে থাকতে হয় তেমনি নতুন জেনারেশানের সঙ্গেও থাকতে হয়।
Leave a Reply