১২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সন্ত্রাস দমনে অপ্রবেশ্য নিরাপত্তা বলয়, সংঘটিত অপরাধে সর্বমুখী আঘাতের ঘোষণা অমিত শাহের ইসরায়েলের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডকে, আফ্রিকার শিংয়ে নতুন ভূরাজনৈতিক ঢেউ চীনা যুদ্ধবিমানের প্রধান ক্রেতা হিসেবে পাকিস্তানের উত্থান, পেন্টাগনের প্রতিবেদনে স্পষ্ট বার্তা পাকিস্তানে সৌর বিদ্যুতের উত্থান, নারীরা কি কেবল দর্শক চৌদ্দ দেশের কণ্ঠে একসুর, পশ্চিম তীরে নতুন ইহুদি বসতি সম্প্রসারণে ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ইউএই মরুভূমির পাঁচশ মিটার ওপরে নিঃশব্দ উড়াল, রাস আল খাইমায় হট এয়ার বেলুনের ভেতরের গল্প শুরু হচ্ছে ভুয়া কনসার্ট টিকিটে প্রতারণা, তিন মাসের লড়াইয়ে টাকা ফিরে পেলেন প্রবাসী নারী দাম বাড়লেও সোনা ছাড়া নয় বিয়ে, বুদ্ধিমত্তায় কেনাকাটায় ঝুঁকছেন ক্রেতারা লবণ জলে বাঁধা পরিবার: সিডনি–হোবার্ট ইয়ট রেসে বাবা–ছেলে–ভাইবোনের প্রজন্মের লড়াই হিজবুল্লাহ দুর্বল হলেও নিঃশেষ নয়, নিরস্ত্রীকরণ ঘিরে আবারও যুদ্ধের শঙ্কা

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -২৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 73

আর্কাদি গাইদার

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

নৌবাহিনীর এক ছোকরা অফিসারকে গলা চড়িয়ে তিনি কী-যেন বলছিলেন। অফিসারটি প্ল্যাটফর্মের ওপর একটা ভারি লোহার ট্রাঙ্ক টানার চেষ্টা করছিল।

‘আঃ, ছেড়ে দাও তো,’ ছোকরাটি জবাব দিল, ‘এখানে কুলি পাবে কোথায়, শুনি! আঃ, চুলোয় যাক সব! এ্যাই, শোন!’ হঠাৎ ট্রাঙ্কটা নামিয়ে রেখে কাকে যেন ডাকল ও। দেখা গেল, পাশ দিয়ে চলে-যাওয়ার সময় একজন সৈনিককে ও ডেকে বলছে, ‘এই-যে, তুমি, তুমি! আমার এই মালপত্রগুলো ট্রেনে তুলতে একটু সাহায্য কর দেখি।’

খানিকটা অবাক হয়ে আর এই কর্তৃত্বপূর্ণ হুকুম শুনে যান্ত্রিকভাবেই সৈনিকটি অ্যাটেনশনের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে পড়ল আর হাত দুটো ঝুলে পড়ল দু-পাশে। তারপর হঠাৎ-কিছু-না-ভেবেই, এরকম হুকুম মানায় আর ওর সঙ্গীদের বিদ্রূপভরা চোখের দৃষ্টি দেখে যেন কিছুটা লজ্জিতভাবে সহজ হবার চেষ্টা করল। আস্তে আস্তে হাতদুটো কোমরের বেল্টের মধ্যে গুঁজে দিয়ে এতক্ষণে ও অফিসারের দিকে চোখ সরু করে বিদ্রূপের ভঙ্গিতে তাকাল।

অফিসারটি আবার বলল, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি তোমাকেই বলছি। কী হল, কালা হয়ে গেলে নাকি?’

‘না, স্যার, কালা হব কেন? তবে কিনা, আপনার জিনিসপত্তর আপনার হয়ে টানাটানি করা আমার কাজ নয়।’

কথাটা বলে পেছন ফিরে ধীরে-সুস্থে ট্রেনের ধার-বরাবর এগিয়ে গেল।

অফিসারটির দিকে ঝাপসা চোখে কটমট করে তাকিয়ে বৃদ্ধা চে’চিয়ে উঠলেন, ‘গ্রেগরি! শিগগির, শিগগির একজন মিলিটারি পুলিশ ডাক, গ্রেগরি, অসভ্য লোকটাকে গ্রেপ্তার করুক এসে!’

কিন্তু অফিসারটি অসহায়ের ভঙ্গিতে হাত নেড়ে থামিয়ে দিল মহিলাকে। তারপর হঠাৎ খেপে উঠে ধমক দিয়ে বললে:

‘মেলা ফ্যাচফ্যাচ কোরো না তো। সব ব্যাপারে নাক গলানো চাই! কী বোঝো তুমি? কোথায় মিলিটারি পুলিশ? কার কথা বলছ তুমি আনব কাউকে? চুপটি করে মুখ বন্ধ করে বোসো দেখি।’ পরপার থেকে ডেকে হঠাৎ ট্রেনের একটা কামরার জানলা দিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে তিষ্কাকে মুখ বের করতে দেখা গেল।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ত্রাস দমনে অপ্রবেশ্য নিরাপত্তা বলয়, সংঘটিত অপরাধে সর্বমুখী আঘাতের ঘোষণা অমিত শাহের

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -২৪)

০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

নৌবাহিনীর এক ছোকরা অফিসারকে গলা চড়িয়ে তিনি কী-যেন বলছিলেন। অফিসারটি প্ল্যাটফর্মের ওপর একটা ভারি লোহার ট্রাঙ্ক টানার চেষ্টা করছিল।

‘আঃ, ছেড়ে দাও তো,’ ছোকরাটি জবাব দিল, ‘এখানে কুলি পাবে কোথায়, শুনি! আঃ, চুলোয় যাক সব! এ্যাই, শোন!’ হঠাৎ ট্রাঙ্কটা নামিয়ে রেখে কাকে যেন ডাকল ও। দেখা গেল, পাশ দিয়ে চলে-যাওয়ার সময় একজন সৈনিককে ও ডেকে বলছে, ‘এই-যে, তুমি, তুমি! আমার এই মালপত্রগুলো ট্রেনে তুলতে একটু সাহায্য কর দেখি।’

খানিকটা অবাক হয়ে আর এই কর্তৃত্বপূর্ণ হুকুম শুনে যান্ত্রিকভাবেই সৈনিকটি অ্যাটেনশনের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে পড়ল আর হাত দুটো ঝুলে পড়ল দু-পাশে। তারপর হঠাৎ-কিছু-না-ভেবেই, এরকম হুকুম মানায় আর ওর সঙ্গীদের বিদ্রূপভরা চোখের দৃষ্টি দেখে যেন কিছুটা লজ্জিতভাবে সহজ হবার চেষ্টা করল। আস্তে আস্তে হাতদুটো কোমরের বেল্টের মধ্যে গুঁজে দিয়ে এতক্ষণে ও অফিসারের দিকে চোখ সরু করে বিদ্রূপের ভঙ্গিতে তাকাল।

অফিসারটি আবার বলল, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি তোমাকেই বলছি। কী হল, কালা হয়ে গেলে নাকি?’

‘না, স্যার, কালা হব কেন? তবে কিনা, আপনার জিনিসপত্তর আপনার হয়ে টানাটানি করা আমার কাজ নয়।’

কথাটা বলে পেছন ফিরে ধীরে-সুস্থে ট্রেনের ধার-বরাবর এগিয়ে গেল।

অফিসারটির দিকে ঝাপসা চোখে কটমট করে তাকিয়ে বৃদ্ধা চে’চিয়ে উঠলেন, ‘গ্রেগরি! শিগগির, শিগগির একজন মিলিটারি পুলিশ ডাক, গ্রেগরি, অসভ্য লোকটাকে গ্রেপ্তার করুক এসে!’

কিন্তু অফিসারটি অসহায়ের ভঙ্গিতে হাত নেড়ে থামিয়ে দিল মহিলাকে। তারপর হঠাৎ খেপে উঠে ধমক দিয়ে বললে:

‘মেলা ফ্যাচফ্যাচ কোরো না তো। সব ব্যাপারে নাক গলানো চাই! কী বোঝো তুমি? কোথায় মিলিটারি পুলিশ? কার কথা বলছ তুমি আনব কাউকে? চুপটি করে মুখ বন্ধ করে বোসো দেখি।’ পরপার থেকে ডেকে হঠাৎ ট্রেনের একটা কামরার জানলা দিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে তিষ্কাকে মুখ বের করতে দেখা গেল।