০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ১৬)

  • Sarakhon Report
  • ০২:০০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • 90

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।

 

 

উদারতাই একজনকে নেতা তৈরি করে

 

 

স্মার্ট লিডারকে উদারতার সব ধরনের গুন চরিত্রের মধ্যে অর্জন করতে হবে।  যদি নিজ চরিত্রে যদি উদারতা  না থাকে তাহলে কখনোই আইন বা কোম্পানির বিধিমালা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা যায় না।

এজন্য স্মার্ট লিডারকে প্রথমেই উদার হতে হয় তার পরিবারে। পরিবারের সকলের মতামত শোনার, সকলের ব্যক্তিত্বকে গুরুত্ব দেবার, এমনকি পরিবারের সব সদস্যই যে সমান গুরুত্বের- সেটাকে মানসিকভাবে গ্রহন করার গুন অর্জন করতে হয়। মনে রাখতে হয়, পরিবারই মানুষের জীবনে প্রথম প্রতিষ্ঠান। যে মানুষ তার নিজের পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটি গড়তে ব্যর্থ হন,  তিনি পরিবারের বাইরে এসে সমাজে, ব্যবসায়ে বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত সফল হবেন এ আশা করা ভুল।

 

পরিবার থেকে এই উদারতার শিক্ষা নিজ জীবনে নিলে, তিনি তার টিমকে বা দলকেও উদারতার সঙ্গে চালাতে পারবেন।

 

অনেকে নেতা মনে করেন, দল বা টিম কঠোরতা দিয়েই চালানো উচিত। কঠোরতা দিয়ে বাস্তবে বুদ্ধিহীন বা বুদ্ধির বিকাশ বন্ধ করে দিয়ে একটি গোষ্টি বা দলকে পরিচালনা করা যায়। এটা কতকটা লাঠি হাতের মেষ বালকের মত ভেড়ার পাল চালানো।

আধুনিক নেতাকে অবশ্যই পুরাকালে লাঠি হাতের মেষবালক বা রাখালের বাইরেও  কিছু কিছু স্মার্ট মেষ বালক বা রাখালের কাছ থেকে সফট পাওয়ার শিখতে হবে। দেখা যায়, ওই সব মেষ বালক বা রাখাল কিন্তু লাঠি ব্যবহার করতো না। তারা বিভিন্ন ধরনের গান, গলার সুর ও খেলা শেখানোর ভেতর দিয়ে মেঘ বা গরুগুলোকে এতই সচেতন শুধু নয়- দক্ষ করে তুলতো যার ফলে তারা শুধু ভয়ংকর পশু এলে কী করতে হবে তা নয়, তারা প্রতিটি মুহূর্তে তাদের কী করতে হবে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারতো।

 

বা্স্তবে তাই সফট পাওয়ার বা উদারতার বয়স অনেক দীর্ঘ। মানুষের সভ্যতার প্রায় সম বয়সী। এ কারণে যখন কোন নেতা উদার হন না তিনি কিন্তু নিজেই আদিম যুগে থাকেন। তখণ তার নেতৃত্বে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সমাজ বা রাষ্ট্র অবধি কখনই সামনের দিকে যেতে পারে না।

এজন্য এটাই স্মার্ট নেতার ক্ষেত্রে সত্য হিসেবে নিতে হবে, উদারতা, উদারতা এবং উদারতা। তবে মনে রাখতে হবে,  উদারতা মানে ভীরুতা নয়, অজ্ঞতা নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ১৬)

০২:০০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।

 

 

উদারতাই একজনকে নেতা তৈরি করে

 

 

স্মার্ট লিডারকে উদারতার সব ধরনের গুন চরিত্রের মধ্যে অর্জন করতে হবে।  যদি নিজ চরিত্রে যদি উদারতা  না থাকে তাহলে কখনোই আইন বা কোম্পানির বিধিমালা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা যায় না।

এজন্য স্মার্ট লিডারকে প্রথমেই উদার হতে হয় তার পরিবারে। পরিবারের সকলের মতামত শোনার, সকলের ব্যক্তিত্বকে গুরুত্ব দেবার, এমনকি পরিবারের সব সদস্যই যে সমান গুরুত্বের- সেটাকে মানসিকভাবে গ্রহন করার গুন অর্জন করতে হয়। মনে রাখতে হয়, পরিবারই মানুষের জীবনে প্রথম প্রতিষ্ঠান। যে মানুষ তার নিজের পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটি গড়তে ব্যর্থ হন,  তিনি পরিবারের বাইরে এসে সমাজে, ব্যবসায়ে বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত সফল হবেন এ আশা করা ভুল।

 

পরিবার থেকে এই উদারতার শিক্ষা নিজ জীবনে নিলে, তিনি তার টিমকে বা দলকেও উদারতার সঙ্গে চালাতে পারবেন।

 

অনেকে নেতা মনে করেন, দল বা টিম কঠোরতা দিয়েই চালানো উচিত। কঠোরতা দিয়ে বাস্তবে বুদ্ধিহীন বা বুদ্ধির বিকাশ বন্ধ করে দিয়ে একটি গোষ্টি বা দলকে পরিচালনা করা যায়। এটা কতকটা লাঠি হাতের মেষ বালকের মত ভেড়ার পাল চালানো।

আধুনিক নেতাকে অবশ্যই পুরাকালে লাঠি হাতের মেষবালক বা রাখালের বাইরেও  কিছু কিছু স্মার্ট মেষ বালক বা রাখালের কাছ থেকে সফট পাওয়ার শিখতে হবে। দেখা যায়, ওই সব মেষ বালক বা রাখাল কিন্তু লাঠি ব্যবহার করতো না। তারা বিভিন্ন ধরনের গান, গলার সুর ও খেলা শেখানোর ভেতর দিয়ে মেঘ বা গরুগুলোকে এতই সচেতন শুধু নয়- দক্ষ করে তুলতো যার ফলে তারা শুধু ভয়ংকর পশু এলে কী করতে হবে তা নয়, তারা প্রতিটি মুহূর্তে তাদের কী করতে হবে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারতো।

 

বা্স্তবে তাই সফট পাওয়ার বা উদারতার বয়স অনেক দীর্ঘ। মানুষের সভ্যতার প্রায় সম বয়সী। এ কারণে যখন কোন নেতা উদার হন না তিনি কিন্তু নিজেই আদিম যুগে থাকেন। তখণ তার নেতৃত্বে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সমাজ বা রাষ্ট্র অবধি কখনই সামনের দিকে যেতে পারে না।

এজন্য এটাই স্মার্ট নেতার ক্ষেত্রে সত্য হিসেবে নিতে হবে, উদারতা, উদারতা এবং উদারতা। তবে মনে রাখতে হবে,  উদারতা মানে ভীরুতা নয়, অজ্ঞতা নয়।