১১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
পুরানো ঢাকার রয়্যাল সিনেমা হল: যেখানে অভিনেতারই প্রথম দেখতেন তার ছায়াছবি প্রাচীন সিল্ক রোডের পশ্চিম শিয়া সমাধি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় পর্যটকের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কিয়োটোর আসল রূপ হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৭) বর্ষার মৌসুমে শিশুদের ডেঙ্গু আতঙ্ক চার শতাব্দীর পার্বত্য চট্টগ্রাম: আদিবাসী জীবনের রূপান্তর ও প্রকৃতির বদল আলুর দম: সহজ ও সুস্বাদু ঘরোয়া রেসিপি করোনার শুরু থেকে অনলাইন সেবার উত্থান ও সাম্প্রতিক সংকট যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ নতুন শুল্কে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি অনিশ্চয়তার মুখে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কে বিপর্যস্ত পোশাক খাত – অর্থনীতি বাঁচাতে কোনো খাত হবে বাংলাদেশের ভরসা?

রিয়াদে গণহত্যা দিবস পালিত

  • Sarakhon Report
  • ০৭:৪০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • 31

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর নীল নকশায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নির্মমভাবে হত্যা করে শত শত নিরস্ত্র মানুষকে, রচনা করে মানব ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এদিন মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা তৎকালীন ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় এবং তখন থেকে থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। গণহত্যা দিবস পালন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে নিহত ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতির পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক।

রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ গণহত্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণহত্যার বিচার হয়েছে। তাই ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আর এ স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন রিয়াদে বাংলাদেশি কমিউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব। বক্তারা সবাই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিটের জন্য দূতাবাসে ব্লাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদ, জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহিদ সদস্য ও দেশ জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

পুরানো ঢাকার রয়্যাল সিনেমা হল: যেখানে অভিনেতারই প্রথম দেখতেন তার ছায়াছবি

রিয়াদে গণহত্যা দিবস পালিত

০৭:৪০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

 

সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর নীল নকশায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নির্মমভাবে হত্যা করে শত শত নিরস্ত্র মানুষকে, রচনা করে মানব ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এদিন মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা তৎকালীন ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় এবং তখন থেকে থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। গণহত্যা দিবস পালন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে নিহত ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতির পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক।

রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ গণহত্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণহত্যার বিচার হয়েছে। তাই ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আর এ স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন রিয়াদে বাংলাদেশি কমিউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব। বক্তারা সবাই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিটের জন্য দূতাবাসে ব্লাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদ, জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহিদ সদস্য ও দেশ জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।