পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী।
সময়কে জানতে হবে কী ভাবে
নেতাকে অবশ্যই তার সংগঠন, তার কোম্পানি, বা সে যদি দেশ বা জাতির নেতা হয় তাহলে অবশ্যই তার সময়কে জানতে হবে।
দেশ বা জাতির নেতার সময়কে জানার জন্যে অনেকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা থাকে।
কোম্পানির নেতারও বেশ কিছু সেকশন অবশ্যই তার কোম্পানিতে থাকে বা তৈরি করতে হয়।
সংগঠনের নেতাকেও একই কাজ করতে হয়।
কিন্তু এরপরেও নেতার নিজস্ব কিছু দ্বায়িত্ব থাকে।
১. নেতা তার সিস্টেম থেকে পাওয়া সবগুলো রিপোর্ট দেখবেন ঠিকই।
কিন্তু রিপোর্ট দেখার থেকে বড় হলো নেতার পর্যালোচনা করার সক্ষমতা।
এবং ওই সার্বিক রিপোর্টের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় বিষয়টি বের করে আনার সক্ষমতা।
- ধরা যাক কোম্পানি বা কোন দেশের নেতার জন্যে এ মুহূর্তে প্রয়োজন আধুনিক বিদ্যুত সম্পর্কে জানা।
- এ নিয়ে হয়তো দশটি রিপোর্ট কোম্পানি বা দেশের নেতার কাছে আসবে।
- নেতাকে ওইগুলো পর্যালোচনা করে দুটি বিষয় ঠিক করতে হবে।
ক) ওই রিপোটর্গুলোর ভেতর তার প্রয়োজনীয় সব কিছু আছে কিনা?
খ) তাকে ওই রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে অবশ্যই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে যে এর থেকে আরো বিস্তারিত ও আরো নতুন কিছু জানার জন্যে তার কোন দিকে বা কোন পথে এগুতে হবে।
গ) বাস্তবে এই সিদ্ধান্ত যদি নেতা নিতে না পারে তাহলে সে কখনই সম-সাময়িক বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ধারনা অর্জন করতে পারবে না।
- এর বাইরে গিয়ে প্রকৃত স্মার্ট নেতাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, তাকে নিজেও খুঁজে বের করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এবং সেই পরিশ্রম ও মেধা তাকে অর্জন করতে হবে।মনে রাখা দরকার মেধাকেও অর্জন করা যায়। আর সেটা চর্চার মাধ্যমে। মেধা কোন দান নয়। আর এজন্য স্মার্ট নেতাকে কথার থেকে তাকে অবশ্যই কাজ নির্ভর জীবন তৈরি করতে হবে।