০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত আমিরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৮)

অচল সিকি

গেট পার হয়ে লোকটা পেছনে পেছনে এগিয়ে এলো। বললে, ‘গতকাল আমেরিকার বার্বোন সাহেব খুশি হয়ে পাঁচ টাকা বখশিশ দিয়ে গিয়েছেন, আর এমনিতেও সকলে দেয়-‘

এনামুল বিরক্ত হলো। হ্যাংলামির একটা মাত্রা থাকা উচিত। এই দারোয়ান লোকটা চতুর ও লোভী ধরনের, মুখ দেখে বুঝতে পারে এনামুল। সে ভূক্ষেপ করলো না লোকটার কথায়।

কিন্তু দেরি করলো না জেবুন্নেসা। সে তার কুমিরের চামড়ার ব্যাগ থেকে পাঁচ টাকার একটা নোট বের করে বাড়িয়ে ধরলো। বললে, ‘আবার আমরা যখন আসবো তখন বেশি করে দেবো, এখন এই নাও।’

লম্বা সালাম ঠুকে লোকটা ফিরে গেল। বোঝা গেল খুব খুশি হয়েছে।

ভগ্নস্তূপের চতুর্দিকে ঘুরতে ঘুরতে ওরা অন্য প্রসঙ্গে ডুবে ছিলো, যা কিছুটা অসংলগ্ন। লোভী লোকটা কোথা থেকে উড়ে এসে মধুর আলাপের গায়ে নির্মম অস্ত্রাঘাত করে গেল। এই অতিরিক্ত বখশিশের ব্যাপারে খুশি হতে পারে না এনামুল। সে আড়চোখে জেবুন্নেসার দিকে তাকালো; এ কি উড়োনচণ্ডীপনা-ভাবখানা এই রকম।

‘সত্যিই মায়া হয়! এই ভূতুড়ে জঙ্গলে একা একা বেচারা ইটপাথর সামলে পড়ে আছে!’

এনামুল বললে, ‘তোমার দেওয়া পাঁচটা টাকায় ওর বরাত খুলে যাবে-‘

‘তোমার মনটা ভারি ছোটো। এতো কিপটেমিও জানো। তবু যদি তোমার পকেট থেকে যেতো!’

বাদ দাও।’ এনামুল ফিক করে হেসে বললে, ‘যা বলছিলে তাই বলো।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৮)

১২:০০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

অচল সিকি

গেট পার হয়ে লোকটা পেছনে পেছনে এগিয়ে এলো। বললে, ‘গতকাল আমেরিকার বার্বোন সাহেব খুশি হয়ে পাঁচ টাকা বখশিশ দিয়ে গিয়েছেন, আর এমনিতেও সকলে দেয়-‘

এনামুল বিরক্ত হলো। হ্যাংলামির একটা মাত্রা থাকা উচিত। এই দারোয়ান লোকটা চতুর ও লোভী ধরনের, মুখ দেখে বুঝতে পারে এনামুল। সে ভূক্ষেপ করলো না লোকটার কথায়।

কিন্তু দেরি করলো না জেবুন্নেসা। সে তার কুমিরের চামড়ার ব্যাগ থেকে পাঁচ টাকার একটা নোট বের করে বাড়িয়ে ধরলো। বললে, ‘আবার আমরা যখন আসবো তখন বেশি করে দেবো, এখন এই নাও।’

লম্বা সালাম ঠুকে লোকটা ফিরে গেল। বোঝা গেল খুব খুশি হয়েছে।

ভগ্নস্তূপের চতুর্দিকে ঘুরতে ঘুরতে ওরা অন্য প্রসঙ্গে ডুবে ছিলো, যা কিছুটা অসংলগ্ন। লোভী লোকটা কোথা থেকে উড়ে এসে মধুর আলাপের গায়ে নির্মম অস্ত্রাঘাত করে গেল। এই অতিরিক্ত বখশিশের ব্যাপারে খুশি হতে পারে না এনামুল। সে আড়চোখে জেবুন্নেসার দিকে তাকালো; এ কি উড়োনচণ্ডীপনা-ভাবখানা এই রকম।

‘সত্যিই মায়া হয়! এই ভূতুড়ে জঙ্গলে একা একা বেচারা ইটপাথর সামলে পড়ে আছে!’

এনামুল বললে, ‘তোমার দেওয়া পাঁচটা টাকায় ওর বরাত খুলে যাবে-‘

‘তোমার মনটা ভারি ছোটো। এতো কিপটেমিও জানো। তবু যদি তোমার পকেট থেকে যেতো!’

বাদ দাও।’ এনামুল ফিক করে হেসে বললে, ‘যা বলছিলে তাই বলো।’