০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
কেন পৃথিবী জুড়ে ঘূর্ণিঝড় আগের থেকে বেশি হচ্ছেঃ বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও জাপান বিপদের মুখে দক্ষিণ ব্রাজিলে ভয়াবহ টর্নেডোতে অন্তত ৬ জন নিহত, আহত শতাধিক ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ‘ফুং-ওয়ং’-এর আঘাত: কালমাগি’র ধ্বংসের পর নতুন বিপর্যয়ের আশঙ্কা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত মার্ক উড আশ্বাস দিলেন, অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার কটাক্ষ সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড দল তাপ থেরাপিতে রক্তচাপ কমানোর আশার আলো: নতুন গবেষণায় চমকপ্রদ ফলাফল জাকার্তার মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: আতঙ্কে শহর, আহত ৫৫ জন গাজায় বর্জ্য সংকট: দূষণে ডুবে স্বাস্থ্য বিপর্যয় তানজানিয়ায় রক্তে রাঙানো দমন-পীড়ন: এক ভয়াবহ নতুন বাস্তবতা ভারতের অদ্ভুত স্থিতিশীলতা

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫১)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 20

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

এই হাতে কাটা তাঁতশাড়ি সাধারণত একই আকার ও দামের করা হত। কিন্তু স্প্যানিশ আগমনের পর এই তাঁতবস্ত্রকে মায়ারা নানা অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই মায়াশাড়ি পাতি আবার ভারতবর্ষের বাংলা, অসমে দেখা যায়। এইসব অঞ্চলে পাতির অর্থ হল লম্বা একফালি কাপড়। আবার এমন হতে পারে যে বিশেষ কায়দায় বোনা শাড়ি হল পাট (পাটভাঙা শাড়ি স্মর্তব্য)।

সংস্কৃত ভাষায় আমরা দেখেছি পাট্টা। মায়া এবং মায়াদের মধ্যে এটি হল ধ্বনিগত ও শব্দগত সাদৃশ্যের নমুনা। এই মিল প্রসঙ্গে পুরাতাত্ত্বিকরা মনে করেন প্রাচীনকালে ভারতবর্ষ ও মেক্সিকোর মধ্যে সূতো, শাড়ির ব্যবসা ছিল। এই সূত্র থেকে শব্দ ও অন্যান্য দিকে পারস্পরিক প্রভাব প্রক্রিয়া ঘটেছিল বলে মনে করা হয়।

মায়া-সমাজে রঙ্গীন চিত্রাঙ্কণ: মায়াদের মধ্যে শিল্প-সংস্কৃতি, শিল্পকলা, চারুকলা সব রকমের গুণাবলী দেখা গেছে। এই গুণাবলীর অন্যতম সংযোজন হল রঙ্গীন চিত্রাঙ্কণ বা পেইন্টিং। চিত্রকলায় মায়ারা এক উচ্চমার্গীয় স্তরে পৌঁছেছিল। মায়াদের চিত্রাঙ্কণ বিশেষ মান অর্জন করেছিল দেয়ালচিত্রে। মহাভারতের যুগে আমাদের দেশে রাজপ্রাসাদ তৈরিতে মায়া-স্থাপত্যের বিশেষ ভূমিকা ছিল।

এই মিল ও প্রভাব থেকে একথা মনে করা যায় মেক্সিকো ও ভারতবর্ষের স্থপতি ও ভাস্কররা দুই দেশে কাজ করেছিলেন। বিশেষ করে অজন্তার গুহা ভাস্কর্যে যে দক্ষতা শৈলীর ছাপ আমরা দেখি তাতে মেক্সিকো তথা মায়াশিল্পীদের ছাপ স্পষ্ট অনুভব করা যায়। আবার মেক্সিকোতে দেয়ালচিত্রে যেসব হাতির মাথা নিয়ে দেবতামূর্তি দেখা যায় তা থেকে মনে করা যায় ভারতীয় শিল্পী ও ভাস্কররা মেক্সিকোতে গিয়ে এই ধরনের কাজ করেছিল। কেননা ঐ সময়ে মেক্সিকোতে হাতি বা হাতির ধারণা ছিল না।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫০)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫০)

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন পৃথিবী জুড়ে ঘূর্ণিঝড় আগের থেকে বেশি হচ্ছেঃ বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও জাপান বিপদের মুখে

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫১)

০৬:০০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

এই হাতে কাটা তাঁতশাড়ি সাধারণত একই আকার ও দামের করা হত। কিন্তু স্প্যানিশ আগমনের পর এই তাঁতবস্ত্রকে মায়ারা নানা অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই মায়াশাড়ি পাতি আবার ভারতবর্ষের বাংলা, অসমে দেখা যায়। এইসব অঞ্চলে পাতির অর্থ হল লম্বা একফালি কাপড়। আবার এমন হতে পারে যে বিশেষ কায়দায় বোনা শাড়ি হল পাট (পাটভাঙা শাড়ি স্মর্তব্য)।

সংস্কৃত ভাষায় আমরা দেখেছি পাট্টা। মায়া এবং মায়াদের মধ্যে এটি হল ধ্বনিগত ও শব্দগত সাদৃশ্যের নমুনা। এই মিল প্রসঙ্গে পুরাতাত্ত্বিকরা মনে করেন প্রাচীনকালে ভারতবর্ষ ও মেক্সিকোর মধ্যে সূতো, শাড়ির ব্যবসা ছিল। এই সূত্র থেকে শব্দ ও অন্যান্য দিকে পারস্পরিক প্রভাব প্রক্রিয়া ঘটেছিল বলে মনে করা হয়।

মায়া-সমাজে রঙ্গীন চিত্রাঙ্কণ: মায়াদের মধ্যে শিল্প-সংস্কৃতি, শিল্পকলা, চারুকলা সব রকমের গুণাবলী দেখা গেছে। এই গুণাবলীর অন্যতম সংযোজন হল রঙ্গীন চিত্রাঙ্কণ বা পেইন্টিং। চিত্রকলায় মায়ারা এক উচ্চমার্গীয় স্তরে পৌঁছেছিল। মায়াদের চিত্রাঙ্কণ বিশেষ মান অর্জন করেছিল দেয়ালচিত্রে। মহাভারতের যুগে আমাদের দেশে রাজপ্রাসাদ তৈরিতে মায়া-স্থাপত্যের বিশেষ ভূমিকা ছিল।

এই মিল ও প্রভাব থেকে একথা মনে করা যায় মেক্সিকো ও ভারতবর্ষের স্থপতি ও ভাস্কররা দুই দেশে কাজ করেছিলেন। বিশেষ করে অজন্তার গুহা ভাস্কর্যে যে দক্ষতা শৈলীর ছাপ আমরা দেখি তাতে মেক্সিকো তথা মায়াশিল্পীদের ছাপ স্পষ্ট অনুভব করা যায়। আবার মেক্সিকোতে দেয়ালচিত্রে যেসব হাতির মাথা নিয়ে দেবতামূর্তি দেখা যায় তা থেকে মনে করা যায় ভারতীয় শিল্পী ও ভাস্কররা মেক্সিকোতে গিয়ে এই ধরনের কাজ করেছিল। কেননা ঐ সময়ে মেক্সিকোতে হাতি বা হাতির ধারণা ছিল না।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫০)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫০)