০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
জীবনের টানাপোড়েনের কথাকার, ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জোয়ানা ট্রলোপের প্রয়াণ প্রতিরক্ষা ক্রয় নিয়ে তদন্ত বিস্তৃত করল দক্ষিণ কোরিয়া প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪০) শেক্‌সপিয়ারের নীরব স্ত্রীকে কেন্দ্র করে হ্যামনেট: শোকের গল্পে নতুন ভাষা ইভি আমদানি বাড়ায় মানদণ্ড কঠোর করছে ভিয়েতনাম মুদ্রাস্ফীতি কমলেও সুদহার নিয়ে সতর্ক শ্রীলঙ্কা মরুভূমিতে হঠাৎ বন্যা: ওমানে প্রাণঘাতী বৃষ্টির নতুন বাস্তবতা চীনের বিনিয়োগে ঐতিহাসিক মোড়, তিন দশকের ধারাবাহিকতা ভাঙার মুখে অর্থনীতি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা প্রত্যাহারের দাবি সম্পাদক পরিষদের

ড্রোন ডেলিভারি নিয়ে পরীক্ষা

  • Sarakhon Report
  • ০২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 66

ডেলিভারির কাজে ড্রোন ব্যবহারের চেষ্টা চলছে নানা দেশে

আপনি কি চান আপনার অর্ডার করা পিজা আপনার কাছে পৌঁছে দিক ড্রোন? কয়েক বছরের মধ্যে হয়ত সেটা সম্ভব হতে পারে৷ যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে একটি পরীক্ষা চলছে৷ তবে নিরাপত্তা, নীতিমালা ইত্যাদি নিয়ে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে৷

ডেলিভারি কাজে ড্রোন ব্যবহারের কথা অনেকদিন ধরে ভাবা হচ্ছে৷ তবে কিছু জটিলতা আছে৷

বর্তমানে আকাশে অনেক বেশি বিমান চলছে৷ এর সঙ্গে ড্রোন যোগ হলে সমস্যা হবে না? বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কী হবে?

আকাশে চলাচলের নিয়মটা সাধারণ: নিচু এলাকা দিয়ে ড্রোন চলে, আর বিমানের জন্য বরাদ্দ উঁচু এলাকা৷

রাস্তার মতো ড্রোনের জন্যও মহাসড়কের প্রয়োজন হবে৷ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ‘ড্রোন করিডোর’ নিয়ে পরীক্ষা চলছে৷

যুক্তরাজ্যে বেশ বড় কাজ হচ্ছে৷ কয়েকটি শহরকে জুড়তে ২৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রুট তৈরি করা হয়েছে৷

যে-কোনো এলাকা দিয়ে করিডোরে ঢুকতে পারে ড্রোন৷ একটি মনিটরিং ব্যবস্থা সম্ভাব্য সংঘর্ষের উপর নজর রাখবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে৷

এখনও কাজ চলছে- তবে পরীক্ষা শেষ হলে সেটি ড্রোন ডেলিভারি বিষয়ে অনেক বড় একটি কাজ হবে৷

২০২৫ সালের শুরুর দিকে সিস্টেমটি বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করতে পারে৷

ড্রোন চালক ব়্যামন ডেভিস বলেন, ‘‘আমার মনে হয় একই সময়ে আকাশে অনেকগুলো ড্রোন উড়ানোর এটা একটা সেরা উপায়, কারণ, বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও আমরা তেমনটা করি৷ বিমানও ইচ্ছেমতো যে-কোনো পথে যেতে পারে না, একটা করিডোর অনুসরণ করতে হয়৷”

তবে অনেক সমস্যার মধ্যে মাত্র একটি সমস্যার সমাধান হচ্ছে ড্রোন করিডোর৷

গুজরাট ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির কীর্তন শেনয় বলেন, ‘‘বিমানের এয়ারস্পেসের সঙ্গে ড্রোনকে একত্রিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ, এটাই নিরাপত্তার মূল বিষয়৷”

ভারী ড্রোনের জন্য ‘রিমোট আইডি’ দরকার, যেটা আসলে ড্রোনের লাইসেন্স প্লেট৷ এটি দিয়ে ড্রোনকে ট্র্যাক করা যায়, মালিকানা দেওয়া যায়- এটি গুরুত্বপূর্ণ, যেমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে৷

সংঘর্ষ এড়াতে ‘ডিটেক্ট অ্যান্ড অ্যাভয়েড’ সিস্টেম দিয়ে ড্রোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷

নিরাপদ যাত্রা শেষে নামার জন্য জায়গা প্রয়োজন৷ বর্তমানে বিমানবন্দরের আশেপাশে ড্রোন চালানোর অনুমতি নেই, তবে ভবিষ্যতে বিমানবন্দরে ড্রোন নামার আলাদা জায়গা থাকতে পারে৷ শহরের কেন্দ্রেও ড্রোন নামার জায়গা থাকবে৷

তবে আপনি শহরে থাকলেও হয়ত আপনার দো়রগড়ায় ডেলিভারি নিতে পারবেন না৷ আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে৷

কীর্তন শেনয় জানান, ‘‘আমরা বলতে পারি ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের একটা সাধারণ অবকাঠামো গড়ে উঠবে, যেখানে সীমিত পরিসরে হলেও বিমানের এয়ারস্পেসের সঙ্গে ড্রোনের একত্রিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে৷”

তাহলে কবে ড্রোন আপনার পিজা দিয়ে যাবে? এখনও অনেকদিন লাগবে৷

প্রযুক্তির উন্নতি হলেও নীতিমালা, নিরাপত্তা ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে বিপত্তি ইত্যাদি নিয়ে এখনও অনেক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে৷

সত্যি বলতে এক্ষেত্রে ধীরে চলা ভালো, কারণ আকাশ থেকে ড্রোন পড়ে গেলে মারাত্মক শারীরিকসহ অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে৷

ডেলিভারি সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে ড্রোন৷ তবে ড্রোন দিয়ে আপনার দোরগড়ায় পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়৷ এছাড়া আকাশে অসংখ্য ড্রোন উড়ে বেড়ানো আসলেই নিরাপদ কিনা তাও নিশ্চিত নয়৷

ডিডাব্লিউ ডটকম

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবনের টানাপোড়েনের কথাকার, ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জোয়ানা ট্রলোপের প্রয়াণ

ড্রোন ডেলিভারি নিয়ে পরীক্ষা

০২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আপনি কি চান আপনার অর্ডার করা পিজা আপনার কাছে পৌঁছে দিক ড্রোন? কয়েক বছরের মধ্যে হয়ত সেটা সম্ভব হতে পারে৷ যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে একটি পরীক্ষা চলছে৷ তবে নিরাপত্তা, নীতিমালা ইত্যাদি নিয়ে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে৷

ডেলিভারি কাজে ড্রোন ব্যবহারের কথা অনেকদিন ধরে ভাবা হচ্ছে৷ তবে কিছু জটিলতা আছে৷

বর্তমানে আকাশে অনেক বেশি বিমান চলছে৷ এর সঙ্গে ড্রোন যোগ হলে সমস্যা হবে না? বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কী হবে?

আকাশে চলাচলের নিয়মটা সাধারণ: নিচু এলাকা দিয়ে ড্রোন চলে, আর বিমানের জন্য বরাদ্দ উঁচু এলাকা৷

রাস্তার মতো ড্রোনের জন্যও মহাসড়কের প্রয়োজন হবে৷ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ‘ড্রোন করিডোর’ নিয়ে পরীক্ষা চলছে৷

যুক্তরাজ্যে বেশ বড় কাজ হচ্ছে৷ কয়েকটি শহরকে জুড়তে ২৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রুট তৈরি করা হয়েছে৷

যে-কোনো এলাকা দিয়ে করিডোরে ঢুকতে পারে ড্রোন৷ একটি মনিটরিং ব্যবস্থা সম্ভাব্য সংঘর্ষের উপর নজর রাখবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে৷

এখনও কাজ চলছে- তবে পরীক্ষা শেষ হলে সেটি ড্রোন ডেলিভারি বিষয়ে অনেক বড় একটি কাজ হবে৷

২০২৫ সালের শুরুর দিকে সিস্টেমটি বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করতে পারে৷

ড্রোন চালক ব়্যামন ডেভিস বলেন, ‘‘আমার মনে হয় একই সময়ে আকাশে অনেকগুলো ড্রোন উড়ানোর এটা একটা সেরা উপায়, কারণ, বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও আমরা তেমনটা করি৷ বিমানও ইচ্ছেমতো যে-কোনো পথে যেতে পারে না, একটা করিডোর অনুসরণ করতে হয়৷”

তবে অনেক সমস্যার মধ্যে মাত্র একটি সমস্যার সমাধান হচ্ছে ড্রোন করিডোর৷

গুজরাট ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির কীর্তন শেনয় বলেন, ‘‘বিমানের এয়ারস্পেসের সঙ্গে ড্রোনকে একত্রিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ, এটাই নিরাপত্তার মূল বিষয়৷”

ভারী ড্রোনের জন্য ‘রিমোট আইডি’ দরকার, যেটা আসলে ড্রোনের লাইসেন্স প্লেট৷ এটি দিয়ে ড্রোনকে ট্র্যাক করা যায়, মালিকানা দেওয়া যায়- এটি গুরুত্বপূর্ণ, যেমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে৷

সংঘর্ষ এড়াতে ‘ডিটেক্ট অ্যান্ড অ্যাভয়েড’ সিস্টেম দিয়ে ড্রোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷

নিরাপদ যাত্রা শেষে নামার জন্য জায়গা প্রয়োজন৷ বর্তমানে বিমানবন্দরের আশেপাশে ড্রোন চালানোর অনুমতি নেই, তবে ভবিষ্যতে বিমানবন্দরে ড্রোন নামার আলাদা জায়গা থাকতে পারে৷ শহরের কেন্দ্রেও ড্রোন নামার জায়গা থাকবে৷

তবে আপনি শহরে থাকলেও হয়ত আপনার দো়রগড়ায় ডেলিভারি নিতে পারবেন না৷ আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে৷

কীর্তন শেনয় জানান, ‘‘আমরা বলতে পারি ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের একটা সাধারণ অবকাঠামো গড়ে উঠবে, যেখানে সীমিত পরিসরে হলেও বিমানের এয়ারস্পেসের সঙ্গে ড্রোনের একত্রিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে৷”

তাহলে কবে ড্রোন আপনার পিজা দিয়ে যাবে? এখনও অনেকদিন লাগবে৷

প্রযুক্তির উন্নতি হলেও নীতিমালা, নিরাপত্তা ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে বিপত্তি ইত্যাদি নিয়ে এখনও অনেক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে৷

সত্যি বলতে এক্ষেত্রে ধীরে চলা ভালো, কারণ আকাশ থেকে ড্রোন পড়ে গেলে মারাত্মক শারীরিকসহ অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে৷

ডেলিভারি সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে ড্রোন৷ তবে ড্রোন দিয়ে আপনার দোরগড়ায় পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়৷ এছাড়া আকাশে অসংখ্য ড্রোন উড়ে বেড়ানো আসলেই নিরাপদ কিনা তাও নিশ্চিত নয়৷

ডিডাব্লিউ ডটকম