০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৮)

অচল সিকি

গেট পার হয়ে লোকটা পেছনে পেছনে এগিয়ে এলো। বললে, ‘গতকাল আমেরিকার বার্বোন সাহেব খুশি হয়ে পাঁচ টাকা বখশিশ দিয়ে গিয়েছেন, আর এমনিতেও সকলে দেয়-‘

এনামুল বিরক্ত হলো। হ্যাংলামির একটা মাত্রা থাকা উচিত। এই দারোয়ান লোকটা চতুর ও লোভী ধরনের, মুখ দেখে বুঝতে পারে এনামুল। সে ভূক্ষেপ করলো না লোকটার কথায়।

কিন্তু দেরি করলো না জেবুন্নেসা। সে তার কুমিরের চামড়ার ব্যাগ থেকে পাঁচ টাকার একটা নোট বের করে বাড়িয়ে ধরলো। বললে, ‘আবার আমরা যখন আসবো তখন বেশি করে দেবো, এখন এই নাও।’

লম্বা সালাম ঠুকে লোকটা ফিরে গেল। বোঝা গেল খুব খুশি হয়েছে।

ভগ্নস্তূপের চতুর্দিকে ঘুরতে ঘুরতে ওরা অন্য প্রসঙ্গে ডুবে ছিলো, যা কিছুটা অসংলগ্ন। লোভী লোকটা কোথা থেকে উড়ে এসে মধুর আলাপের গায়ে নির্মম অস্ত্রাঘাত করে গেল। এই অতিরিক্ত বখশিশের ব্যাপারে খুশি হতে পারে না এনামুল। সে আড়চোখে জেবুন্নেসার দিকে তাকালো; এ কি উড়োনচণ্ডীপনা-ভাবখানা এই রকম।

‘সত্যিই মায়া হয়! এই ভূতুড়ে জঙ্গলে একা একা বেচারা ইটপাথর সামলে পড়ে আছে!’

এনামুল বললে, ‘তোমার দেওয়া পাঁচটা টাকায় ওর বরাত খুলে যাবে-‘

‘তোমার মনটা ভারি ছোটো। এতো কিপটেমিও জানো। তবু যদি তোমার পকেট থেকে যেতো!’

বাদ দাও।’ এনামুল ফিক করে হেসে বললে, ‘যা বলছিলে তাই বলো।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৮)

১২:০০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

অচল সিকি

গেট পার হয়ে লোকটা পেছনে পেছনে এগিয়ে এলো। বললে, ‘গতকাল আমেরিকার বার্বোন সাহেব খুশি হয়ে পাঁচ টাকা বখশিশ দিয়ে গিয়েছেন, আর এমনিতেও সকলে দেয়-‘

এনামুল বিরক্ত হলো। হ্যাংলামির একটা মাত্রা থাকা উচিত। এই দারোয়ান লোকটা চতুর ও লোভী ধরনের, মুখ দেখে বুঝতে পারে এনামুল। সে ভূক্ষেপ করলো না লোকটার কথায়।

কিন্তু দেরি করলো না জেবুন্নেসা। সে তার কুমিরের চামড়ার ব্যাগ থেকে পাঁচ টাকার একটা নোট বের করে বাড়িয়ে ধরলো। বললে, ‘আবার আমরা যখন আসবো তখন বেশি করে দেবো, এখন এই নাও।’

লম্বা সালাম ঠুকে লোকটা ফিরে গেল। বোঝা গেল খুব খুশি হয়েছে।

ভগ্নস্তূপের চতুর্দিকে ঘুরতে ঘুরতে ওরা অন্য প্রসঙ্গে ডুবে ছিলো, যা কিছুটা অসংলগ্ন। লোভী লোকটা কোথা থেকে উড়ে এসে মধুর আলাপের গায়ে নির্মম অস্ত্রাঘাত করে গেল। এই অতিরিক্ত বখশিশের ব্যাপারে খুশি হতে পারে না এনামুল। সে আড়চোখে জেবুন্নেসার দিকে তাকালো; এ কি উড়োনচণ্ডীপনা-ভাবখানা এই রকম।

‘সত্যিই মায়া হয়! এই ভূতুড়ে জঙ্গলে একা একা বেচারা ইটপাথর সামলে পড়ে আছে!’

এনামুল বললে, ‘তোমার দেওয়া পাঁচটা টাকায় ওর বরাত খুলে যাবে-‘

‘তোমার মনটা ভারি ছোটো। এতো কিপটেমিও জানো। তবু যদি তোমার পকেট থেকে যেতো!’

বাদ দাও।’ এনামুল ফিক করে হেসে বললে, ‘যা বলছিলে তাই বলো।’