০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • 64

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

বইপুস্তক তৈরির বিশেষ পদ্ধতি

 লিখন-পদ্ধতিকে প্রসারিত করে আমরা বই-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে পারি। সাধারণভাবে কিছু গাছের ছাল দিয়ে একরকম শক্ত পাতা তৈরি করে তার উপর লিখে বই-এর মত তৈরি করা হত। এরকম আকারের বইকে কোডেক্স (Codex) বলা হয়।

কিন্তু এই ধরনের বিশেষ সারস্বত শৈলী সমসাময়িক স্প্যানিশ পুরোহিতরা ক্ষয় করতে পারেনি। জোর করে এইসব বই জাতীয় পাণ্ডুলিপি তারা পুড়িয়ে দিত বা অন্য কোনোভাবে নষ্ট করে দিত। এই কুকীর্তির জনৈক নায়কের নাম বিশপ দিয়েগো দে লান্দা (Bishop Diego De Landa)।

মায়া পাণ্ডুলিপির এই হাজারো সমাহার থেকে এখন মাত্র তিনটি অক্ষত অবস্থায় আছে। এই তিনটি হল মাদ্রিদ, ড্রেসডেন এবং প্যারিস কোডিস। এছাড়া অন্য একটি কোডেক্স-এর অস্তিত্ব দেখা গেছে যার নাম গ্রোলিয়ের (Grolier)। এর থেকে চারটি পাতা এখনো অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে এই চতুর্থ কোডেক্স-এর প্রামাণ্যতা নিয়ে কিছু পুরাতাত্ত্বিকদের এর আকারে ছিল।

তবে এদের মধ্যে অনেকগুলি সময়ের চাপে নষ্ট হয়ে গেছে।মায়াদের কোডেক্স, বই এবং জ্ঞান নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা হয়েছে। এর মধ্যে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ভাষাবিদ এবং শিলালিপি বিশারদ মাইকেল কো-এর মন্তব্য উল্লেখ করা যায়। কো’র মত হল সব রকমের বই-তথ্যর মধ্যে কেবল চারটি এখন পর্যন্ত অক্ষত আছে।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪৩)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪৪)

০৬:০০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

বইপুস্তক তৈরির বিশেষ পদ্ধতি

 লিখন-পদ্ধতিকে প্রসারিত করে আমরা বই-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে পারি। সাধারণভাবে কিছু গাছের ছাল দিয়ে একরকম শক্ত পাতা তৈরি করে তার উপর লিখে বই-এর মত তৈরি করা হত। এরকম আকারের বইকে কোডেক্স (Codex) বলা হয়।

কিন্তু এই ধরনের বিশেষ সারস্বত শৈলী সমসাময়িক স্প্যানিশ পুরোহিতরা ক্ষয় করতে পারেনি। জোর করে এইসব বই জাতীয় পাণ্ডুলিপি তারা পুড়িয়ে দিত বা অন্য কোনোভাবে নষ্ট করে দিত। এই কুকীর্তির জনৈক নায়কের নাম বিশপ দিয়েগো দে লান্দা (Bishop Diego De Landa)।

মায়া পাণ্ডুলিপির এই হাজারো সমাহার থেকে এখন মাত্র তিনটি অক্ষত অবস্থায় আছে। এই তিনটি হল মাদ্রিদ, ড্রেসডেন এবং প্যারিস কোডিস। এছাড়া অন্য একটি কোডেক্স-এর অস্তিত্ব দেখা গেছে যার নাম গ্রোলিয়ের (Grolier)। এর থেকে চারটি পাতা এখনো অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে এই চতুর্থ কোডেক্স-এর প্রামাণ্যতা নিয়ে কিছু পুরাতাত্ত্বিকদের এর আকারে ছিল।

তবে এদের মধ্যে অনেকগুলি সময়ের চাপে নষ্ট হয়ে গেছে।মায়াদের কোডেক্স, বই এবং জ্ঞান নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা হয়েছে। এর মধ্যে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ভাষাবিদ এবং শিলালিপি বিশারদ মাইকেল কো-এর মন্তব্য উল্লেখ করা যায়। কো’র মত হল সব রকমের বই-তথ্যর মধ্যে কেবল চারটি এখন পর্যন্ত অক্ষত আছে।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪৩)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৪৩)