নটে শাক
Amaranthus tricolor (Amaranthaceae)
নটে শাক চাষ করতে হয়, তবে এই শাকের অনেক জাত ডাঙা জমির আগাছা হিসাবেও জন্মায়। প্রায় সারা বছরেই পাওয়া যায়। গুল্ম জাতীয় গাছ। কাটোয়া ডাঁটা ও লাল নটের বীজ সাধারণত চৈত্র ও বৈশাখ মাসে ডাঙা জমিতে লাগাতে হয়। বর্ষার পরে ফুল ও বীজ হয়। বাংলাদেশে এই শাক খুড়িয়া শাক, আম নটে, খুদুরি, বৈলবলি শাক,মারিশ ইত্যাদি নামেও পরিচিত। সাধারণত বাজারে দুই ধরনের নটেশাক পাওয়া যায়। যেমন–সবুজ নটে ও রাঙা (লাল) নটে।

নটে শাক ভেজে ও তরকারি করে খাওয়া যায়। এটা খেতে বেশ মুখরোচক। সহজে হজম হয়। এবং হজম শক্তি বাড়ায়। পায়খানা, প্রস্রাব পরিষ্কার করে। রক্ত পরিষ্কার করে। এর শিকড় বেটে নখকুনিতে লাগালে ব্যথা ভালো হয়। এর শিকড় বেটে গরম জলের সাথে খেলে বমি হয়ে বিষ বার করে ভালো করে দেয়।
কাটোয়া ডাঁটা যাকে বলে সেটাও নটে শাকের মতই উপকারি। আরও কয়েক রকমের নটে শাক আছে। তবে সব কটার গুণ প্রায় একই রকম। যেমন ১) লাল নটে, ২) গোবরা নটে, ৩) বাঁশপাতা নটে, ৪) লাল বাঁশ পাতা নটে। আবার কতকগুলি বিনা চাষে হয়। যেমন, ১) টুনটুনি নটে, ২) চিরু নটে, ৩) ঘোন্টি নটে, ৪) বন নটে, ৫) কাঁটা নটে।
(চলবে)
বাংলার শাক (পর্ব-৫)
Sarakhon Report 



















