০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
সেই সব দিনগুলো ও ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের বিকাশ ও সংকট: বিনোদন নাকি সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার? মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জুলাই বিপ্লবের পর ভারতের ক্ষোভের মাঝে চীনমুখী বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের আস্থা বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সক্রিয় সম্পর্ক জরুরি পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩২) প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৩১) রেয়ার আর্থ দখলে চীনের জয়যাত্রা ও পরিবেশের চড়া খেসারত বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও কেন চীনের রেয়ার আর্থ আধিপত্য অটুট জৈবজ্বালানি বিধিমালা ও ভূরাজনৈতিক ঝাঁকুনিতে পাম ওয়েল বাজার

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি: বিএনপিসহ একাট্টা হচ্ছে মিত্ররা

  • Sarakhon Report
  • ০৯:৪৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 22

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নতুন বছরের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে”

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। অর্থাৎ এই দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে দেশের বাকি এলাকায় হালকা শীত থাকছে। গতকাল মঙ্গলবার উপকূলীয় এলাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও তা ছিল অল্প সময়ের জন্য। সেই সঙ্গে রোদ আর কুয়াশার লুকোচুরিও দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, চলতি মাসের বাকি সময়ে দেশের দু–একটি জায়গা বাদে কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা কম। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় হালকা শীত থাকতে পারে। আগামী মাস, অর্থাৎ নতুন বছরের শুরুটা দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে শুরু হতে পারে। জানুয়ারির বেশির ভাগ সময় দেশের কোথাও না কোথাও শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।

আজ বুধবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীত বাড়তে পারে। দেশের বাকি এলাকার তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা আছে। কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে দেশের উপকূলীয় এলাকার আকাশ।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “রেমিট্যান্স ডলারের দাম বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক”

গত দুই বছর ধরে দেশের ডলারের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত চার মাসে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে এবং তা ১২৮ টাকায় পৌঁছায়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় না কেনে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের মতে, ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে যে, রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে ১২৩ টাকার সীমা মানতে হবে। এতদিন এই সীমা ছিল ১২০ টাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যাংক ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায় ডলার কিনেছে।

ডিসেম্বরের শুরুতে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বেশ কিছু ব্যাংক বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়। এর ফলে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে বেশি দামে ডলার কেনা হচ্ছে। এতে করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়লেও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কেনার ক্ষেত্রেও বেশি দামের প্রভাব দেখা দিয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ দেশের সেরা দুই অর্থমন্ত্রীর মৃত্যু হয় অপঘাতে”

অলিগার্কদের উত্থান। ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থের লুটপাট। দেশ থেকে প্রতি বছর শত শত কোটি ডলার অর্থ পাচার। দায় মুক্তি দিয়ে অন্যায্য সরকারি চুক্তি। অর্থনীতির এ প্রধান প্রবণতা গড়ে উঠে অর্থমন্ত্রী হিসাবে এম সাইফুর রহমান,শাহ এএমএস কিবরিয়া পরবর্তী যুগে। এ দুজনেরই মৃত্যু হয় অপঘাতে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের মৃত্যু হয় ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খড়িয়ালা নামক স্থানে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার গাড়ি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। ৫-৬ ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়া ওই গাড়িতে চালকসহ ছিলেন মোট ছয়জন। এর মধ্যে কেবল এম সাইফুর রহমানেরই মৃত্যু হয়। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি এক জনসভায় গ্রেনেড হামলার শিকার হন শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় সাবেক এ অর্থমন্ত্রীসহ পাঁচজন নিহত হন।

সিলেট অঞ্চল থেকে উঠে আসা প্রয়াত এ দুই মন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কাজ করা বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবিদ, আমলা, গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য হলো অর্থমন্ত্রী হিসেবে এম সাইফুর রহমান ও শাহ এএমএস কিবরিয়া দুজনই ছিলেন বেশ সফল। তাদের দৃঢ়চেতা মনোভাবের কারণে সবাই সমীহ করে চলতেন। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তাদের অবস্থান ছিল বেশ কঠোর। ব্যাংক খাত সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুজনেরই ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কঠোর ছিলেন ব্যাংক খাতে মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তাদের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অলিগার্করা ঢুকতেও পারেননি। অনেক ক্ষেত্রে সরকারপ্রধানের মতের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি এ দুই অর্থনীতিবিদ। এ কারণে অলিগার্কদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্যেও অনেকে তাদের শত্রু মনে করতেন। দেশের সেরা দুই অর্থমন্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকার কথাও জানান কেউ কেউ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি: বিএনপিসহ একাট্টা হচ্ছে মিত্ররা”

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি: বিএনপিসহ একাট্টা হচ্ছে মিত্ররা। এটি যুগান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে একাট্টা হচ্ছে বিএনপিসহ মিত্ররা। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চায় দলগুলো। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী সংস্কার চান। বাকি সংস্কারগুলো পরে নির্বাচিত সরকার সংসদে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পক্ষে দলগুলো। এজন্য সংস্কারে বেশি সময় না নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা চান নেতারা। জানুয়ারির মধ্যে এ ঘোষণা দেওয়া না হলে যুগপৎ আন্দোলনের কথা ভাবা হচ্ছে।

রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, মাঠের কর্মসূচি দেওয়ার লক্ষ্য হবে ভোটের আবহ তৈরি এবং সরকারের ওপর নির্বাচনি চাপ বাড়ানো। নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা সংশয়-সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে গত কয়েকদিন ধরে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চায় দলগুলোর নেতারা। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির এক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, সভা-সমাবেশে যে যা-ই বলুক না কেন, ভোটের অধিকারের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। দীর্ঘ ১৫ বছর ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। এখন সেই ভোটের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখনো যদি ভোটের জন্য রাস্তায় নামতে হয়, তবে তা খুবই দুঃখজনক হবে। তাহলে বুঝতে হবে মৌলিকভাবে কোনো কিছু পরিবর্তন হয়নি। সুতরাং আশা করব রাজনৈতিক দলগুলোকে রাস্তায় নামতে হবে না। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নেবে এবং আগামী বছরের মধ্যই জাতীয় নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে।

তবে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ব্যর্থতাও চায় না। বিএনপি নেতারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হবে, যা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে পারে। এ বিষয়ে কয়েকটি দল ও মহলের কর্মকাণ্ড বিএনপি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিএনপি মনে করছে, কোনো কোনো মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে।

সেই সব দিনগুলো ও ফরিদা পারভীন

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি: বিএনপিসহ একাট্টা হচ্ছে মিত্ররা

০৯:৪৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নতুন বছরের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে”

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। অর্থাৎ এই দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে দেশের বাকি এলাকায় হালকা শীত থাকছে। গতকাল মঙ্গলবার উপকূলীয় এলাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও তা ছিল অল্প সময়ের জন্য। সেই সঙ্গে রোদ আর কুয়াশার লুকোচুরিও দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, চলতি মাসের বাকি সময়ে দেশের দু–একটি জায়গা বাদে কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা কম। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় হালকা শীত থাকতে পারে। আগামী মাস, অর্থাৎ নতুন বছরের শুরুটা দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে শুরু হতে পারে। জানুয়ারির বেশির ভাগ সময় দেশের কোথাও না কোথাও শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।

আজ বুধবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীত বাড়তে পারে। দেশের বাকি এলাকার তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা আছে। কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে দেশের উপকূলীয় এলাকার আকাশ।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “রেমিট্যান্স ডলারের দাম বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক”

গত দুই বছর ধরে দেশের ডলারের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত চার মাসে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে এবং তা ১২৮ টাকায় পৌঁছায়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় না কেনে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের মতে, ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে যে, রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে ১২৩ টাকার সীমা মানতে হবে। এতদিন এই সীমা ছিল ১২০ টাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যাংক ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায় ডলার কিনেছে।

ডিসেম্বরের শুরুতে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বেশ কিছু ব্যাংক বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়। এর ফলে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে বেশি দামে ডলার কেনা হচ্ছে। এতে করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়লেও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কেনার ক্ষেত্রেও বেশি দামের প্রভাব দেখা দিয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ দেশের সেরা দুই অর্থমন্ত্রীর মৃত্যু হয় অপঘাতে”

অলিগার্কদের উত্থান। ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থের লুটপাট। দেশ থেকে প্রতি বছর শত শত কোটি ডলার অর্থ পাচার। দায় মুক্তি দিয়ে অন্যায্য সরকারি চুক্তি। অর্থনীতির এ প্রধান প্রবণতা গড়ে উঠে অর্থমন্ত্রী হিসাবে এম সাইফুর রহমান,শাহ এএমএস কিবরিয়া পরবর্তী যুগে। এ দুজনেরই মৃত্যু হয় অপঘাতে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের মৃত্যু হয় ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খড়িয়ালা নামক স্থানে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার গাড়ি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। ৫-৬ ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়া ওই গাড়িতে চালকসহ ছিলেন মোট ছয়জন। এর মধ্যে কেবল এম সাইফুর রহমানেরই মৃত্যু হয়। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি এক জনসভায় গ্রেনেড হামলার শিকার হন শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় সাবেক এ অর্থমন্ত্রীসহ পাঁচজন নিহত হন।

সিলেট অঞ্চল থেকে উঠে আসা প্রয়াত এ দুই মন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কাজ করা বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবিদ, আমলা, গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য হলো অর্থমন্ত্রী হিসেবে এম সাইফুর রহমান ও শাহ এএমএস কিবরিয়া দুজনই ছিলেন বেশ সফল। তাদের দৃঢ়চেতা মনোভাবের কারণে সবাই সমীহ করে চলতেন। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তাদের অবস্থান ছিল বেশ কঠোর। ব্যাংক খাত সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুজনেরই ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কঠোর ছিলেন ব্যাংক খাতে মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তাদের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অলিগার্করা ঢুকতেও পারেননি। অনেক ক্ষেত্রে সরকারপ্রধানের মতের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি এ দুই অর্থনীতিবিদ। এ কারণে অলিগার্কদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্যেও অনেকে তাদের শত্রু মনে করতেন। দেশের সেরা দুই অর্থমন্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকার কথাও জানান কেউ কেউ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি: বিএনপিসহ একাট্টা হচ্ছে মিত্ররা”

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি: বিএনপিসহ একাট্টা হচ্ছে মিত্ররা। এটি যুগান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে একাট্টা হচ্ছে বিএনপিসহ মিত্ররা। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চায় দলগুলো। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী সংস্কার চান। বাকি সংস্কারগুলো পরে নির্বাচিত সরকার সংসদে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পক্ষে দলগুলো। এজন্য সংস্কারে বেশি সময় না নিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা চান নেতারা। জানুয়ারির মধ্যে এ ঘোষণা দেওয়া না হলে যুগপৎ আন্দোলনের কথা ভাবা হচ্ছে।

রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, মাঠের কর্মসূচি দেওয়ার লক্ষ্য হবে ভোটের আবহ তৈরি এবং সরকারের ওপর নির্বাচনি চাপ বাড়ানো। নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা সংশয়-সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে গত কয়েকদিন ধরে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চায় দলগুলোর নেতারা। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির এক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, সভা-সমাবেশে যে যা-ই বলুক না কেন, ভোটের অধিকারের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। দীর্ঘ ১৫ বছর ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। এখন সেই ভোটের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখনো যদি ভোটের জন্য রাস্তায় নামতে হয়, তবে তা খুবই দুঃখজনক হবে। তাহলে বুঝতে হবে মৌলিকভাবে কোনো কিছু পরিবর্তন হয়নি। সুতরাং আশা করব রাজনৈতিক দলগুলোকে রাস্তায় নামতে হবে না। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নেবে এবং আগামী বছরের মধ্যই জাতীয় নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে।

তবে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ব্যর্থতাও চায় না। বিএনপি নেতারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হবে, যা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে পারে। এ বিষয়ে কয়েকটি দল ও মহলের কর্মকাণ্ড বিএনপি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিএনপি মনে করছে, কোনো কোনো মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে।