০৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
খরচ ও নিয়ন্ত্রণের চাপে ছোট ও দক্ষ এআই মডেলের দিকে ঝুঁকছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো শীতকালীন হামলা জোরদার হওয়ায় রাশিয়ার ভেতরে ড্রোন অভিযানে প্রস্তুতির ইঙ্গিত ইউক্রেনের চীনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট খাতে আইপিও সহজ করল বেইজিং, স্পেস প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে টপকানোর বার্তা নতুন রেকর্ডে রুপা রাশিয়ার নতুন অর্থায়নে তুরস্কের পারমাণবিক স্বপ্নে গতি, আক্কুইউ প্রকল্পে এল ৯ বিলিয়ন ডলার মার্কিন আদালতের নির্দেশ মানার আহ্বান ভেনেজুয়েলানদের, এল সালভাদরের কারাগার থেকে ফেরত বন্দিদের আইনি লড়াই নাইজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় সহযোগিতা, একক মার্কিন সামরিক হুমকি এড়াল আবুজা চীনের নিষেধাজ্ঞার কড়া বার্তা, তাইওয়ান অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থার ওপর চাপ রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠল কিয়েভ, সক্রিয় আকাশ প্রতিরক্ষা ট্রাম্পের সঙ্গে রোববার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জেলেনস্কি, ভূমি ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতার ইঙ্গিত

টলস্টয়ের স্মৃতি (পর্ব- ১৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৫০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 76

ম্যাকসিম গোর্কী

আটাশ

“কিছুর” অর্থটা সর্বদাই এক-এক গেলাশ মদ, তাতে কতকটা বরফ।

ঐ বাড়ির নিচের তলায় তিনজন রাজবংশীয়া যুবতী ভদ্রমহিলা-ও থাকতেন। তাঁদের মা মারা গিয়েছেন, এবং বাবা কমিসারিয়েট জেনারেল, তিনি অন্যত্র কোথায় কাজে গিয়েছেন।

জেনারেল কর্ণেটের স্ত্রী এই মেয়ে তিনটির প্রতি বিরূপ হ’য়ে উঠেছে। এবং তাদের প্রতি যতো প্রকারের ইতরামি সম্ভব তা ক’রে তাদেরকে তাড়াতে চেষ্টা করছে। এই নিরীহ মেয়েদের প্রতি তার এই মনোভাবটাকে আমি মোটেই পছন্দ করতাম না। মেয়ে গুলিকে অত্যন্ত বিমর্ষ, আতংকিত এবং অসহায় মনে হোতো। একদিন বিকালবেলা তাদের মধ্যে দুজন বাগানে বেড়াচ্ছিল। এমন সময় অকস্মাৎ জেনারেল কর্ণেটের বিধবা পত্নী তার অভ্যাসমত মাতাল অবস্থায় হাজির হোলো, এবং তাদের বাগান থেকে ভাগাবার জন্যে চীৎকার করতে লাগলো।

মেয়ে দুটি নীরবে শান্তভাবে চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু জেনারেলের স্ত্রী গেটের ওপর এসে নিজের শরীর দিয়ে ছিপির মতো পথ আগলে দাঁড়াল এবং রীতিমত অশ্লীল গাড়োয়ানী ভাষায় গালি পাড়তে লাগলো। আমি তাকে গালিগালাজ বন্ধ ক’রে মেয়েগুলিকে পথ ছেড়ে দিতে বললাম। কিন্তু সে তখন আমার উদ্দেশ্যে চেঁচাতে শুরু করল:

“তুই! তুই তো বলবি। তোকে চিনি না আমি। তুই রোজ রাত্তিরে জানলা গলে ওদের ঘরে যাস!” কথাগুলো আমায় রাগিয়ে দিলো; তার ঘাড় ধ’রে তাকে গেট থেকে আমি সরিয়ে দিলাম; তখন সে আমার হাত ছাড়িয়ে আমার সুমুখে এসে দাঁড়াল এবং দ্রুত পোশাক খুলে সেমিজটা তুলে জোর গলায় বলল, “আমি ওই লে টি ইদুরগুলোর চেয়ে দেখতে অনেক, অনেক ভালো।”

আমার আর মেজাজ ঠিক রইল না। আমি তার ঘাড়ে ধরে তাকে ঘুরিয়ে ধরলাম এবং তার পাছায় চাটুর গুঁতো মারতে লাগলাম। সে তখন এক লাফে গেটের বাইরে গেলো এবং প্রচুর বিস্ময়ে তিন বার “উ! উ! উ!” ক’রে উঠান পার হ’য়ে ছুটে পালালো।

তারপর আমি তার বিশ্বস্ত অনুচরী পলিনের কাছ থেকে আমার পাশপোর্ট নিয়ে পোঁটলাটি বগলে ক’রে সে স্থান ত্যাগ করলাম; জেনারেলের স্ত্রী তখন একটা লাল রঙের শাল হাতে নিয়ে জানলায় দাঁড়িয়েছিল, সে চেঁচাতে লাগলো:

“আমি পুলিস ডাকবো না-শোনো-কোনো ভয় নেই-ফিরে এসো-“

জনপ্রিয় সংবাদ

খরচ ও নিয়ন্ত্রণের চাপে ছোট ও দক্ষ এআই মডেলের দিকে ঝুঁকছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো

টলস্টয়ের স্মৃতি (পর্ব- ১৮)

০৪:৫০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ম্যাকসিম গোর্কী

আটাশ

“কিছুর” অর্থটা সর্বদাই এক-এক গেলাশ মদ, তাতে কতকটা বরফ।

ঐ বাড়ির নিচের তলায় তিনজন রাজবংশীয়া যুবতী ভদ্রমহিলা-ও থাকতেন। তাঁদের মা মারা গিয়েছেন, এবং বাবা কমিসারিয়েট জেনারেল, তিনি অন্যত্র কোথায় কাজে গিয়েছেন।

জেনারেল কর্ণেটের স্ত্রী এই মেয়ে তিনটির প্রতি বিরূপ হ’য়ে উঠেছে। এবং তাদের প্রতি যতো প্রকারের ইতরামি সম্ভব তা ক’রে তাদেরকে তাড়াতে চেষ্টা করছে। এই নিরীহ মেয়েদের প্রতি তার এই মনোভাবটাকে আমি মোটেই পছন্দ করতাম না। মেয়ে গুলিকে অত্যন্ত বিমর্ষ, আতংকিত এবং অসহায় মনে হোতো। একদিন বিকালবেলা তাদের মধ্যে দুজন বাগানে বেড়াচ্ছিল। এমন সময় অকস্মাৎ জেনারেল কর্ণেটের বিধবা পত্নী তার অভ্যাসমত মাতাল অবস্থায় হাজির হোলো, এবং তাদের বাগান থেকে ভাগাবার জন্যে চীৎকার করতে লাগলো।

মেয়ে দুটি নীরবে শান্তভাবে চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু জেনারেলের স্ত্রী গেটের ওপর এসে নিজের শরীর দিয়ে ছিপির মতো পথ আগলে দাঁড়াল এবং রীতিমত অশ্লীল গাড়োয়ানী ভাষায় গালি পাড়তে লাগলো। আমি তাকে গালিগালাজ বন্ধ ক’রে মেয়েগুলিকে পথ ছেড়ে দিতে বললাম। কিন্তু সে তখন আমার উদ্দেশ্যে চেঁচাতে শুরু করল:

“তুই! তুই তো বলবি। তোকে চিনি না আমি। তুই রোজ রাত্তিরে জানলা গলে ওদের ঘরে যাস!” কথাগুলো আমায় রাগিয়ে দিলো; তার ঘাড় ধ’রে তাকে গেট থেকে আমি সরিয়ে দিলাম; তখন সে আমার হাত ছাড়িয়ে আমার সুমুখে এসে দাঁড়াল এবং দ্রুত পোশাক খুলে সেমিজটা তুলে জোর গলায় বলল, “আমি ওই লে টি ইদুরগুলোর চেয়ে দেখতে অনেক, অনেক ভালো।”

আমার আর মেজাজ ঠিক রইল না। আমি তার ঘাড়ে ধরে তাকে ঘুরিয়ে ধরলাম এবং তার পাছায় চাটুর গুঁতো মারতে লাগলাম। সে তখন এক লাফে গেটের বাইরে গেলো এবং প্রচুর বিস্ময়ে তিন বার “উ! উ! উ!” ক’রে উঠান পার হ’য়ে ছুটে পালালো।

তারপর আমি তার বিশ্বস্ত অনুচরী পলিনের কাছ থেকে আমার পাশপোর্ট নিয়ে পোঁটলাটি বগলে ক’রে সে স্থান ত্যাগ করলাম; জেনারেলের স্ত্রী তখন একটা লাল রঙের শাল হাতে নিয়ে জানলায় দাঁড়িয়েছিল, সে চেঁচাতে লাগলো:

“আমি পুলিস ডাকবো না-শোনো-কোনো ভয় নেই-ফিরে এসো-“