০১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে পতন: দ্রুত, চমকপ্রদ এবং অনিশ্চয়তায় পূর্ণ

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৫৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 22

ল্য মন্ডের মজিদ জেরুকি এবং নিসিম গাস্তেলির রিপোর্ট

বিদ্রোহীদের হাতে সিরিয়ার দ্রুত পতন দেশটির নাগরিকদের মধ্যে উল্লাস ও অনিশ্চয়তার মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

“দামেস্কের ফ্রিওয়েতে একটি চেকপয়েন্টে শুধু কিছু শিশু সৈনিক খেলতে দেখা যায়। রাস্তার ধারে স্থির ট্যাংক, অচল যানবাহন এবং পরিত্যক্ত সৈনিকের পোশাক দেখা যায়। অনেকেই তাদের অবস্থান ছেড়ে পালিয়েছে, যা আসাদের পতন ত্বরান্বিত করেছে,” লিখেছেন মজিদ এবং নিসিম।

হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা ২৭ নভেম্বর তাদের প্রথম বড় আক্রমণ শুরু করে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসাদের শাসনের প্রতি দীর্ঘমেয়াদী অসন্তোষ এর কারণ।

বিদ্রোহী শাসন এবং সিরিয়ার ভবিষ্যৎ

বিভিন্ন পর্যবেক্ষক মনে করেন, সিরিয়া তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মতো মৌলবাদী ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। যদিও নতুন নেতৃত্ব এমন আশঙ্কা দূর করার চেষ্টা করছে।

হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি সিএনএনকে বলেন, “মানুষ বয়সের সঙ্গে পরিবর্তন হয়। কুড়ির দশকের ব্যক্তিরা যেমন থাকে, তেমন চেহারা পঞ্চাশে থাকে না। আমরা পরিবর্তনের মধ্যে আছি।”

আসাদের পতনে কারাগার থেকে বন্দিরা মুক্তি পেয়েছে। বহু শরণার্থী নিজেদের দেশে ফিরেছে। লেবাননে অবস্থানরত শরণার্থীদের মধ্যে ছিলো আনন্দ।

আসাদের শাসনের নির্যাতন

আসাদের শাসন ছিলো চরম বর্বর। রাসায়নিক অস্ত্র, ব্যারেল বোমা এবং দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে শত্রুদের দমন করা হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিদ্রোহীদের কারাগার উন্মুক্ত করার পর।

মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

বিদ্রোহীদের উত্থানে রাশিয়া এবং ইরানের মতো মিত্ররা কৌশলগত সুবিধা হারিয়েছে। অন্যদিকে তুরস্ক নতুন করে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরিয়া পুনর্গঠনে তুরস্কের নির্মাণ খাত ভূমিকা রাখবে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্রদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, “পোস্ট-আসাদ সিরিয়ার ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।”

এই রিপোর্টটি সঠিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহের জন্য ফারিদ জাকারিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএনএন গ্লোবাল ব্রিফিং টিমের দ্বারা প্রস্তুত। ইসরাইলের অবস্থান

এবং সামরিক পদক্ষেপ

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নিয়ে ইসরাইল সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানে। জেরুজালেম পোস্ট এবং রয়টার্স জানায়, ইসরাইল সিরিয়ার ৭০-৮০ শতাংশ সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করেছে। বিশেষত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে।

ইসরাইল দাবি করেছে যে, তারা সিরিয়ার রাসায়নিক এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলো হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীর হাতে পড়তে দেবে না। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, গোলান হাইটস-এ ইসরাইলি প্রবেশ “যৌক্তিক বা প্রয়োজনীয় ছিল না।”

বিদ্রোহী শাসনের চ্যালেঞ্জ

বিদ্রোহীদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়া এখনো অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শাম বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে সেবাদানের পরিকল্পনা করছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্রোহীরা যদি সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমা না করে এবং তাদের একীভূত না করে, তবে সিরিয়ায় নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে।

ফারিদ জাকারিয়া সিএনএন-এ বলেন, “ইরাকের মতো ভুল এড়ানোর চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দাম সরকারের প্রশাসন ও সেনাবাহিনী ভেঙে দেয়। এর ফলে বেকার যুবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, যা গৃহযুদ্ধ এবং বিদ্রোহে রূপ নেয়। কিন্তু বিদ্রোহীরা সাবেক কর্মকর্তাদের আত্মসমর্পণ মেনে নিচ্ছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”

মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য

সিরিয়ার বিদ্রোহী শাসনের উত্থান মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য পরিবর্তন করেছে। রাশিয়া এবং ইরান তাদের প্রভাব হারিয়েছে। রাশিয়ার সমর্থনে গৃহযুদ্ধের সময় যে সুবিধা তারা পেয়েছিল, তা বিদ্রোহীদের দ্রুত বিজয়ে শেষ হয়েছে। ইরানের জন্য এটি আরও বড় আঘাত, কারণ সিরিয়া ইরানের “অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স”-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

তুরস্ক এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সিরিয়ার পুনর্গঠনে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন। তুরস্কের নির্মাণ খাত পুনর্গঠনের কাজ থেকে বড় আর্থিক সুবিধা পেতে পারে। এছাড়া, এরদোয়ান শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নিতে চাইবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা

বিশ্লেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সিরিয়ায় একটি ছোট কিন্তু কার্যকর সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

নতুন সিরিয়ার জন্য সতর্ক আশাবাদ

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্রোহীদের বিজয় সিরিয়াকে একটি নতুন অধ্যায়ের দিকে নিয়ে গেছে। তবে বিদ্রোহী নেতৃত্বের শাসন কিভাবে গড়ে উঠবে এবং তারা কীভাবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবিলা করবে, তা সময়ই বলবে।

এই বিশ্লেষণ সিএনএন গ্লোবাল ব্রিফিং টিম এবং অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে পতন: দ্রুত, চমকপ্রদ এবং অনিশ্চয়তায় পূর্ণ

০৬:৫৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ল্য মন্ডের মজিদ জেরুকি এবং নিসিম গাস্তেলির রিপোর্ট

বিদ্রোহীদের হাতে সিরিয়ার দ্রুত পতন দেশটির নাগরিকদের মধ্যে উল্লাস ও অনিশ্চয়তার মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

“দামেস্কের ফ্রিওয়েতে একটি চেকপয়েন্টে শুধু কিছু শিশু সৈনিক খেলতে দেখা যায়। রাস্তার ধারে স্থির ট্যাংক, অচল যানবাহন এবং পরিত্যক্ত সৈনিকের পোশাক দেখা যায়। অনেকেই তাদের অবস্থান ছেড়ে পালিয়েছে, যা আসাদের পতন ত্বরান্বিত করেছে,” লিখেছেন মজিদ এবং নিসিম।

হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা ২৭ নভেম্বর তাদের প্রথম বড় আক্রমণ শুরু করে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসাদের শাসনের প্রতি দীর্ঘমেয়াদী অসন্তোষ এর কারণ।

বিদ্রোহী শাসন এবং সিরিয়ার ভবিষ্যৎ

বিভিন্ন পর্যবেক্ষক মনে করেন, সিরিয়া তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মতো মৌলবাদী ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। যদিও নতুন নেতৃত্ব এমন আশঙ্কা দূর করার চেষ্টা করছে।

হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি সিএনএনকে বলেন, “মানুষ বয়সের সঙ্গে পরিবর্তন হয়। কুড়ির দশকের ব্যক্তিরা যেমন থাকে, তেমন চেহারা পঞ্চাশে থাকে না। আমরা পরিবর্তনের মধ্যে আছি।”

আসাদের পতনে কারাগার থেকে বন্দিরা মুক্তি পেয়েছে। বহু শরণার্থী নিজেদের দেশে ফিরেছে। লেবাননে অবস্থানরত শরণার্থীদের মধ্যে ছিলো আনন্দ।

আসাদের শাসনের নির্যাতন

আসাদের শাসন ছিলো চরম বর্বর। রাসায়নিক অস্ত্র, ব্যারেল বোমা এবং দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে শত্রুদের দমন করা হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিদ্রোহীদের কারাগার উন্মুক্ত করার পর।

মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

বিদ্রোহীদের উত্থানে রাশিয়া এবং ইরানের মতো মিত্ররা কৌশলগত সুবিধা হারিয়েছে। অন্যদিকে তুরস্ক নতুন করে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরিয়া পুনর্গঠনে তুরস্কের নির্মাণ খাত ভূমিকা রাখবে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্রদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, “পোস্ট-আসাদ সিরিয়ার ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।”

এই রিপোর্টটি সঠিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহের জন্য ফারিদ জাকারিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএনএন গ্লোবাল ব্রিফিং টিমের দ্বারা প্রস্তুত। ইসরাইলের অবস্থান

এবং সামরিক পদক্ষেপ

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নিয়ে ইসরাইল সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানে। জেরুজালেম পোস্ট এবং রয়টার্স জানায়, ইসরাইল সিরিয়ার ৭০-৮০ শতাংশ সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করেছে। বিশেষত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে।

ইসরাইল দাবি করেছে যে, তারা সিরিয়ার রাসায়নিক এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলো হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীর হাতে পড়তে দেবে না। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, গোলান হাইটস-এ ইসরাইলি প্রবেশ “যৌক্তিক বা প্রয়োজনীয় ছিল না।”

বিদ্রোহী শাসনের চ্যালেঞ্জ

বিদ্রোহীদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়া এখনো অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শাম বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে সেবাদানের পরিকল্পনা করছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্রোহীরা যদি সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমা না করে এবং তাদের একীভূত না করে, তবে সিরিয়ায় নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে।

ফারিদ জাকারিয়া সিএনএন-এ বলেন, “ইরাকের মতো ভুল এড়ানোর চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দাম সরকারের প্রশাসন ও সেনাবাহিনী ভেঙে দেয়। এর ফলে বেকার যুবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, যা গৃহযুদ্ধ এবং বিদ্রোহে রূপ নেয়। কিন্তু বিদ্রোহীরা সাবেক কর্মকর্তাদের আত্মসমর্পণ মেনে নিচ্ছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।”

মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য

সিরিয়ার বিদ্রোহী শাসনের উত্থান মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য পরিবর্তন করেছে। রাশিয়া এবং ইরান তাদের প্রভাব হারিয়েছে। রাশিয়ার সমর্থনে গৃহযুদ্ধের সময় যে সুবিধা তারা পেয়েছিল, তা বিদ্রোহীদের দ্রুত বিজয়ে শেষ হয়েছে। ইরানের জন্য এটি আরও বড় আঘাত, কারণ সিরিয়া ইরানের “অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স”-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

তুরস্ক এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সিরিয়ার পুনর্গঠনে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন। তুরস্কের নির্মাণ খাত পুনর্গঠনের কাজ থেকে বড় আর্থিক সুবিধা পেতে পারে। এছাড়া, এরদোয়ান শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নিতে চাইবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা

বিশ্লেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সিরিয়ায় একটি ছোট কিন্তু কার্যকর সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

নতুন সিরিয়ার জন্য সতর্ক আশাবাদ

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্রোহীদের বিজয় সিরিয়াকে একটি নতুন অধ্যায়ের দিকে নিয়ে গেছে। তবে বিদ্রোহী নেতৃত্বের শাসন কিভাবে গড়ে উঠবে এবং তারা কীভাবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবিলা করবে, তা সময়ই বলবে।

এই বিশ্লেষণ সিএনএন গ্লোবাল ব্রিফিং টিম এবং অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।