আর্কাদি গাইদার
প্রথম পরিচ্ছেদ
‘রন্দি বুটজুতো বেচে ব্যাটা হাজার হাজার কামিয়েচে। পয়সা ঘুস দিয়ে ছেলেটারে পর্যন্ত ফৌজ থেকে ছাড়িয়ে এনেচে।
ফৌজের কত্তার হাতে গুজে দিয়েচে তিন শো রুল, আর হাসপাতালের ডাক্তারের পকেটে দিয়েচে পাঁচ শো। মাতাল হয়ে নিজেই আবার বড়াই করে বলেচে এ-সব। অন্যের ঘাড় ভেঙে লড়াই জিততে ভারি ওস্তাদ সব। আবার নাকি কেরেষ্কির ছবি কিনেচে। ব্যাটা, তোরে আর তোর ওই কেরেনূষ্কিরে একই গাছে লটকে দেয়া দরকার। এই নাকি স্বাধীনতা, এর জন্যেই ধৈর্য ধরে ছিলাম এতকাল! বাহবা, বাহবা!’
সে-সময়ে মনে হত, সবাই যেন পাগল হয়ে গেছে। যেদিকে যাও, চারিদিকে খালি শোনো:
‘কেরেনষ্কি, কেরেনি।’
প্রতিটি খবরের কাগজের প্রতি সংখ্যায় তখন কেরেস্কির ছবি। ‘কেরেনিষ্ক বক্তৃতা দিচ্ছেন’, ‘যে-পথে কেরেনি, সেই পথেই ফুলের গালিচা’, ‘খুশিতে ডগমগ মহিলারা কেরেষ্কিকে কোলে তুলে নিয়েছেন’, এই সব। আরুজ্জামাস শহর- পরিষদের সদস্য ফেওফানভ নিজের কাজে মস্কো গেলেন কিন্তু ফিরে এলে শোনা গেল তিনি কেরেনিষ্কর হাতে হাত মিলিয়ে অভিবাদন জানিয়ে এসেছেন। ব্যস, আর যায় কোথায়, দলে দলে লোক ছুটল ফেওফানভের পেছনে।
‘আপনি বলতে চান, কেরেনস্কি স্বয়ং আপনার হাতে ঝাঁকুনি দিয়েছেন?’
‘দিয়েছেন বই কি,’ গম্ভীর চালে বললেন ফেওফানভ।
‘মানে, সত্যিসত্যিই আপনার হাতে হাত দিয়েছেন?’
‘হ্যাঁ, আমার এই ডান হাত ধরে ঝাঁকুনি দিয়েছেন।’