প্রদীপ কুমার মজুমদার
দ্বিতীয় দলের পণ্ডিতবর্গের ধারণা ভারতবর্ষে সংখ্যা লিখন পদ্ধতি বৈদিক যুগ বা তৎপূর্ববর্তী যুগেও ছিল। এরা কিন্তু বৈদিক গ্রন্থমালা থেকেই এঁদের যুক্তিতর্ক খাড়া করে থাকেন। বাশিষ্ট ধর্মসূত্রের কোন এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যে লিখিত দলিলই হচ্ছে আইনতঃ সাক্ষ্য বহন করে। সংখ্যা লিখন পদ্ধতি ঋগ্বেদে ছিল তার প্রমাণ দশম মণ্ডলের ৬২ তম সুক্তের ৭ম ঋকের কথা বলা যায়।
এখানে বলা হয়েছে-‘সহস্রং মে দদতো অষ্টকর্ণাঃ’ অর্থ হচ্ছে আমাকে সহস্র সংখ্যক গাভী দাও যাদের কান ৮ম সংখ্যার মত দেখতে। এছাড়াও ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের ৩৪-তম সুক্তের দ্বিতীয় ঋকের কথা দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে।
এখানে বলা হয়েছে-
‘নমা মিমেথ ন জিহীল এয়া শিবা সখিভ্য উত মহমাসীৎ। অক্ষসাহ মেকপরস্ত হো তোরনুব্রতামপ জায়ামরোধম্।
অর্থাং-আমার এ রূপবতী পত্নী কখনও আমার প্রতি বিরাগ প্রদর্শন করেনি,
কখন আমার নিকট লজ্জিত হয় নি। সে পত্নী আমার নিজের ও আমার বন্ধুৰৰ্গের বিশেষ সেবাশুশ্রষা করতো। কিন্তু কেবলমাত্র পাশার অনুরোধে আমি সে পরম অনুরাগিণী ভার্যাকে ত্যাগ করলাম।
অথর্ববেদেও সংখ্যা লিখন পদ্ধতির কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ৭ম কাণ্ডের ৪র্থ অনুবাকেরও শ্লোকে বলা হয়েছে-
‘অজৈযং স্বা সংলিখিতমজৈষমুত সংরূধম্।
অবিং বুকো যথা মথদেবা মথামি তে কৃতম্। ৭৪/৩/৫,
(চলবে)
Sarakhon Report 



















