০৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: জ্বালানির সুইচ নিয়ে ককপিটে বিভ্রান্তি খালি পায়ের ডাক্তার: বাংলাদেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার নীরব বিপ্লব হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলা: র‌্যাবের অবস্থান,  বিভীষিকাময় সন্ধ্যা রাজনৈতিক দলের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ: ব্যবসা-বাণিজ্য ও নাগরিক জীবন উদ্বেগে শেখ হাসিনা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান বদলাচ্ছে না ব্যাংক ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের নিয়ম বাংলাদেশের শিল্পায়নের পথে নয়া বাধা? এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন: ‘ফুয়েল সুইচ’ কেটে দেওয়া অবস্থায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকিতে বাংলাদেশের পোশাকের অর্ডার স্থগিত  করেছে ওয়ালমার্ট ‘আমার লাইফটা এলোমেলো, সবকিছু শেষ’- বিবিসিকে বললেন জুলাইয়ে আহত একজন প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৮)

শুল্ক ছাড়ের পরও বাড়ল চাল তেল চিনি ও পেঁয়াজের দাম

  • Sarakhon Report
  • ১০:৪৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • 23

সারাক্ষণ ডেস্ক 

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “শুল্ক ছাড়ের পরও বাড়ল চাল তেল চিনি ও পেঁয়াজের দাম”

বাজারে এক সপ্তাহে একটি পণ্যের দাম কমেছে, বেড়েছে চারটির। দাম কমার তালিকায় আছে শুধু ডিম। নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের।

চারটি পণ্যের দাম আরও বাড়ল এমন এক সময়ে, যখন বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। এই চার পণ্য কেনা ছাড়া সংসারও চলে না। পণ্যগুলোর দাম কমাতে সরকার শুল্ক–করে ছাড় দিয়েছে; কিন্তু এর সুফল এখনো বাজারে পড়েনি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কছাড়ের পণ্য এখনো বাজারে আসেনি। বিশ্ববাজারেও দাম বাড়ছে। অন্যদিকে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, শুল্ক কমানোর সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হবে, তাহলে প্রভাব পড়বে। দাম যাতে কমে, সে বিষয়ে নজরদারিও দরকার।

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রপতির কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, যা জানালো উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা”

দুই মাসের ব্যবধানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে দ্বিমুখী বক্তব্য দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তার এমন দ্বৈতাচারে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশার। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও।

বনিকবার্তার  একটি শিরোনাম “আন্তর্জাতিক নয় অভ্যন্তরীণ কারণেই জেঁকে বসেছে মূল্যস্ফীতি”

দেশে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এর আগে নিত্যপণ্যের বাজারে এ মাত্রার ঊর্ধ্বমুখিতা এত দীর্ঘ সময় বিরাজ করতে দেখা যায়নি। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে কমছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও প্রকৃত আয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এ মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বহিঃস্থ বা দেশের বাইরের উপাদানগুলোকে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতি জেঁকে বসেছে মূলত অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলোর কারণেই।

সর্বশেষ জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের মূল্যস্ফীতির গতিবিধি নিয়ে গতকালই ‘ইনফ্লেশন ডায়নামিকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক নিয়মিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, এ তিন মাসে হেডলাইন মূল্যস্ফীতির অর্ধেকের বেশি বা ৫১ শতাংশ এসেছে খাদ্যপণ্য থেকে। এর মধ্যে বড় অবদান রেখেছে খাদ্যশস্য ও সবজির মূল্যবৃদ্ধি। এর আগে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির বড় প্রভাবক ছিল আমিষ পণ্য, মসলা ও রান্নায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় পণ্য। পাশাপাশি চাল, গম ও সবজির দামে ঊর্ধ্বমুখিতারও ব্যাপক প্রভাব দেখা গেছে। এসব পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় জুলাইয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় গত এক যুগে সর্বোচ্চে। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠে দাঁড়ায় ১৩ বছরে শীর্ষে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসার পেছনে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, বিগত সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে অভিযানের ওপরেই নির্ভর করছে বেশি। শুধু এর ওপর নির্ভর করে থাকলে তা কার্যকর হবে না।

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ১৫ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিকে। তবে গত প্রান্তিকের মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব কিছুটা কমেছে। হেডলাইন মূল্যস্ফীতিতে বাড়িভাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত সেবা খাতে ব্যয় বাড়ার মতো বিষয়গুলোর অবদানও গত প্রান্তিকে বেড়েছে। হেডলাইন মূল্যস্ফীতিতে গত প্রান্তিকে সেবা খাতের ২৫ শতাংশ ও পচনশীল পণ্যের ২৩ শতাংশ অবদান ছিল। যেখানে গত জুনে এ দুই খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে ১২ ও ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে গত জুনে অপচনশীল পণ্যের অবদান ৭০ শতাংশ থাকলেও গত সেপ্টেম্বরে তা ৫২ শতাংশে নেমে এসেছে।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ডেঙ্গুর উল্লম্ফন শিশুদের কান্না”

৯ মাসের শিশু ফারহান আহম্মেদ। বৃহস্পতিবার থেকে তার শরীরে জ্বর। পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শিশুটির বাসা গাজীপুরে। বর্তমানে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। শিশুটির দাদী হাসিনা আক্তার মানবজমিনকে বলেন, আমরা ভেবেছি
এভাবে তো প্রায়ই স্বাভাবিক জ্বর হয়। পরে ফার্মেসি থেকে নাপা এনে খাওয়াতে থাকি। সেদিনই স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। বাসায় নিয়ে আসার পরে জ্বর আরও বাড়তে থাকে। পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শনিবার আবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তারা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা বলেন। শনিবার রাতেই আমরা ঢাকায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন মোটামুটি ভালো আছে কিন্তু কিছু খেতে চাচ্ছে না। ওর শরীরে লাল র‌্যাস দেখা দিয়েছিল। আমাদের দিকে ডেঙ্গুর তেমন কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায় না। কীভাবে কি হলো বুঝতে পারছি না। মঙ্গলবার থেকে ওর মায়ের জ্বর হয়। ওর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা লাগেনি; স্বাভাবিক আছে।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। গত আড়াই মাসে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪০৭ জন। এরমধ্যে ২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এসব রোগীর বয়স ৬ মাস থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত। তবে ৫ থেকে ৮ বছরের শিশুরা বেশি এসেছে। বেশির ভাগ রোগী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার।

গতকাল সরজমিন দেখা যায়, জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই ছুটে এসেছেন হাসপাতালটিতে। বর্তমানে ডেঙ্গু সেলে সবগুলো বেডেই রোগী ভর্তি। শিশুরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। আবার কারও কারও সময় কাটছে মোবাইল ও খেলনা নিয়ে। ওয়ার্ড-১ ডেঙ্গু সেলের ১৭ নম্বর বেডে ১০ বছরের শিশু রুহুল আমিন খান তাসফি ভর্তি রয়েছে। তার মা ইরফানা হক বলেন, আগারগাঁওয়ের ষাট ফিটে আমাদের বাসা। ১৪ই অক্টোবর থেকে ছেলের জ্বর শুরু হয়। প্রথম তিনদিন জ্বর, বমি ও পেটে ব্যথা ছিল। পঞ্চম দিন থেকে বমির সঙ্গে পেটেও সমস্যা দেখা যায়। হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিয়ে আসি। এখন মোটামুটি ভালো আছে। আমাদের পরিবারে এই একজনের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে; তবে বাসার আশপাশে অনেকের হয়েছে। তিনি বলেন, আমি কক্সবাজারে একটি চাকরি করি। এখন এই সময়টা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। আমি একা মানুষ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। ছেলেটি স্কুলে যেতে পারছে না সামনে পরীক্ষা। সে মিরপুরে মণিপুরী স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন একটি বেডে ৭০০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে। মেডিসিন, ফলমূলের দাম তো নাগালের বাইরে। সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে হলে এগুলো খাওয়াতে হবে; তবে দামের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শহরের সব জায়গায় রাস্তাঘাটের অবস্থা তো খুবই খারাপ- খানাখন্দে পানি জমে থাকে। দেশে চিকিৎসাসেবাটা আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন।

এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: জ্বালানির সুইচ নিয়ে ককপিটে বিভ্রান্তি

শুল্ক ছাড়ের পরও বাড়ল চাল তেল চিনি ও পেঁয়াজের দাম

১০:৪৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক 

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “শুল্ক ছাড়ের পরও বাড়ল চাল তেল চিনি ও পেঁয়াজের দাম”

বাজারে এক সপ্তাহে একটি পণ্যের দাম কমেছে, বেড়েছে চারটির। দাম কমার তালিকায় আছে শুধু ডিম। নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের।

চারটি পণ্যের দাম আরও বাড়ল এমন এক সময়ে, যখন বাজারে কোনো স্বস্তি নেই। এই চার পণ্য কেনা ছাড়া সংসারও চলে না। পণ্যগুলোর দাম কমাতে সরকার শুল্ক–করে ছাড় দিয়েছে; কিন্তু এর সুফল এখনো বাজারে পড়েনি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কছাড়ের পণ্য এখনো বাজারে আসেনি। বিশ্ববাজারেও দাম বাড়ছে। অন্যদিকে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, শুল্ক কমানোর সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হবে, তাহলে প্রভাব পড়বে। দাম যাতে কমে, সে বিষয়ে নজরদারিও দরকার।

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রপতির কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, যা জানালো উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা”

দুই মাসের ব্যবধানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে দ্বিমুখী বক্তব্য দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তার এমন দ্বৈতাচারে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশার। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাও।

বনিকবার্তার  একটি শিরোনাম “আন্তর্জাতিক নয় অভ্যন্তরীণ কারণেই জেঁকে বসেছে মূল্যস্ফীতি”

দেশে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এর আগে নিত্যপণ্যের বাজারে এ মাত্রার ঊর্ধ্বমুখিতা এত দীর্ঘ সময় বিরাজ করতে দেখা যায়নি। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে কমছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও প্রকৃত আয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এ মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বহিঃস্থ বা দেশের বাইরের উপাদানগুলোকে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতি জেঁকে বসেছে মূলত অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলোর কারণেই।

সর্বশেষ জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের মূল্যস্ফীতির গতিবিধি নিয়ে গতকালই ‘ইনফ্লেশন ডায়নামিকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক নিয়মিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, এ তিন মাসে হেডলাইন মূল্যস্ফীতির অর্ধেকের বেশি বা ৫১ শতাংশ এসেছে খাদ্যপণ্য থেকে। এর মধ্যে বড় অবদান রেখেছে খাদ্যশস্য ও সবজির মূল্যবৃদ্ধি। এর আগে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির বড় প্রভাবক ছিল আমিষ পণ্য, মসলা ও রান্নায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় পণ্য। পাশাপাশি চাল, গম ও সবজির দামে ঊর্ধ্বমুখিতারও ব্যাপক প্রভাব দেখা গেছে। এসব পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় জুলাইয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় গত এক যুগে সর্বোচ্চে। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠে দাঁড়ায় ১৩ বছরে শীর্ষে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসার পেছনে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, বিগত সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে অভিযানের ওপরেই নির্ভর করছে বেশি। শুধু এর ওপর নির্ভর করে থাকলে তা কার্যকর হবে না।

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ১৫ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিকে। তবে গত প্রান্তিকের মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব কিছুটা কমেছে। হেডলাইন মূল্যস্ফীতিতে বাড়িভাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত সেবা খাতে ব্যয় বাড়ার মতো বিষয়গুলোর অবদানও গত প্রান্তিকে বেড়েছে। হেডলাইন মূল্যস্ফীতিতে গত প্রান্তিকে সেবা খাতের ২৫ শতাংশ ও পচনশীল পণ্যের ২৩ শতাংশ অবদান ছিল। যেখানে গত জুনে এ দুই খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে ১২ ও ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে গত জুনে অপচনশীল পণ্যের অবদান ৭০ শতাংশ থাকলেও গত সেপ্টেম্বরে তা ৫২ শতাংশে নেমে এসেছে।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ডেঙ্গুর উল্লম্ফন শিশুদের কান্না”

৯ মাসের শিশু ফারহান আহম্মেদ। বৃহস্পতিবার থেকে তার শরীরে জ্বর। পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শিশুটির বাসা গাজীপুরে। বর্তমানে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। শিশুটির দাদী হাসিনা আক্তার মানবজমিনকে বলেন, আমরা ভেবেছি
এভাবে তো প্রায়ই স্বাভাবিক জ্বর হয়। পরে ফার্মেসি থেকে নাপা এনে খাওয়াতে থাকি। সেদিনই স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। বাসায় নিয়ে আসার পরে জ্বর আরও বাড়তে থাকে। পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শনিবার আবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তারা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা বলেন। শনিবার রাতেই আমরা ঢাকায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন মোটামুটি ভালো আছে কিন্তু কিছু খেতে চাচ্ছে না। ওর শরীরে লাল র‌্যাস দেখা দিয়েছিল। আমাদের দিকে ডেঙ্গুর তেমন কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায় না। কীভাবে কি হলো বুঝতে পারছি না। মঙ্গলবার থেকে ওর মায়ের জ্বর হয়। ওর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা লাগেনি; স্বাভাবিক আছে।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। গত আড়াই মাসে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪০৭ জন। এরমধ্যে ২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এসব রোগীর বয়স ৬ মাস থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত। তবে ৫ থেকে ৮ বছরের শিশুরা বেশি এসেছে। বেশির ভাগ রোগী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার।

গতকাল সরজমিন দেখা যায়, জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই ছুটে এসেছেন হাসপাতালটিতে। বর্তমানে ডেঙ্গু সেলে সবগুলো বেডেই রোগী ভর্তি। শিশুরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। আবার কারও কারও সময় কাটছে মোবাইল ও খেলনা নিয়ে। ওয়ার্ড-১ ডেঙ্গু সেলের ১৭ নম্বর বেডে ১০ বছরের শিশু রুহুল আমিন খান তাসফি ভর্তি রয়েছে। তার মা ইরফানা হক বলেন, আগারগাঁওয়ের ষাট ফিটে আমাদের বাসা। ১৪ই অক্টোবর থেকে ছেলের জ্বর শুরু হয়। প্রথম তিনদিন জ্বর, বমি ও পেটে ব্যথা ছিল। পঞ্চম দিন থেকে বমির সঙ্গে পেটেও সমস্যা দেখা যায়। হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিয়ে আসি। এখন মোটামুটি ভালো আছে। আমাদের পরিবারে এই একজনের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে; তবে বাসার আশপাশে অনেকের হয়েছে। তিনি বলেন, আমি কক্সবাজারে একটি চাকরি করি। এখন এই সময়টা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। আমি একা মানুষ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। ছেলেটি স্কুলে যেতে পারছে না সামনে পরীক্ষা। সে মিরপুরে মণিপুরী স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন একটি বেডে ৭০০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে। মেডিসিন, ফলমূলের দাম তো নাগালের বাইরে। সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে হলে এগুলো খাওয়াতে হবে; তবে দামের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শহরের সব জায়গায় রাস্তাঘাটের অবস্থা তো খুবই খারাপ- খানাখন্দে পানি জমে থাকে। দেশে চিকিৎসাসেবাটা আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন।