০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ছবি হল পায় না, বারবার এই বিতর্ক কেন?

  • Sarakhon Report
  • ০৯:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 12

পুস্পা টু চলছে বলে হল পাচ্ছে না বাংলা সিনেমা, অভিযোগ পরিচালক-প্রয়োজকদের।

পায়েল সামন্ত,কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গে রমরমিয়ে চলছে ‘পুষ্পা টু’। এর মধ্যে বড়দিন উপলক্ষে চারটি বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, অনেক পরিবেশক এবং প্রদর্শকদের কাছে বাংলা ছবির চেয়ে দক্ষিণী ছবি প্রাধান্য পাচ্ছে। হল পাচ্ছে না বাংলা ছবি।

দেশজুড়ে বক্স অফিসে সাড়া জাগিয়েছে দক্ষিণের ছবি ‘পুষ্পা টু’। এই ছবির হিন্দি ভার্সন রাজ্যের শহর থেকে জেলার বিভিন্ন হলে চলছে। সিঙ্গল স্ক্রিন থেকে মাল্টিপ্লেক্স, সর্বত্রই শো হাউসফুল। এর মধ্যে বাংলা ছবির মুক্তির দিন এগিয়ে আসায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

বাংলা ছবির মুক্তি

সামনেই বড়দিন ও নতুন বছর। এই উপলক্ষে অন্তত চারটি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। দীপক অধিকারী ওরফে দেবের ‘খাদান’, রাজ চক্রবর্তীর ‘সন্তান’, প্রতীম ডি গুপ্তর ‘চালচিত্র’ ও মানসী সিংহের ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’। এই চারটি ছবিকে জায়গা করে দিতে হবে বিভিন্ন হলে।কিন্তু মুক্তির দিন এগিয়ে এলেও বুকিং পাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পিছিয়ে পড়েছে চারটি বাংলা ছবি।

এই ছবিগুলির মধ্যে ‘সন্তান’ ও ‘খাদান’ এর নেপথ্যে রয়েছে বড় প্রযোজনা সংস্থা। ‘সন্তানের’ ক্ষেত্রে এসভিএফ এবং ‘খাদানের’ ক্ষেত্রে সুরিন্দর ফিল্মস ও দেব। এই দুটি ছবিও হলে জায়গা পেতে বেগ পাচ্ছে। সেই কারণে ক্ষোভ গোপন রাখেননি দেব ও রাজ চক্রবর্তী ।

ফেসবুক পোস্টে দেব লিখেছেন, “খাদানের বুকিং শুরু হয়নি বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করছি। এর জন্য দায়ী ভিন্ন ভাষার ছবি।” রাজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আমাদের রাজ্যে বাংলার আগে হিন্দিকে প্রাধান্য দেয়া হয়। আমি শুধু সন্তানের কথা বলছি না। সব বাংলা ছবিকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু সেটা করা হয় না।”

মুক্তি পেতে চলা বাকি দুটি বাংলা ছবি কম বাজেটের। ফলে ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’ এবং ‘চালচিত্র’ আরো সমস্যার মধ্যে রয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের দুই জনপ্রতিনিধি হয়েও দেব ও রাজের খেদ প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, ছোটখাট প্রযোজনা সংস্থার ছবির হল পাওয়া কতটা কঠিন। এমনকী ‘সন্তান’ ছবিটিও মাল্টিপ্লেক্স বুকিং পেলেও কোন সিঙ্গল স্ক্রিন এখনো পায়নি।

দক্ষিণী ছবির দাপট

এই অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। অতীতেও দেখা গিয়েছে, হিন্দি ছবির জন্য বাংলা সিনেমা জায়গা পাচ্ছে না। এর পিছনে রয়েছে বিশুদ্ধ ব্যবসায়িক কারণ। মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিনের কর্ণধারদের বিপুল টাকার ব্যবসা দিচ্ছে ‘পুষ্পা টু’। সূত্রের খবর, দক্ষিণী ছবিটি প্রথম সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা করেছে। এই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেই ছুটির আমেজ চলে আসবে। তখন হিন্দি সিনেমা দেখতে ভিড় আরো বাড়বে।

এর ফলে বড়দিন ও নতুন বছরের সপ্তাহে বাংলা ছবির জন্য কোন সুখবর থাকছে না, এই অনুমান করা যায়। সমস্যার সমাধান খুঁজতে বৃহস্পতিবার প্রযোজকদের সঙ্গে মাল্টিপ্লেক্স ও হল মালিকদের দফায় দফায় বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, উভয় পক্ষের মধ্যে যথেষ্ট চাপানোউতোর হয়েছে। কেন বাংলা ছবি পশ্চিমবঙ্গেই প্রদর্শনের সুযোগ থাকবে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন প্রযোজকরা। পাল্টা আর্থিক কারণ সামনে এনেছেন হল মালিকরা।

পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ছবি হল পায় না, বারবার এই বিতর্ক কেন?

০৯:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

পায়েল সামন্ত,কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গে রমরমিয়ে চলছে ‘পুষ্পা টু’। এর মধ্যে বড়দিন উপলক্ষে চারটি বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, অনেক পরিবেশক এবং প্রদর্শকদের কাছে বাংলা ছবির চেয়ে দক্ষিণী ছবি প্রাধান্য পাচ্ছে। হল পাচ্ছে না বাংলা ছবি।

দেশজুড়ে বক্স অফিসে সাড়া জাগিয়েছে দক্ষিণের ছবি ‘পুষ্পা টু’। এই ছবির হিন্দি ভার্সন রাজ্যের শহর থেকে জেলার বিভিন্ন হলে চলছে। সিঙ্গল স্ক্রিন থেকে মাল্টিপ্লেক্স, সর্বত্রই শো হাউসফুল। এর মধ্যে বাংলা ছবির মুক্তির দিন এগিয়ে আসায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

বাংলা ছবির মুক্তি

সামনেই বড়দিন ও নতুন বছর। এই উপলক্ষে অন্তত চারটি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। দীপক অধিকারী ওরফে দেবের ‘খাদান’, রাজ চক্রবর্তীর ‘সন্তান’, প্রতীম ডি গুপ্তর ‘চালচিত্র’ ও মানসী সিংহের ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’। এই চারটি ছবিকে জায়গা করে দিতে হবে বিভিন্ন হলে।কিন্তু মুক্তির দিন এগিয়ে এলেও বুকিং পাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পিছিয়ে পড়েছে চারটি বাংলা ছবি।

এই ছবিগুলির মধ্যে ‘সন্তান’ ও ‘খাদান’ এর নেপথ্যে রয়েছে বড় প্রযোজনা সংস্থা। ‘সন্তানের’ ক্ষেত্রে এসভিএফ এবং ‘খাদানের’ ক্ষেত্রে সুরিন্দর ফিল্মস ও দেব। এই দুটি ছবিও হলে জায়গা পেতে বেগ পাচ্ছে। সেই কারণে ক্ষোভ গোপন রাখেননি দেব ও রাজ চক্রবর্তী ।

ফেসবুক পোস্টে দেব লিখেছেন, “খাদানের বুকিং শুরু হয়নি বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করছি। এর জন্য দায়ী ভিন্ন ভাষার ছবি।” রাজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আমাদের রাজ্যে বাংলার আগে হিন্দিকে প্রাধান্য দেয়া হয়। আমি শুধু সন্তানের কথা বলছি না। সব বাংলা ছবিকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু সেটা করা হয় না।”

মুক্তি পেতে চলা বাকি দুটি বাংলা ছবি কম বাজেটের। ফলে ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’ এবং ‘চালচিত্র’ আরো সমস্যার মধ্যে রয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের দুই জনপ্রতিনিধি হয়েও দেব ও রাজের খেদ প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, ছোটখাট প্রযোজনা সংস্থার ছবির হল পাওয়া কতটা কঠিন। এমনকী ‘সন্তান’ ছবিটিও মাল্টিপ্লেক্স বুকিং পেলেও কোন সিঙ্গল স্ক্রিন এখনো পায়নি।

দক্ষিণী ছবির দাপট

এই অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। অতীতেও দেখা গিয়েছে, হিন্দি ছবির জন্য বাংলা সিনেমা জায়গা পাচ্ছে না। এর পিছনে রয়েছে বিশুদ্ধ ব্যবসায়িক কারণ। মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিনের কর্ণধারদের বিপুল টাকার ব্যবসা দিচ্ছে ‘পুষ্পা টু’। সূত্রের খবর, দক্ষিণী ছবিটি প্রথম সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা করেছে। এই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেই ছুটির আমেজ চলে আসবে। তখন হিন্দি সিনেমা দেখতে ভিড় আরো বাড়বে।

এর ফলে বড়দিন ও নতুন বছরের সপ্তাহে বাংলা ছবির জন্য কোন সুখবর থাকছে না, এই অনুমান করা যায়। সমস্যার সমাধান খুঁজতে বৃহস্পতিবার প্রযোজকদের সঙ্গে মাল্টিপ্লেক্স ও হল মালিকদের দফায় দফায় বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, উভয় পক্ষের মধ্যে যথেষ্ট চাপানোউতোর হয়েছে। কেন বাংলা ছবি পশ্চিমবঙ্গেই প্রদর্শনের সুযোগ থাকবে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন প্রযোজকরা। পাল্টা আর্থিক কারণ সামনে এনেছেন হল মালিকরা।