০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • 25

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মায়াদের ধর্মীয় বিশ্বাস, রীতি, আচার এসবে মধ্যে ছিল নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। স্বকীয়তায় ভরা এইসব রীতি (Rituals)-কে অনেকটা আদিবাসী জনগোষ্টীর সঙ্গে তুলনা করা যায়। এক নজরে কয়েকটি ধর্মীয় আচাররীতি উল্লেখ করা যেতে পারে।

রক্তদান বা রক্তপাত: মায়াদের অন্যতম রীতি-আচার হল রক্তদান। রাজা বা বিশেষ অভিজাতরা কাটা বা বিশেষ ধরনের স্রাইন দিয়ে নিজেদের শরীর ছিন্ন করে। এরপর ঝরে যাওয়া রক্ত কাগজ বা কাপড়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই কাপড়সুদ্ধ রক্তকে বিশেষ কায়দায় পোড়ানো হয় যাতে দেবতারা এই পোড়ানো রক্ত ধোঁয়ার মত হয়ে গেলে ধূমপানের কায়দায় গ্রহণ করে।

মায়ারা একথাও বিশ্বাস করে যে প্রাচীনকালে দেবতারা নিজেরাই এই রক্তদান প্রথা মানত। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে এই প্রথার মধ্য দিয়েই পৃথিবীতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা হত। এর মধ্যে একটি ভেসেল-এর নাম হুয়েউয়েতেনেনগো (Huehuetenengo)। এতে দেখা যাচ্ছে ছয়জন দেবতা তাদের মল-এর উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এবং সেইসঙ্গে যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত ছিটিয়ে দিচ্ছেন।

পশুবলি বা আত্মত্যাগের আচার: নানা ধরনের আত্মত্যাগ বা বলিদানের ব্যবস্থা ঈশ্বরের চাহিদাকে মেটানোর জন্য করা হত। ভাবা হয় এই ব্যবস্থা পৃথিবীর শুরুর জন্য ঋণ করতে হয়েছিল বলে গড়ে উঠেছিল। এক্ষেত্রে একটি কালো পলিক্রম গ্লাসের ছবি শিলালিপিতে দেখা যায়। এই ছবিতে দেখা যায় একজন তরুণ মহারাজকে বলিদান করা হচ্ছে মায়ামাস পাক্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য। এই লর্ডকে কাটা হয় বুকের নীচ থেকে।

আরেকটি পলিক্রম পাত্র পরবর্তী ক্লাসিক পর্বের। এখানে এই চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে একজন শাসক বা রাজা এবং অপর তিনজন পুরুষ বিশেষ কায়দায় তৈরি করা মুখোশ এবং পোশাক পরে আছে। এর মধ্যে একজন কাগজের মধ্যে রক্তমাখা মল বহন করে বসে আছে। জীবনহীন বা মৃত শিকার তৃতীয় জনের পোশাকের উপর যেন ভেসে আছে। শিশুটির বুক কাটা এবং এর থেকে মনে করা হয় এই বুক চিরে দেবার রীতি খুবই পুণ্যের বা পবিত্র।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৪)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৫)

০৫:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মায়াদের ধর্মীয় বিশ্বাস, রীতি, আচার এসবে মধ্যে ছিল নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। স্বকীয়তায় ভরা এইসব রীতি (Rituals)-কে অনেকটা আদিবাসী জনগোষ্টীর সঙ্গে তুলনা করা যায়। এক নজরে কয়েকটি ধর্মীয় আচাররীতি উল্লেখ করা যেতে পারে।

রক্তদান বা রক্তপাত: মায়াদের অন্যতম রীতি-আচার হল রক্তদান। রাজা বা বিশেষ অভিজাতরা কাটা বা বিশেষ ধরনের স্রাইন দিয়ে নিজেদের শরীর ছিন্ন করে। এরপর ঝরে যাওয়া রক্ত কাগজ বা কাপড়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই কাপড়সুদ্ধ রক্তকে বিশেষ কায়দায় পোড়ানো হয় যাতে দেবতারা এই পোড়ানো রক্ত ধোঁয়ার মত হয়ে গেলে ধূমপানের কায়দায় গ্রহণ করে।

মায়ারা একথাও বিশ্বাস করে যে প্রাচীনকালে দেবতারা নিজেরাই এই রক্তদান প্রথা মানত। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে এই প্রথার মধ্য দিয়েই পৃথিবীতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা হত। এর মধ্যে একটি ভেসেল-এর নাম হুয়েউয়েতেনেনগো (Huehuetenengo)। এতে দেখা যাচ্ছে ছয়জন দেবতা তাদের মল-এর উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এবং সেইসঙ্গে যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত ছিটিয়ে দিচ্ছেন।

পশুবলি বা আত্মত্যাগের আচার: নানা ধরনের আত্মত্যাগ বা বলিদানের ব্যবস্থা ঈশ্বরের চাহিদাকে মেটানোর জন্য করা হত। ভাবা হয় এই ব্যবস্থা পৃথিবীর শুরুর জন্য ঋণ করতে হয়েছিল বলে গড়ে উঠেছিল। এক্ষেত্রে একটি কালো পলিক্রম গ্লাসের ছবি শিলালিপিতে দেখা যায়। এই ছবিতে দেখা যায় একজন তরুণ মহারাজকে বলিদান করা হচ্ছে মায়ামাস পাক্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য। এই লর্ডকে কাটা হয় বুকের নীচ থেকে।

আরেকটি পলিক্রম পাত্র পরবর্তী ক্লাসিক পর্বের। এখানে এই চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে একজন শাসক বা রাজা এবং অপর তিনজন পুরুষ বিশেষ কায়দায় তৈরি করা মুখোশ এবং পোশাক পরে আছে। এর মধ্যে একজন কাগজের মধ্যে রক্তমাখা মল বহন করে বসে আছে। জীবনহীন বা মৃত শিকার তৃতীয় জনের পোশাকের উপর যেন ভেসে আছে। শিশুটির বুক কাটা এবং এর থেকে মনে করা হয় এই বুক চিরে দেবার রীতি খুবই পুণ্যের বা পবিত্র।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৪)