সারাক্ষণ ডেস্ক
স্যান্ডার্স দ্বীপে পেঙ্গুইনের জীবন
স্যান্ডার্স দ্বীপের ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে একটি জেন্টু পেঙ্গুইন ছানা, যা প্রাণীজগতের ফটোগ্রাফার উরসুলা ক্লেয়ার ফ্র্যাঙ্কলিন ধারণ করেছেন। দক্ষিণ গোলার্ধে পেঙ্গুইনদের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার জন্য তিনি একটি বিশেষ মিশন হাতে নিয়েছেন।
একটি বরফময় দ্বীপের গল্প
ডিসেপশন দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে দেখা যায় এক গোলাপি রেখা, যা হাজার হাজার ক্রিলের দেহ গরম আগ্নেয়গিরির পানিতে সেদ্ধ হয়ে তীরে উঠে এসেছে। এই ক্রিলগুলোই দ্বীপের পেঙ্গুইনদের প্রধান খাদ্য।
পেঙ্গুইনদের বৈচিত্র্যময় বাসস্থান
অ্যান্টার্কটিকার সাথে পেঙ্গুইনদের নাম বেশ মিলে যায়। তবে ১৮টি পেঙ্গুইন প্রজাতির মধ্যে কেবল অ্যাডেলি এবং এম্পেরর পেঙ্গুইনই অ্যান্টার্কটিকার স্থায়ী বাসিন্দা। বাকি প্রজাতিগুলোর বাসস্থান বিস্তৃত, যেমন ম্যাকারোনি পেঙ্গুইন দক্ষিণ আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরে পাওয়া যায়, আর গ্যালাপাগোস পেঙ্গুইন কখনও কখনও নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে।
মিশন পেঙ্গুইন
২০১২ সালে, উরসুলা ফ্র্যাঙ্কলিন এই প্রকল্প শুরু করেন। দীর্ঘ সময় ধরে পেঙ্গুইনদের ছবি ধারণের মাধ্যমে তিনি তাদের আচরণ এবং জীবনধারা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন।
পেঙ্গুইনদের জীবন
- রকহপার পেঙ্গুইন: দক্ষিণ রকহপার পেঙ্গুইনরা ফকল্যান্ড দ্বীপের সমুদ্রতটের উঁচু পাথর বেয়ে তাদের উপনিবেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
- চিনস্ট্রাপ পেঙ্গুইন: চিনস্ট্রাপ পেঙ্গুইনরা অত্যন্ত সামাজিক এবং তাদের উপনিবেশে প্রায় ১,০০,০০০ জোড়া পেঙ্গুইন একত্রে থাকে।
- মোসেলি রকহপার পেঙ্গুইন: এরা আজীবন সঙ্গী হয় এবং প্রধানত ট্রিস্টান দা কুনহায় পাওয়া যায়।
- জেন্টু পেঙ্গুইন: দ্রুততম সাঁতারু জেন্টু পেঙ্গুইনদের ছানারা স্কুয়া, ফেরাল বিড়াল এবং অন্যান্য শিকারীদের ঝুঁকিতে থাকে।
- অ্যাডেলি পেঙ্গুইন: এরা একযোগে সব পালক ঝরানোর প্রক্রিয়া “ক্যাটাস্ট্রফিক মোল্ট”-এ যায়, যা ২ থেকে ৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয়।
- এম্পেরর পেঙ্গুইন: অ্যান্টার্কটিকার তুষারে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে এদের প্রজনন উপনিবেশ দেখা যায়।
- কিং পেঙ্গুইন: দক্ষিণ জর্জিয়ায় প্রায় ১,০০,০০০ পেঙ্গুইনের একটি বিশাল উপনিবেশ রয়েছে।
- ইয়েলো-আইড পেঙ্গুইন: এটি একাকী থাকার প্রবণতা রাখে এবং তাদের সংখ্যা প্রায় ৩,০০০-এ সীমাবদ্ধ।
পেঙ্গুইনদের ভবিষ্যৎ
পেঙ্গুইনদের জীবন বাঁচাতে উরসুলা ফ্র্যাঙ্কলিনের মিশন পেঙ্গুইন প্রকল্পটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এটি শুধু তাদের ছবি ধারণ করাই নয়, বরং তাদের টিকে থাকার লড়াই তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা।