১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সিরিয়ার দক্ষিণে ধর্মীয় সংঘর্ষে উৎখাত বেদুইনদের ফিরে যাওয়ার আশাও ম্লান চীনের বিনিয়োগে ধস: লুকানো সংকেত নাকি পরিসংখ্যানের কারসাজি? জুলাই সনদ নিয়ে অচলাবস্থা ঠেকাতে অন্তরালে সমঝোতা চেষ্টার আভাস গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ট্রাম্প তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা প্রধানের পদত্যাগ ২৮ হাজার ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিতে, অবৈধ অস্ত্র রোধের সুপারিশ সাঙ্গু নদী: বান্দরবানের হৃদয়ে পাহাড়, নদী আর জীবনের ছন্দ একটি বিষয় এখনও জেন- জি দের জন্য ম্যানুয়ালি আছে জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৩১)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 60

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দ্বিতীয় দলের পণ্ডিতবর্গের ধারণা ভারতবর্ষে সংখ্যা লিখন পদ্ধতি বৈদিক যুগ বা তৎপূর্ববর্তী যুগেও ছিল। এরা কিন্তু বৈদিক গ্রন্থমালা থেকেই এঁদের যুক্তিতর্ক খাড়া করে থাকেন। বাশিষ্ট ধর্মসূত্রের কোন এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যে লিখিত দলিলই হচ্ছে আইনতঃ সাক্ষ্য বহন করে। সংখ্যা লিখন পদ্ধতি ঋগ্বেদে ছিল তার প্রমাণ দশম মণ্ডলের ৬২ তম সুক্তের ৭ম ঋকের কথা বলা যায়।

এখানে বলা হয়েছে-‘সহস্রং মে দদতো অষ্টকর্ণাঃ’ অর্থ হচ্ছে আমাকে সহস্র সংখ্যক গাভী দাও যাদের কান ৮ম সংখ্যার মত দেখতে। এছাড়াও ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের ৩৪-তম সুক্তের দ্বিতীয় ঋকের কথা দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে।

এখানে বলা হয়েছে-

‘নমা মিমেথ ন জিহীল এয়া শিবা সখিভ্য উত মহমাসীৎ। অক্ষসাহ মেকপরস্ত হো তোরনুব্রতামপ জায়ামরোধম্।

অর্থাং-আমার এ রূপবতী পত্নী কখনও আমার প্রতি বিরাগ প্রদর্শন করেনি,

কখন আমার নিকট লজ্জিত হয় নি। সে পত্নী আমার নিজের ও আমার বন্ধুৰৰ্গের বিশেষ সেবাশুশ্রষা করতো। কিন্তু কেবলমাত্র পাশার অনুরোধে আমি সে পরম অনুরাগিণী ভার্যাকে ত্যাগ করলাম।

অথর্ববেদেও সংখ্যা লিখন পদ্ধতির কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ৭ম কাণ্ডের ৪র্থ অনুবাকেরও শ্লোকে বলা হয়েছে-

‘অজৈযং স্বা সংলিখিতমজৈষমুত সংরূধম্।

অবিং বুকো যথা মথদেবা মথামি তে কৃতম্। ৭৪/৩/৫,

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৩০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৩০)

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরিয়ার দক্ষিণে ধর্মীয় সংঘর্ষে উৎখাত বেদুইনদের ফিরে যাওয়ার আশাও ম্লান

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৩১)

১০:০০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দ্বিতীয় দলের পণ্ডিতবর্গের ধারণা ভারতবর্ষে সংখ্যা লিখন পদ্ধতি বৈদিক যুগ বা তৎপূর্ববর্তী যুগেও ছিল। এরা কিন্তু বৈদিক গ্রন্থমালা থেকেই এঁদের যুক্তিতর্ক খাড়া করে থাকেন। বাশিষ্ট ধর্মসূত্রের কোন এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যে লিখিত দলিলই হচ্ছে আইনতঃ সাক্ষ্য বহন করে। সংখ্যা লিখন পদ্ধতি ঋগ্বেদে ছিল তার প্রমাণ দশম মণ্ডলের ৬২ তম সুক্তের ৭ম ঋকের কথা বলা যায়।

এখানে বলা হয়েছে-‘সহস্রং মে দদতো অষ্টকর্ণাঃ’ অর্থ হচ্ছে আমাকে সহস্র সংখ্যক গাভী দাও যাদের কান ৮ম সংখ্যার মত দেখতে। এছাড়াও ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের ৩৪-তম সুক্তের দ্বিতীয় ঋকের কথা দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে।

এখানে বলা হয়েছে-

‘নমা মিমেথ ন জিহীল এয়া শিবা সখিভ্য উত মহমাসীৎ। অক্ষসাহ মেকপরস্ত হো তোরনুব্রতামপ জায়ামরোধম্।

অর্থাং-আমার এ রূপবতী পত্নী কখনও আমার প্রতি বিরাগ প্রদর্শন করেনি,

কখন আমার নিকট লজ্জিত হয় নি। সে পত্নী আমার নিজের ও আমার বন্ধুৰৰ্গের বিশেষ সেবাশুশ্রষা করতো। কিন্তু কেবলমাত্র পাশার অনুরোধে আমি সে পরম অনুরাগিণী ভার্যাকে ত্যাগ করলাম।

অথর্ববেদেও সংখ্যা লিখন পদ্ধতির কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ৭ম কাণ্ডের ৪র্থ অনুবাকেরও শ্লোকে বলা হয়েছে-

‘অজৈযং স্বা সংলিখিতমজৈষমুত সংরূধম্।

অবিং বুকো যথা মথদেবা মথামি তে কৃতম্। ৭৪/৩/৫,

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৩০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৩০)