০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

আগরতলার ঘটনায় গ্রেফতার সাত, সাসপেন্ড তিন পুলিশ

  • Sarakhon Report
  • ০৫:২৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 23

বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে যাতে কোনও বিক্ষোভকারী যেতে না পারেন, সেজন্য আগরতলায় পুলিশের ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড

সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একইসঙ্গে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড ও ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে।

ত্রিপুরা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে নাম উল্লেখ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ছাড়া আর কে কে সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল, তা ভিডিও ফুটেজ দেখে খুঁজে বের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের এক বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবারের ঘটনার পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে একাধিকবার পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ওই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “পুলিশ যথেষ্ট সংখ্যাতেই ছিল। সহকারী হাইকমিশন পরিসরের ভেতরে বাইরে মিলিয়ে ২৬০ জন ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু গোটা ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়। আমরা কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের বাধা দিই। তবে ওই কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়ে যায়।

“নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস এবং পুলিশ বাহিনী ছিল। তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবুও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বাহিনীর তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে আর যে ডিএসপি সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাকে ক্লোজ করা হয়েছে,” জানিয়েছেন ওই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা।

বিবিসি নিউজ বাংলা

আগরতলার ঘটনায় গ্রেফতার সাত, সাসপেন্ড তিন পুলিশ

০৫:২৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একইসঙ্গে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড ও ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে।

ত্রিপুরা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে নাম উল্লেখ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ছাড়া আর কে কে সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল, তা ভিডিও ফুটেজ দেখে খুঁজে বের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের এক বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবারের ঘটনার পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে একাধিকবার পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ওই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “পুলিশ যথেষ্ট সংখ্যাতেই ছিল। সহকারী হাইকমিশন পরিসরের ভেতরে বাইরে মিলিয়ে ২৬০ জন ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু গোটা ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়। আমরা কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের বাধা দিই। তবে ওই কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়ে যায়।

“নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস এবং পুলিশ বাহিনী ছিল। তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবুও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বাহিনীর তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে আর যে ডিএসপি সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাকে ক্লোজ করা হয়েছে,” জানিয়েছেন ওই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা।

বিবিসি নিউজ বাংলা