০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ডকুমেন্টারি আবার আলোয় আনতে নিউইয়র্কে ভ্যারাইটির ‘ডক ড্রিমস লাইভ’ আমাজনের বেলেং-এ শুরু হলো কপ৩০, যুক্তরাষ্ট্র নেই আলোচনার টেবিলে সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজারে ধস: ডিএসই সূচক ৬৮ পয়েন্ট ও সিএসই ৩৫ পয়েন্ট কমেছে ২০২৫ সালের গিফট গাইডে এআই ও ওয়্যারেবলকে শীর্ষে তুলল এনগ্যাজেট তাইওয়ান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে চীনা কূটনীতিককে ডেকে পাঠাল টোকিও ব্রিটেনকে বিনিয়োগকারীদের বার্তা: একটু আশাবাদী হোন ভারতের অদ্ভুত স্থিতিশীলতা: অস্থির প্রতিবেশে শান্ত শক্তি  ধানমন্ডিতে মাইডাস ও ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ তেহরানে এক কোটি মানুষের দুই সপ্তাহ চলার মতো পানি আছে সাভারে ৪ কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ: টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপে উত্তেজনা

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৭)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 61

প্রদীপ কুমার মজুমদার

ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে “অঙ্ক” সংজ্ঞা ৯ খ্যাপন করে। সেইজন্য প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদেরা বলেন-নবৈব যোগো গণনেতি শশ্বৎ-অর্থাৎ গণনাযোগ সর্বদাই নব মাত্র। বিখ্যাত টীকাকার নীলকণ্ঠ সুরী উক্ত শ্লোকের টাকাতে বলেছেন “নবৈবাঙ্কা: ক্রমভেদেন স্বিত্বা যথেষ্টং সংখ্যাবাচিনো ভবস্তি”। সুতরাং প্রাচীন ভারতীয় গণিত- বিদেরা শূন্য চিহ্নকে ঐ সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করেন নাই। কিন্তু প্রাচীন ভারতীয়দের শ্রেষ্ঠ সংখ্যা প্রণালীতে শূন্যকে ধরে মোট দশটি অঙ্ক আছে। সেইহেতু পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গ এই প্রণালীকে দশাঙ্ক সংখ্যা প্রণালী বলেছেন।

মহাভারতের যুগে ভারতীয় গণিতবিদেরা সংখ্যা খ্যাপনার্থে অঙ্ক ব্যবহার করতেন সে নিদর্শন মহাভারতের বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বনপর্বের কথাই ধরা যাক। দুর্যোধন, শকুনি প্রভৃতি পাণ্ডবদের বনবাস কি রকম চলছে তা দেখার জন্য চাতুরী করে ধৃতরাষ্ট্রকে বললেন-“স্মারণে সময়ঃ প্রাপ্তো বৎসানামপি চাঙ্কনম্”। অর্থাৎ স্মারণের এবং (নূতন) বৎসকূলকে অঙ্কনের সময় হয়েছে।

এখানে স্মারণ শব্দটির অর্থ হচ্ছে সংখ্যা পরিগণনা। নীলকণ্ঠ সুরী স্মারণ শব্দটির সংস্কৃত টীকা করতে গিয়ে বলেছেন-“স্মারণে স্মারণহেতৌ কৰ্ম্মণি গবাং সংখ্যা পূর্ব্বকং বয়োবর্ণজাতিনায়া লেখনে।” অঙ্কন শব্দটির অর্থ এখানে সংখ্যা স্থাপন বোঝান হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৬)

জনপ্রিয় সংবাদ

ডকুমেন্টারি আবার আলোয় আনতে নিউইয়র্কে ভ্যারাইটির ‘ডক ড্রিমস লাইভ’

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৭)

১০:০০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রদীপ কুমার মজুমদার

ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে “অঙ্ক” সংজ্ঞা ৯ খ্যাপন করে। সেইজন্য প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদেরা বলেন-নবৈব যোগো গণনেতি শশ্বৎ-অর্থাৎ গণনাযোগ সর্বদাই নব মাত্র। বিখ্যাত টীকাকার নীলকণ্ঠ সুরী উক্ত শ্লোকের টাকাতে বলেছেন “নবৈবাঙ্কা: ক্রমভেদেন স্বিত্বা যথেষ্টং সংখ্যাবাচিনো ভবস্তি”। সুতরাং প্রাচীন ভারতীয় গণিত- বিদেরা শূন্য চিহ্নকে ঐ সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করেন নাই। কিন্তু প্রাচীন ভারতীয়দের শ্রেষ্ঠ সংখ্যা প্রণালীতে শূন্যকে ধরে মোট দশটি অঙ্ক আছে। সেইহেতু পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গ এই প্রণালীকে দশাঙ্ক সংখ্যা প্রণালী বলেছেন।

মহাভারতের যুগে ভারতীয় গণিতবিদেরা সংখ্যা খ্যাপনার্থে অঙ্ক ব্যবহার করতেন সে নিদর্শন মহাভারতের বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বনপর্বের কথাই ধরা যাক। দুর্যোধন, শকুনি প্রভৃতি পাণ্ডবদের বনবাস কি রকম চলছে তা দেখার জন্য চাতুরী করে ধৃতরাষ্ট্রকে বললেন-“স্মারণে সময়ঃ প্রাপ্তো বৎসানামপি চাঙ্কনম্”। অর্থাৎ স্মারণের এবং (নূতন) বৎসকূলকে অঙ্কনের সময় হয়েছে।

এখানে স্মারণ শব্দটির অর্থ হচ্ছে সংখ্যা পরিগণনা। নীলকণ্ঠ সুরী স্মারণ শব্দটির সংস্কৃত টীকা করতে গিয়ে বলেছেন-“স্মারণে স্মারণহেতৌ কৰ্ম্মণি গবাং সংখ্যা পূর্ব্বকং বয়োবর্ণজাতিনায়া লেখনে।” অঙ্কন শব্দটির অর্থ এখানে সংখ্যা স্থাপন বোঝান হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৬)