ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
যখন তিনি কোন অনুষ্ঠানে হাজির হন তখন গুণীদের জন্য জ্ঞানদীপ্তি বিতরণ করেন। বিশ্বাস এমনও আছে যে এই’ মাথার খুলি (Skull) আকাশ থেকে আগুন বয়ে এনে মানুষের শত্রুদের উধাও করে দেয়। এই লোকগল্প আমাদের দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার কথা মনে করিয়ে দেয়। কেননা সেখানেও স্ফটিক দ্বারা তৈরি খুলির (Crystal skull) কথা বলা হয়েছে।
বীরাকোচা পাঁচালির অন্য একটি সংস্করণ আমরা পাই আইমারা (Aymara) ভারতীয় লোককথার মধ্যে। এই লোককথায় বলা হয়েছে স্রষ্টা বীরাকোচা তিতিকাকা হ্রদ থেকে অন্ধকার থাকাকালীন আবির্ভূত হয়েছিলেন। পৃথিবীতে আলো নিয়ে আসার জন্য বীরকোচা ছিলেন একাধারে ঝড় এবং সূর্যের দেবতা। বলা হয়েছে ‘তিনি’ রাজার জন্য সূর্যকে নিজের গায়ে বহন করেছিলেন এবং হাতে ছিল বজ্রবিদ্যুৎ।

তাঁর চোখ থেকে জলপড়া হল এই ধরাধামের শস্যবৃষ্টি। এই স্রষ্টা বীরাকোচা এই মর্তে ভিখারির বেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং তার সৃষ্টির দুঃখ কষ্ট দেখে কেঁদেছেন। কিন্তু জানতেন সবাইকে তিনিই বাঁচাবেন। ‘বীরাকোচা’ গড়েছিলেন এই পৃথিবী, এই উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ আকাশ এবং মানবজাতি। প্রথমবারের সৃষ্টি তাকে বিমর্ষ করেছিল তাই তাকে বন্যা, জলসহ দুর্বিষহ আঘাতে ধ্বংস করে আরও ভাল এক বিশ্ব সৃষ্টি করেন।
এরপর বীরাকোচা প্রশান্ত মহাসাগর অতিক্রম করে সান্তা- ইকুয়েদর এর কাছে বাসা বাঁধেন। প্রাক ইনকায়ুলের সেই সুসজ্জিত বাঁকানো শরীর-এর উচ্চতম অবস্থানকে বলা হয় সূর্যের দ্বারপথ (Gateway of the Sun) 1 এই মূর্তিকে আরেক বিশ্বাসে বলা হয় বীরাকোচা। এর ৪৮টি কুশপুতুল, ৩২টি মানুষের মুখ এবং বাকি ১৬টি হল শকুনের মাথা।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















