প্রদীপ কুমার মজুমদার
মহাভারতের একটি আখ্যান থেকে আমরা জানতে পারি যে, মহাভারতীয় যুগের পূর্বে ভারতীয়রা দশাঙ্ক সংখ্যা জানতেন। উদাহরণস্বরূপ অষ্টবক্রোপাখ্যানের কথা বলা যেতে পারে। অবশ্য এই উপাখ্যানের গূঢ়ার্থ দুর্বোধ্য। তবে মনে হয় এটি একটি অঙ্কসংজ্ঞা নিঘন্ট। যাই হোক উপাখ্যানটির কিছু অংশ অনুবাদসহ সংস্কৃত শ্লোকগুলি তুলে ধরছি:
বন্দী উবাচ-
এক এবাগ্নির্ব্বহুধা সমিধ্যতে
একঃ সূর্য্যঃ সর্ব্বমিদং বিভাতি।
একো বীরো দেবরাজোহরি হস্তা
যমঃ পিত, ণামীশ্বরশ্চৈক এবঃ
অর্থাৎ একই অগ্নি বহুপ্রকারে প্রজ্জ্বলিত হয়। এক সূর্য এই সমগ্র বিশ্বকে আলোকিত করে; অরিহন্তা বীর দেবরাজ এক। পিতৃগণের ঈশ্বর যম এক।
অষ্টাবক্র উবাচ-
দ্বাবিন্দ্রাগ্নী চরতো বৈ সখায়ৌ
যৌ দেবর্ষী নারদ পর্ব্বতৌ চ।
দ্বাবশ্বিনৌ যে রথস্যাপি চক্রে
ভাৰ্য্যাপতী ছৌ বিহিতৌ বিধাত্রা।
অর্থাৎ, সহচারী ইন্দ্রাগ্নি দুই। দেবর্ষি দুই-নারদ এবং পর্ব্বত, অশ্বিনীকুমার দুই; রথচক্র দুই এবং বিধির বিধানে ভাষাপতি দুই।
বন্দী উবাচ-
ত্রিঃ সূয়তে কৰ্ম্মণা বৈ প্রজেয়ং
এয়ো যুক্তা বাজপেয়ং বহন্তি।
অন্ধৰ্য্যবস্থিসবনানি তন্বতে
এয়ো লোকাস্ত্রীণি জ্যোতীংষি চাহুঃ।
অর্থাৎ কর্মনিমিত্ত প্রজাজন্ম তিন; ত্রয়ী অনুযায়ী বাজপেয় সম্পন্ন হয়।অধ্বযু গণের বিধানানুযায়ী সবন তিন; লোক তিন এবং জ্যোতিও তিন প্রকার।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















