০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: জ্বালানির সুইচ নিয়ে ককপিটে বিভ্রান্তি খালি পায়ের ডাক্তার: বাংলাদেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার নীরব বিপ্লব হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলা: র‌্যাবের অবস্থান,  বিভীষিকাময় সন্ধ্যা রাজনৈতিক দলের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ: ব্যবসা-বাণিজ্য ও নাগরিক জীবন উদ্বেগে শেখ হাসিনা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান বদলাচ্ছে না ব্যাংক ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের নিয়ম বাংলাদেশের শিল্পায়নের পথে নয়া বাধা? এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন: ‘ফুয়েল সুইচ’ কেটে দেওয়া অবস্থায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকিতে বাংলাদেশের পোশাকের অর্ডার স্থগিত  করেছে ওয়ালমার্ট ‘আমার লাইফটা এলোমেলো, সবকিছু শেষ’- বিবিসিকে বললেন জুলাইয়ে আহত একজন প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৮)

রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ, বিদায়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত

  • Sarakhon Report
  • ০৯:২৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 22

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ, বিদায়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত”

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা প্রতিবন্ধক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা প্রতিবন্ধক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকেছবি: দীপু মালাকার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে চাপ বাড়ছে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের পদ্ধতি কী হবে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে তা স্পষ্ট হতে পারে।

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই দাবিতে শাহবাগ ও বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন।

এ ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ফেনী, মেহেরপুর, নড়াইল ও ঝিনাইদহ থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুপুর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন কয়েক শ বিক্ষোভকারী। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধক) ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান।

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত দুই দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য এবং শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভে রাষ্ট্রপতির বিদায়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো। না হলে সরকারের পক্ষ থেকে এ সপ্তাহের মধ্যেই একটা অবস্থান পরিষ্কার করা হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতিকে বহাল রাখার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সাংবিধানিক নানা বাধ্যবাধকতার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করার পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই, এমন মন্তব্য করার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকার ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুল পাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক”

অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হচ্ছে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ। আপাতত সাড়ে ৯ হাজার বিদ্যালয়ে পদ সৃষ্টিতে অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় ও সচিব কমিটির অনুমোদন শেষে তা যাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। সেখানে অনুমোদনের পর শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয়। তবে সে প্রস্তাবে সায় দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা শুধু যেসব বিদ্যালয়ে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে—এমন বিদ্যালয়ের জন্য ৯ হাজার ৫৭২টি পদ অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল ১৬ অক্টোবর পদ সৃষ্টির নথি অনুমোদন হয়েছে।

আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুল পাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক
প্রাথমিকে সৃষ্টি হচ্ছে ৯ হাজার ৫৭২ সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদআ ড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুল পাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হচ্ছে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ। আপাতত সাড়ে ৯ হাজার বিদ্যালয়ে পদ সৃষ্টিতে অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় ও সচিব কমিটির অনুমোদন শেষে তা যাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। সেখানে অনুমোদনের পর শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয়। তবে সে প্রস্তাবে সায় দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা শুধু যেসব বিদ্যালয়ে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে—এমন বিদ্যালয়ের জন্য ৯ হাজার ৫৭২টি পদ অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল ১৬ অক্টোবর পদ সৃষ্টির নথি অনুমোদন হয়েছে।

সরাসরি নাকি পদোন্নতির মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করা হবে, এ বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পদ সৃষ্টির চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে বিধি তৈরি করা হবে। তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩-এর তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন।

জাতীয় শিক্ষানীতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির আগে সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনূর আল আমীন। তিনি বলেন, এখনই পদ সৃষ্টি করলে সহকারী শিক্ষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আগে সহকারীদের দশম গ্রেড দিয়ে তারপর সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি হলে বর্তমানে যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে আছেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এক দশকে সিএসআর খাতে ব্যাংকের ব্যয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা”

দেশের বঞ্চিত ও অনগ্রসর মানুষের সামাজিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়নে দেশের ব্যাংকগুলোর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অর্থ ব্যয়ের কথা থাকলেও গত দেড় দশকে তা আবর্তিত হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল’ ঘিরে। যেকোনো উপলক্ষ কিংবা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংক চেয়ারম্যান কিংবা এমডিরা সিএসআরের অর্থ জমা দিতেন গণভবনে গিয়ে। হাসিমুখে ত্রাণ তহবিলের সে চেক গ্রহণ করতেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ বছরে দেশের ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এ ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই জমা দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। আর সেই অর্থ দিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনের মতো আয়োজনও করা হয়েছে। কেবল মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্যই শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টে অনুদান দেয়া হয় ২২৭ কোটি টাকা। সিএসআরের অর্থ ব্যয় হয়েছিল মুজিবের জীবনী নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণেও।

সিএসআর হলো এক ধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার বা রীতি, যা সমাজের প্রতি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকে নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত কার্যক্রমের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন ধরনের পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব দূর করা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে বিদ্যমান ক্ষোভ, অসমতা ও দারিদ্র্য কমানোর উদ্দেশ্যেই এর প্রবর্তন। বর্তমানে সারা বিশ্বেই সিএসআর খাতে ব্যয়কে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো প্রজ্ঞাপন জারি করে সিএসআর খাতে ব্যয় করার জন্য ব্যাংকগুলোকে দিকনির্দেশনা দেয়। তারপর একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিধিমালা দেয়া হয়।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সরকারি অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জালিয়াতি”

সরকারি আর্থিক অনুদান পেতে পঞ্চগড় জেলার কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তারা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন অনুদানের জন্য ৪ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল, অফিসিয়াল প্যাড, লোগো, সিল ব্যবহার ও ভুয়া স্মারক দিয়ে প্রত্যয়নপত্র বানিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে জমা করে। যা এরই মধ্যে ধরা পড়েছে। পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া, বোদা ও আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা সহ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার ৫টি উপজেলায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা সহ মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৮১টি। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে মাধ্যমিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক অনুদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা্থর (ইউএনও) কাছে প্রত্যয়নের আবেদন করে। তার মধ্যে যাচাই বাছাইয়ে রেজিস্টারভুক্ত করে ইউএনও্থরা কয়েকটি বিদ্যালয়কে প্রত্যায়নপত্র প্রদান করেন। যারা প্রত্যয়ন পায়নি তারা সিল ও স্বাক্ষর জাল করে তাদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা করে। মন্ত্রণালয় থেকে আরেক দফা যাচাই বাছাইয়ে ইউএনওদের অবগত করা হলে জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে প্রশাসনের। জালিয়াতির ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার জন্য সদর উপজেলা থেকে ২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যায়নপত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে, সেখানে ৮টি আবেদন জমা হয়েছে।

এর মধ্যে ৬টি আবেদন জাল পাওয়া গেছে। সেগুলোতে দেখা গেছে স্বাক্ষর, সিল, প্যাড, লোগো ও স্বারক নকল করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। ভুয়া প্রত্যয়নপত্র তৈরি করার দায়ে কেনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জন্য আগামী ১০ দিনের সময় দিয়ে বিদ্যালয়গুলোকে শোকজ করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী বলেন, আমার দায়িত্বের উপজেলা থেকে মন্ত্রণালয়ে ১০টি আবেদন জমা হয়েছিল বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক যাচাইয়ে আমাদের অবগত করলে আমরা ১টি প্রত্যায়ন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সে প্রতিষ্ঠানের নাম জানিয়েছি। দেখা গেছে বাকি ৯টি আবেদন আমার স্বাক্ষর, সিল, প্যাড, লোগো ও স্বারক নকল করে মন্ত্রণালয়ে জমা করেছে।

 

এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: জ্বালানির সুইচ নিয়ে ককপিটে বিভ্রান্তি

রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ, বিদায়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত

০৯:২৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ, বিদায়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত”

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা প্রতিবন্ধক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা প্রতিবন্ধক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকেছবি: দীপু মালাকার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে চাপ বাড়ছে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের পদ্ধতি কী হবে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে তা স্পষ্ট হতে পারে।

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই দাবিতে শাহবাগ ও বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন।

এ ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ফেনী, মেহেরপুর, নড়াইল ও ঝিনাইদহ থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুপুর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন কয়েক শ বিক্ষোভকারী। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধক) ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান।

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত দুই দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য এবং শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভে রাষ্ট্রপতির বিদায়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো। না হলে সরকারের পক্ষ থেকে এ সপ্তাহের মধ্যেই একটা অবস্থান পরিষ্কার করা হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতিকে বহাল রাখার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সাংবিধানিক নানা বাধ্যবাধকতার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করার পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই, এমন মন্তব্য করার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকার ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুল পাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক”

অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হচ্ছে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ। আপাতত সাড়ে ৯ হাজার বিদ্যালয়ে পদ সৃষ্টিতে অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় ও সচিব কমিটির অনুমোদন শেষে তা যাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। সেখানে অনুমোদনের পর শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয়। তবে সে প্রস্তাবে সায় দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা শুধু যেসব বিদ্যালয়ে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে—এমন বিদ্যালয়ের জন্য ৯ হাজার ৫৭২টি পদ অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল ১৬ অক্টোবর পদ সৃষ্টির নথি অনুমোদন হয়েছে।

আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুল পাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক
প্রাথমিকে সৃষ্টি হচ্ছে ৯ হাজার ৫৭২ সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদআ ড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্কুল পাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হচ্ছে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ। আপাতত সাড়ে ৯ হাজার বিদ্যালয়ে পদ সৃষ্টিতে অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় ও সচিব কমিটির অনুমোদন শেষে তা যাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। সেখানে অনুমোদনের পর শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয়। তবে সে প্রস্তাবে সায় দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা শুধু যেসব বিদ্যালয়ে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে—এমন বিদ্যালয়ের জন্য ৯ হাজার ৫৭২টি পদ অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল ১৬ অক্টোবর পদ সৃষ্টির নথি অনুমোদন হয়েছে।

সরাসরি নাকি পদোন্নতির মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করা হবে, এ বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পদ সৃষ্টির চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে বিধি তৈরি করা হবে। তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩-এর তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন।

জাতীয় শিক্ষানীতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির আগে সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনূর আল আমীন। তিনি বলেন, এখনই পদ সৃষ্টি করলে সহকারী শিক্ষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আগে সহকারীদের দশম গ্রেড দিয়ে তারপর সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি হলে বর্তমানে যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে আছেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এক দশকে সিএসআর খাতে ব্যাংকের ব্যয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা”

দেশের বঞ্চিত ও অনগ্রসর মানুষের সামাজিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়নে দেশের ব্যাংকগুলোর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অর্থ ব্যয়ের কথা থাকলেও গত দেড় দশকে তা আবর্তিত হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল’ ঘিরে। যেকোনো উপলক্ষ কিংবা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংক চেয়ারম্যান কিংবা এমডিরা সিএসআরের অর্থ জমা দিতেন গণভবনে গিয়ে। হাসিমুখে ত্রাণ তহবিলের সে চেক গ্রহণ করতেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ বছরে দেশের ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এ ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই জমা দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। আর সেই অর্থ দিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনের মতো আয়োজনও করা হয়েছে। কেবল মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্যই শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টে অনুদান দেয়া হয় ২২৭ কোটি টাকা। সিএসআরের অর্থ ব্যয় হয়েছিল মুজিবের জীবনী নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণেও।

সিএসআর হলো এক ধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার বা রীতি, যা সমাজের প্রতি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকে নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত কার্যক্রমের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন ধরনের পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব দূর করা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে বিদ্যমান ক্ষোভ, অসমতা ও দারিদ্র্য কমানোর উদ্দেশ্যেই এর প্রবর্তন। বর্তমানে সারা বিশ্বেই সিএসআর খাতে ব্যয়কে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো প্রজ্ঞাপন জারি করে সিএসআর খাতে ব্যয় করার জন্য ব্যাংকগুলোকে দিকনির্দেশনা দেয়। তারপর একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিধিমালা দেয়া হয়।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সরকারি অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জালিয়াতি”

সরকারি আর্থিক অনুদান পেতে পঞ্চগড় জেলার কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তারা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন অনুদানের জন্য ৪ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল, অফিসিয়াল প্যাড, লোগো, সিল ব্যবহার ও ভুয়া স্মারক দিয়ে প্রত্যয়নপত্র বানিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে জমা করে। যা এরই মধ্যে ধরা পড়েছে। পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া, বোদা ও আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করা সহ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জানা যায়, জেলার ৫টি উপজেলায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা সহ মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৮১টি। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে মাধ্যমিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক অনুদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা্থর (ইউএনও) কাছে প্রত্যয়নের আবেদন করে। তার মধ্যে যাচাই বাছাইয়ে রেজিস্টারভুক্ত করে ইউএনও্থরা কয়েকটি বিদ্যালয়কে প্রত্যায়নপত্র প্রদান করেন। যারা প্রত্যয়ন পায়নি তারা সিল ও স্বাক্ষর জাল করে তাদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা করে। মন্ত্রণালয় থেকে আরেক দফা যাচাই বাছাইয়ে ইউএনওদের অবগত করা হলে জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে প্রশাসনের। জালিয়াতির ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার জন্য সদর উপজেলা থেকে ২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যায়নপত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে, সেখানে ৮টি আবেদন জমা হয়েছে।

এর মধ্যে ৬টি আবেদন জাল পাওয়া গেছে। সেগুলোতে দেখা গেছে স্বাক্ষর, সিল, প্যাড, লোগো ও স্বারক নকল করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। ভুয়া প্রত্যয়নপত্র তৈরি করার দায়ে কেনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জন্য আগামী ১০ দিনের সময় দিয়ে বিদ্যালয়গুলোকে শোকজ করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী বলেন, আমার দায়িত্বের উপজেলা থেকে মন্ত্রণালয়ে ১০টি আবেদন জমা হয়েছিল বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক যাচাইয়ে আমাদের অবগত করলে আমরা ১টি প্রত্যায়ন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সে প্রতিষ্ঠানের নাম জানিয়েছি। দেখা গেছে বাকি ৯টি আবেদন আমার স্বাক্ষর, সিল, প্যাড, লোগো ও স্বারক নকল করে মন্ত্রণালয়ে জমা করেছে।