০১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
কেন পৃথিবী জুড়ে ঘূর্ণিঝড় আগের থেকে বেশি হচ্ছেঃ বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও জাপান বিপদের মুখে দক্ষিণ ব্রাজিলে ভয়াবহ টর্নেডোতে অন্তত ৬ জন নিহত, আহত শতাধিক ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ‘ফুং-ওয়ং’-এর আঘাত: কালমাগি’র ধ্বংসের পর নতুন বিপর্যয়ের আশঙ্কা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত মার্ক উড আশ্বাস দিলেন, অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার কটাক্ষ সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড দল তাপ থেরাপিতে রক্তচাপ কমানোর আশার আলো: নতুন গবেষণায় চমকপ্রদ ফলাফল জাকার্তার মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: আতঙ্কে শহর, আহত ৫৫ জন গাজায় বর্জ্য সংকট: দূষণে ডুবে স্বাস্থ্য বিপর্যয় তানজানিয়ায় রক্তে রাঙানো দমন-পীড়ন: এক ভয়াবহ নতুন বাস্তবতা ভারতের অদ্ভুত স্থিতিশীলতা

ব্রিটিশ রাজত্বে সুন্দরবন (পর্ব-৭০)

  • Sarakhon Report
  • ১২:০০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • 64
শশাঙ্ক মণ্ডল
চিনি গুড় শিল্প

তৃতীয় অধ্যায়

১৯৩১ খ্রীষ্টাব্দে কার্তিক বসুর উদ্যোগে বসিরহাট মৈত্র বাগানে চিনির কল প্রতিষ্ঠিত হয়। এই উন্নত চিনি কলের জন্য মালিকদের পক্ষ থেকে চাষিদের আখ তৈরি করার জন্য উৎসাহিত করার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন এলাকার অবস্থাপন্ন চাষিদের অগ্রিম দাদন দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আখের অভাবে চিনি কলটি বন্ধ করে দিতে হয়।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পূর্বে থেকে বিদেশি চিনি বেশি বেশি করে আমাদের দেশে আমদানি হতে থাকে এবং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আধুনিক চিনি কলগুলির মাল বাজারে আসতে থাকায় দেশীয় চিনি প্রতিযোগিতায় পিছু হটতে থাকে।

ভূতিমধ্যে কৃষির প্রয়োজনে পরির তামি উদ্ধার করে কৃষিযোগ্য করা শুরু হয়। অন্যান্য বাণিজিক – কৃষির চাহিদা বাড়তে থাকে। জমিতে এসব ফসল ফলানোর প্রয়োজনে খেজুর গাছ কম বেশিি রঙের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমতে শুরু করে। চাষিরা আখের চাইতে পাট চাষের আর্থিক বলাতের কথা বিবেচনা করে বেশি বেশি করে জমিতে পাট চাষ শুরু করে।

দেশীয় চিনি কারখানাগুলি বন্ধ হবার ফলে চাষিরা গুড় থেকে পাটালি করার দিকে মনোনিবেশ করে। এক্ষেত্রে চাকীর ভাদলির সুনাম সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতার বাজারে এর চাহিদা বাড়ে। টাকী- – রাজিপুর জালালপুর শাঁকচূড়া, রামেশ্বরপুর, বরুণহাট, আমলানি, মাখালগাছা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ ■ এলাকা জুড়ে শীতের সময় চাষিরা গুড় থেকে পাটালি করত এবং তাদের কিছু অতিরিক্ত অর্থের এ সংস্থান ঘটত এই শিল্পের মধ্য দিয়ে।

জয়নগর মজিলপুর, বারুইপুর এলাকার খেজুরের নলেন গুড় ও খই মিশিয়ে মোয়া ধীরে ধীরে একটা শিল্প হিসাবে গড়ে ওঠে। এভাবে ‘জয়নগরের মোয়া’ কলকাতার বাজার দখল করে। জয়নগরের মোয়া এবং পাটালিকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে এই এলাকায় তা আমরা লক্ষ করি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন পৃথিবী জুড়ে ঘূর্ণিঝড় আগের থেকে বেশি হচ্ছেঃ বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও জাপান বিপদের মুখে

ব্রিটিশ রাজত্বে সুন্দরবন (পর্ব-৭০)

১২:০০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
শশাঙ্ক মণ্ডল
চিনি গুড় শিল্প

তৃতীয় অধ্যায়

১৯৩১ খ্রীষ্টাব্দে কার্তিক বসুর উদ্যোগে বসিরহাট মৈত্র বাগানে চিনির কল প্রতিষ্ঠিত হয়। এই উন্নত চিনি কলের জন্য মালিকদের পক্ষ থেকে চাষিদের আখ তৈরি করার জন্য উৎসাহিত করার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন এলাকার অবস্থাপন্ন চাষিদের অগ্রিম দাদন দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আখের অভাবে চিনি কলটি বন্ধ করে দিতে হয়।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পূর্বে থেকে বিদেশি চিনি বেশি বেশি করে আমাদের দেশে আমদানি হতে থাকে এবং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আধুনিক চিনি কলগুলির মাল বাজারে আসতে থাকায় দেশীয় চিনি প্রতিযোগিতায় পিছু হটতে থাকে।

ভূতিমধ্যে কৃষির প্রয়োজনে পরির তামি উদ্ধার করে কৃষিযোগ্য করা শুরু হয়। অন্যান্য বাণিজিক – কৃষির চাহিদা বাড়তে থাকে। জমিতে এসব ফসল ফলানোর প্রয়োজনে খেজুর গাছ কম বেশিি রঙের উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমতে শুরু করে। চাষিরা আখের চাইতে পাট চাষের আর্থিক বলাতের কথা বিবেচনা করে বেশি বেশি করে জমিতে পাট চাষ শুরু করে।

দেশীয় চিনি কারখানাগুলি বন্ধ হবার ফলে চাষিরা গুড় থেকে পাটালি করার দিকে মনোনিবেশ করে। এক্ষেত্রে চাকীর ভাদলির সুনাম সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতার বাজারে এর চাহিদা বাড়ে। টাকী- – রাজিপুর জালালপুর শাঁকচূড়া, রামেশ্বরপুর, বরুণহাট, আমলানি, মাখালগাছা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ ■ এলাকা জুড়ে শীতের সময় চাষিরা গুড় থেকে পাটালি করত এবং তাদের কিছু অতিরিক্ত অর্থের এ সংস্থান ঘটত এই শিল্পের মধ্য দিয়ে।

জয়নগর মজিলপুর, বারুইপুর এলাকার খেজুরের নলেন গুড় ও খই মিশিয়ে মোয়া ধীরে ধীরে একটা শিল্প হিসাবে গড়ে ওঠে। এভাবে ‘জয়নগরের মোয়া’ কলকাতার বাজার দখল করে। জয়নগরের মোয়া এবং পাটালিকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে এই এলাকায় তা আমরা লক্ষ করি।