০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট খাতে আইপিও সহজ করল বেইজিং, স্পেস প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে টপকানোর বার্তা নতুন রেকর্ডে রুপা রাশিয়ার নতুন অর্থায়নে তুরস্কের পারমাণবিক স্বপ্নে গতি, আক্কুইউ প্রকল্পে এল ৯ বিলিয়ন ডলার মার্কিন আদালতের নির্দেশ মানার আহ্বান ভেনেজুয়েলানদের, এল সালভাদরের কারাগার থেকে ফেরত বন্দিদের আইনি লড়াই নাইজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় সহযোগিতা, একক মার্কিন সামরিক হুমকি এড়াল আবুজা চীনের নিষেধাজ্ঞার কড়া বার্তা, তাইওয়ান অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থার ওপর চাপ রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠল কিয়েভ, সক্রিয় আকাশ প্রতিরক্ষা ট্রাম্পের সঙ্গে রোববার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জেলেনস্কি, ভূমি ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতার ইঙ্গিত সন্ত্রাস দমনে অপ্রবেশ্য নিরাপত্তা বলয়, সংঘটিত অপরাধে সর্বমুখী আঘাতের ঘোষণা অমিত শাহের ইসরায়েলের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডকে, আফ্রিকার শিংয়ে নতুন ভূরাজনৈতিক ঢেউ

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -০৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 77

আর্কাদি গাইদার

প্রথম পরিচ্ছেদ

অন্য কোনো মহাজনও চৌকিদারকে চাকরি দিতে রাজি হল না। এখানে-সেখানে অনেক হাঁটাহাঁটি করলেন তিনি, কিন্তু দেখাগেল উনোন চালু রাখার কিংবা কাঠগোলার পাহারাদারের কোনো চাকরি খালি নেই।

সিনিউগিন লোকটা ক্যাটক্যাঁট করে বলে দিল:

‘রুশ সেনাবাহিনীকে আমি সাহায্য করে থাকি। রেড ক্রশকে হাজার রুবল দান হিসেবে দিয়েচি আমি। আর দু-শো রুবল দামের নানান উপহার, নিশান আর কেরেষ্কির ছবি ফৌজী হাসপাতালগুলোয় বিলি করেচি বুয়েচ? তুমি কী করেচ বাপু? না, ফৌজ থেকে পলাতকদের সাহায্য করেচ। না-না, তোমায় দেবার মতো কোনো কাজ নেই আমার।’

কথাগুলো চৌকিদারের কাছে অসহ্য ঠেকায় তিনিও পাল্টা জবাব দিতে কসুর করলেন না:

‘তা যা বলেছেন বাবু, অনেক ধন্যবাদ এজন্যে। তবে আমি বলি কী, নিশান আর ছবি বিলিয়ে আপনি বাবু পার পাবেন না। যা পাবার-না, সময়ে তা ঠিকই পাবেন, বুঝলেন! আর আমায় অত চোখ রাঙাবেন না!’ দেখা গেল বলতে বলতে ফিয়োদর- কাকাও হঠাৎ গলা চড়িয়েছেন। ‘নিজেরে ভাবেন কী আপনি? ভেবেচেন পেট মোটা করে, বাড়ির ছাদে দূরবীন বসিয়ে আর পোষা কুমিররে গোমাংস খাইয়ে আপনি জার কি ঈশ্বরের চেয়ে বেশি শক্তি ধরচেন? মোটেও মনে স্থান দেবেন না তা। আপনার ওই সব কারখানায় লোকে কী বলাবলি করচে দয়া করে একবার কান পেতে শুনবেন। আমরা তো শুনচি ওরা বলচে কারখানাগুলা নাকি ওদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। তা আপনি কী বলেন?’

‘আমি.. আমি তোমারে ফাটকে দেব।’ স্তম্ভিত হয়ে গিয়ে সিনিউগিন তোলাতে শুরু করল। ‘ও, তাহলে তোমার এই ব্যাপার! আমি এখুনি লিখে নালিশ জানাচ্ছি জানো, আমার কারখানা সামরিক প্রয়োজনে কাজ করচে। নয়া সরকারও আমারে মান্যগণ্য করে, আর তুমি বেরিয়ে যাও, দূর হয়ে যাও এখেন থেকে!’

মাথায় টুপি চাপিয়ে চৌকিদার গটগট করে বেরিয়ে এলেন।

‘দূর, ছাই, এরই নাম নাকি বিপ্লব। যতো সব নোংরা লোক, যে-যার নিজের জায়গায় জাঁকিয়ে বসে আচে। আমায় বলে কিনা বেরিয়ে যেতে, ব্যাটা নিজে ফৌজী বড়কতা আর শহর পরিষদের কত্তাব্যক্তিদের সঙ্গে মিলে কাজ চালাচ্চে। আচ্ছা করে পেরেক ঠুকে ঠুকে মারা উচিত ওগুলোরে, তাইলেই উপযুক্ত সাজা হয়। ওহ, ভারি আমার দেশভক্ত রে!’ রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে আপন মনে গর্গর করতে লাগলেন ফিয়োদর-কাকা।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট খাতে আইপিও সহজ করল বেইজিং, স্পেস প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে টপকানোর বার্তা

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -০৮)

০৮:০০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

প্রথম পরিচ্ছেদ

অন্য কোনো মহাজনও চৌকিদারকে চাকরি দিতে রাজি হল না। এখানে-সেখানে অনেক হাঁটাহাঁটি করলেন তিনি, কিন্তু দেখাগেল উনোন চালু রাখার কিংবা কাঠগোলার পাহারাদারের কোনো চাকরি খালি নেই।

সিনিউগিন লোকটা ক্যাটক্যাঁট করে বলে দিল:

‘রুশ সেনাবাহিনীকে আমি সাহায্য করে থাকি। রেড ক্রশকে হাজার রুবল দান হিসেবে দিয়েচি আমি। আর দু-শো রুবল দামের নানান উপহার, নিশান আর কেরেষ্কির ছবি ফৌজী হাসপাতালগুলোয় বিলি করেচি বুয়েচ? তুমি কী করেচ বাপু? না, ফৌজ থেকে পলাতকদের সাহায্য করেচ। না-না, তোমায় দেবার মতো কোনো কাজ নেই আমার।’

কথাগুলো চৌকিদারের কাছে অসহ্য ঠেকায় তিনিও পাল্টা জবাব দিতে কসুর করলেন না:

‘তা যা বলেছেন বাবু, অনেক ধন্যবাদ এজন্যে। তবে আমি বলি কী, নিশান আর ছবি বিলিয়ে আপনি বাবু পার পাবেন না। যা পাবার-না, সময়ে তা ঠিকই পাবেন, বুঝলেন! আর আমায় অত চোখ রাঙাবেন না!’ দেখা গেল বলতে বলতে ফিয়োদর- কাকাও হঠাৎ গলা চড়িয়েছেন। ‘নিজেরে ভাবেন কী আপনি? ভেবেচেন পেট মোটা করে, বাড়ির ছাদে দূরবীন বসিয়ে আর পোষা কুমিররে গোমাংস খাইয়ে আপনি জার কি ঈশ্বরের চেয়ে বেশি শক্তি ধরচেন? মোটেও মনে স্থান দেবেন না তা। আপনার ওই সব কারখানায় লোকে কী বলাবলি করচে দয়া করে একবার কান পেতে শুনবেন। আমরা তো শুনচি ওরা বলচে কারখানাগুলা নাকি ওদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। তা আপনি কী বলেন?’

‘আমি.. আমি তোমারে ফাটকে দেব।’ স্তম্ভিত হয়ে গিয়ে সিনিউগিন তোলাতে শুরু করল। ‘ও, তাহলে তোমার এই ব্যাপার! আমি এখুনি লিখে নালিশ জানাচ্ছি জানো, আমার কারখানা সামরিক প্রয়োজনে কাজ করচে। নয়া সরকারও আমারে মান্যগণ্য করে, আর তুমি বেরিয়ে যাও, দূর হয়ে যাও এখেন থেকে!’

মাথায় টুপি চাপিয়ে চৌকিদার গটগট করে বেরিয়ে এলেন।

‘দূর, ছাই, এরই নাম নাকি বিপ্লব। যতো সব নোংরা লোক, যে-যার নিজের জায়গায় জাঁকিয়ে বসে আচে। আমায় বলে কিনা বেরিয়ে যেতে, ব্যাটা নিজে ফৌজী বড়কতা আর শহর পরিষদের কত্তাব্যক্তিদের সঙ্গে মিলে কাজ চালাচ্চে। আচ্ছা করে পেরেক ঠুকে ঠুকে মারা উচিত ওগুলোরে, তাইলেই উপযুক্ত সাজা হয়। ওহ, ভারি আমার দেশভক্ত রে!’ রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে আপন মনে গর্গর করতে লাগলেন ফিয়োদর-কাকা।