আর্কাদি গাইদার
প্রথম পরিচ্ছেদ
জনতার মধ্যে থেকে উত্তেজিত ফিসফিসানি উঠল। ‘দেখলে? জার হলে কখনও এমন করতেন? কিন্তু কেরেনূষ্কি করেছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক তো এর সঙ্গে দেখা করতে যায়, উনি কিন্তু প্রত্যেককেই হাতে ঝাঁকুনি দিয়ে অভিবাদন জানান। অথচ আগে হলে…’
‘আরে, আগে যে জারের রাজত্বি ছিল।’
‘সে তো বটেই। আর এখন আমরা স্বাধীন।’
‘জয় হোক! জয় হোক! স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক! কেরেন্টিক দীর্ঘজীবী হোন! আচ্ছা, ওঁকে অভিনন্দন জানিয়ে একটা টেলিগ্রাম পাঠালে হয় না!’
এখানে বলা দরকার, ওই সময়ে পোস্ট-অফিস মারফত যে-সব টেলিগ্রাম বাইরে যেত তার প্রতি দশটিতে একটি থাকত কেরেনস্কির কাছে অভিনন্দনজ্ঞাপক তারবার্তা। আর ওই তারবার্তা যেত জনসভা থেকে, ইশকুলের সভা থেকে, গির্জা-পরিষদের সমাবেশগুলো থেকে, শহর-পরিষদ আর উচ্চপদস্থ কর্মচারী সমিতির বৈঠক থেকে এক কথায়, সর্বত থেকে।
এমন কি কয়েক জনে মিলে একটা গোষ্ঠী গড়ে তার তরফ থেকেও টেলিগ্রাম পাঠাতে লাগল।
একদিন গুজব রটল ‘আজামাস কুক্কুট-প্রজনন প্রেমী সমিতির’ তরফ থেকে তখনও পর্যন্ত ‘প্রিয় নেতা’-র কাছে নাকি একটিও টেলিগ্রাম পাঠানো হয় নি। এর জবাবে স্থানীয় দৈনিক কাগজে সমিতির সভাপতি ওফেন্দুলিনের একটি ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ প্রকাশিত হল। ওফেন্দুলিন সরাসরি ঘোষণা করলেন যে গুজবটা অসং- উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিন্দারটনা ছাড়া কিছু নয়। আসলে অভিনন্দনজ্ঞাপক দু-দুটি টেলিগ্রাম পাঠানো হয়েছে।
কাগজের সম্পাদকরা সেই সঙ্গে একটি বিশেষ মন্তব্য জুড়ে দিয়ে জানালেন যে মিঃ ওফেন্দুলিনের এই বিবৃতিটি পোস্ট ও টেলিগ্রাফ অফিসের ছাপমারা উপযুক্ত রসিদদ্বারা যথারীতি প্রমাণিত হয়েছে।
Sarakhon Report 



















