০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট খাতে আইপিও সহজ করল বেইজিং, স্পেস প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে টপকানোর বার্তা নতুন রেকর্ডে রুপা রাশিয়ার নতুন অর্থায়নে তুরস্কের পারমাণবিক স্বপ্নে গতি, আক্কুইউ প্রকল্পে এল ৯ বিলিয়ন ডলার মার্কিন আদালতের নির্দেশ মানার আহ্বান ভেনেজুয়েলানদের, এল সালভাদরের কারাগার থেকে ফেরত বন্দিদের আইনি লড়াই নাইজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় সহযোগিতা, একক মার্কিন সামরিক হুমকি এড়াল আবুজা চীনের নিষেধাজ্ঞার কড়া বার্তা, তাইওয়ান অস্ত্র বিক্রিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থার ওপর চাপ রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠল কিয়েভ, সক্রিয় আকাশ প্রতিরক্ষা ট্রাম্পের সঙ্গে রোববার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে জেলেনস্কি, ভূমি ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতার ইঙ্গিত সন্ত্রাস দমনে অপ্রবেশ্য নিরাপত্তা বলয়, সংঘটিত অপরাধে সর্বমুখী আঘাতের ঘোষণা অমিত শাহের ইসরায়েলের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডকে, আফ্রিকার শিংয়ে নতুন ভূরাজনৈতিক ঢেউ

টলস্টয়ের স্মৃতি (পর্ব- ২৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 76

ম্যাকসিম গোর্কী

একটি চিঠি

কনস্টবলের দ্বারা যে রাষ্ট্রের পত্তন ঘটেছিল সেই রাষ্ট্রের। একথা শুনে অধিকাংশ সাধু নাগরিক বিস্মিত হ’য়ে পড়বেন। তাঁরা আরো শুনে বিস্মিত হবেন যে, এই ভ্রাম্যমানেরা যখন এমন একটি স্থানে এসে পড়ল যা পার হয়ে আর অগ্রসর হবার ঠাঁই রইল না, তখন তারা থেমে গিয়ে শুরু করল বসবাস।

এই ছিল আমাদের ভাগ্য- আমাদের অমোঘ দুর্লংঘ্য নিয়তি, আমরা বনাকীর্ণ এর্জা, চুড, মেরে, ভেস এবং মুরোমার আশেপাশে বরফ আর জলাভূমিতে আমাদের আস্তানা গাড়লাম। তবু এমন সব মানুষের অভ্যুদয় ঘটল, যাঁরা উপলব্ধি করলেন যে আলো পূর্ব থেকে আসবে না, আসবে পশ্চিম থেকে। তারপর আজ তিনি-আমাদের সুপ্রাচীন ইতিহাসের মুকুটমণি, সচেতন ভাবেই হ’ক কিম্বা অচেতন ভাবেই হ’ক, এক বিরাট পর্বতের অন্তরায় রূপে স্থাপন করলেন আপনাকে-আমাদের জাতি এবং ইউরোপের মধ্যবর্তী পথে; আমাদের জাতি এবং সক্রিয় জীবনের পথে-যে সক্রিয় জীবন কঠোর ভাবে দাবী করে মানুষের সম্পূর্ণ মানসিক শক্তিকে।

বিজ্ঞানের প্রতি তাঁহার যে মনোভাব, তা-ও যে স্বজাতীয়, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই; প্রচীন রাশিয়ার অজ্ঞতা-প্রসূত গ্রাম্য সংশয়বাদ তাঁর মধ্যে মহা সমারোহে প্রতিফলিত হয়েছিল, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। তাঁর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, তা সর্বভাবে স্বজাতীয়। তাঁর মতবাদ অতীতের প্রতিক্রিয়া, অতীতের উত্তরাধিকার মাত্র; আর ইতিপূর্বেই তাকে আমরা ঝেড়ে ফেলতে শুরু করেছি।

“বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্র এবং জনসাধারণ” নামে যে পত্রখানি তিনি ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, তা কীরকম অনিষ্টকর ও বিদ্বেষপ্রসূত, তা একবার ভেবে দেখ। আমি তো তোমাকে বলেছিলাম, এই ধরণের কথা দলগত পত্রের মধ্যে শুনতে পাবে। ঐ সময় আমি এই পত্রের একটি জবাব লিখি। জবাবটি তাঁর নিজের কথারই উপর ভিত্তি ক’রে লিখিত হয়। লিখিঃ রাশিয়ার জন সাধারণের সম্পর্কে বা সপক্ষে কোনো কথা বলবার অধিকার তিনি বহুদিন আগেই হারিয়েছেন।

কারণ, আমি স্বচক্ষে দেখেছি, জন সাধারণের কাছ থেকে যদি কেউ তাঁর সংগে অন্তরংগভাবে আলাপ করতে আসে, তার কথা তিনি মন দিয়ে শুনতে বা বুঝতে চান না।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট খাতে আইপিও সহজ করল বেইজিং, স্পেস প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে টপকানোর বার্তা

টলস্টয়ের স্মৃতি (পর্ব- ২৯)

০৩:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ম্যাকসিম গোর্কী

একটি চিঠি

কনস্টবলের দ্বারা যে রাষ্ট্রের পত্তন ঘটেছিল সেই রাষ্ট্রের। একথা শুনে অধিকাংশ সাধু নাগরিক বিস্মিত হ’য়ে পড়বেন। তাঁরা আরো শুনে বিস্মিত হবেন যে, এই ভ্রাম্যমানেরা যখন এমন একটি স্থানে এসে পড়ল যা পার হয়ে আর অগ্রসর হবার ঠাঁই রইল না, তখন তারা থেমে গিয়ে শুরু করল বসবাস।

এই ছিল আমাদের ভাগ্য- আমাদের অমোঘ দুর্লংঘ্য নিয়তি, আমরা বনাকীর্ণ এর্জা, চুড, মেরে, ভেস এবং মুরোমার আশেপাশে বরফ আর জলাভূমিতে আমাদের আস্তানা গাড়লাম। তবু এমন সব মানুষের অভ্যুদয় ঘটল, যাঁরা উপলব্ধি করলেন যে আলো পূর্ব থেকে আসবে না, আসবে পশ্চিম থেকে। তারপর আজ তিনি-আমাদের সুপ্রাচীন ইতিহাসের মুকুটমণি, সচেতন ভাবেই হ’ক কিম্বা অচেতন ভাবেই হ’ক, এক বিরাট পর্বতের অন্তরায় রূপে স্থাপন করলেন আপনাকে-আমাদের জাতি এবং ইউরোপের মধ্যবর্তী পথে; আমাদের জাতি এবং সক্রিয় জীবনের পথে-যে সক্রিয় জীবন কঠোর ভাবে দাবী করে মানুষের সম্পূর্ণ মানসিক শক্তিকে।

বিজ্ঞানের প্রতি তাঁহার যে মনোভাব, তা-ও যে স্বজাতীয়, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই; প্রচীন রাশিয়ার অজ্ঞতা-প্রসূত গ্রাম্য সংশয়বাদ তাঁর মধ্যে মহা সমারোহে প্রতিফলিত হয়েছিল, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। তাঁর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, তা সর্বভাবে স্বজাতীয়। তাঁর মতবাদ অতীতের প্রতিক্রিয়া, অতীতের উত্তরাধিকার মাত্র; আর ইতিপূর্বেই তাকে আমরা ঝেড়ে ফেলতে শুরু করেছি।

“বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্র এবং জনসাধারণ” নামে যে পত্রখানি তিনি ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, তা কীরকম অনিষ্টকর ও বিদ্বেষপ্রসূত, তা একবার ভেবে দেখ। আমি তো তোমাকে বলেছিলাম, এই ধরণের কথা দলগত পত্রের মধ্যে শুনতে পাবে। ঐ সময় আমি এই পত্রের একটি জবাব লিখি। জবাবটি তাঁর নিজের কথারই উপর ভিত্তি ক’রে লিখিত হয়। লিখিঃ রাশিয়ার জন সাধারণের সম্পর্কে বা সপক্ষে কোনো কথা বলবার অধিকার তিনি বহুদিন আগেই হারিয়েছেন।

কারণ, আমি স্বচক্ষে দেখেছি, জন সাধারণের কাছ থেকে যদি কেউ তাঁর সংগে অন্তরংগভাবে আলাপ করতে আসে, তার কথা তিনি মন দিয়ে শুনতে বা বুঝতে চান না।