০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে শিশিতে বন্দি সৌন্দর্যের মোহ: পরীক্ষাহীন পেপটাইড ইনজেকশনের বিপজ্জনক উত্থান তুরস্কের দাবি: আক্কুয়ু পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার নতুন ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৬) শাওমির ১৭ আল্ট্রা ‘লাইকা এডিশন’: স্মার্টফোনে ফিরছে ম্যানুয়াল জুম রিং একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 56

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

একেবারে বনের ধারে এসে তবে দম নেবার জন্যে দাঁড়ালুম। জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে-নিতে এক জায়গায় জড়-করা শুকনো পাতার ওপর শুয়ে পড়লুম।
মাঝে মাঝে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগল,ম, কেউ আমার পিছু নিয়েছে কিনা তাই দেখতে। একটা ছোট্ট স্রোত আমার পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল। জড়িয়েছ কবিকার, তবে একটু উষ্ণ আর জলে ছিল শ্যাওলার গন্ধ। না উঠেই হাতেলটা ছিল পরিকার একটু জল নিয়ে খেয়ে ফেললুম। তারপর হাতে মাথা রেকের কোতোকতে একটু করলুম।
এখন কী করা? আবার বাড়ি ফেরা, কিংবা ইশকুলে যাওয়া আর সম্ভব ছিল না। আবার ভাবলুম, কিন্তু বাড়ি ফিরলেই বা ক্ষতি কী… মাওজারটা বাইরে কোথাও লুকিয়ে রেখে তো অনায়াসে বাড়ি ফেরা চলে। মা অবিশ্যি কয়েক দিন একটু রাগারাগি করবেন, তারপর সবকিছু ভুলে যাবেন। আসলে মা-রই তো দোষ, উনি ওভাবে আমার কাছ থেকে লুকিয়ে মাওজারটা নিতে গেলেন কেন?
কিন্তু কিন্তু যদি রক্ষী-বাহিনীর লোকেরা আসে? যদি বলি পিস্তলটা হারিয়ে গেছে ওরা বিশ্বাস করবে না। যদি বলি ওটা আমার নয়, তাহলে ওরা জানতে চাইবে, ওটা কার। যদি আমি কোনো কথা না বলি, ওরা সত্যিই আমায় জেলে ভরে রাখতে পারে! আচ্ছা, ফেদুকাটা কী শয়তান! ধেড়ে ই’দুর কোথাকার!
বনপ্রান্তের অল্প অল্প গাছপালার ফাঁক দিয়ে তখন রেলস্টেশনটা দেখা যাচ্ছিল।
‘কু-উ-উ-উ!’ দূর থেকে রেল-এঞ্জিনের বাঁশির আওয়াজ ভেসে এল। কাঁপা-কাঁপা শাদা ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ল গাছের মাথা-বরাবর। আর অত দূর থেকে ঠিক যেন গুবরে-পোকার মতো একটা কালোরঙের এঞ্জিন দূরের একটা মোড় ঘুরে আস্তে- আন্তে এগিয়ে আসতে লাগল।

জনপ্রিয় সংবাদ

পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৮)

০৮:০০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

একেবারে বনের ধারে এসে তবে দম নেবার জন্যে দাঁড়ালুম। জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে-নিতে এক জায়গায় জড়-করা শুকনো পাতার ওপর শুয়ে পড়লুম।
মাঝে মাঝে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগল,ম, কেউ আমার পিছু নিয়েছে কিনা তাই দেখতে। একটা ছোট্ট স্রোত আমার পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল। জড়িয়েছ কবিকার, তবে একটু উষ্ণ আর জলে ছিল শ্যাওলার গন্ধ। না উঠেই হাতেলটা ছিল পরিকার একটু জল নিয়ে খেয়ে ফেললুম। তারপর হাতে মাথা রেকের কোতোকতে একটু করলুম।
এখন কী করা? আবার বাড়ি ফেরা, কিংবা ইশকুলে যাওয়া আর সম্ভব ছিল না। আবার ভাবলুম, কিন্তু বাড়ি ফিরলেই বা ক্ষতি কী… মাওজারটা বাইরে কোথাও লুকিয়ে রেখে তো অনায়াসে বাড়ি ফেরা চলে। মা অবিশ্যি কয়েক দিন একটু রাগারাগি করবেন, তারপর সবকিছু ভুলে যাবেন। আসলে মা-রই তো দোষ, উনি ওভাবে আমার কাছ থেকে লুকিয়ে মাওজারটা নিতে গেলেন কেন?
কিন্তু কিন্তু যদি রক্ষী-বাহিনীর লোকেরা আসে? যদি বলি পিস্তলটা হারিয়ে গেছে ওরা বিশ্বাস করবে না। যদি বলি ওটা আমার নয়, তাহলে ওরা জানতে চাইবে, ওটা কার। যদি আমি কোনো কথা না বলি, ওরা সত্যিই আমায় জেলে ভরে রাখতে পারে! আচ্ছা, ফেদুকাটা কী শয়তান! ধেড়ে ই’দুর কোথাকার!
বনপ্রান্তের অল্প অল্প গাছপালার ফাঁক দিয়ে তখন রেলস্টেশনটা দেখা যাচ্ছিল।
‘কু-উ-উ-উ!’ দূর থেকে রেল-এঞ্জিনের বাঁশির আওয়াজ ভেসে এল। কাঁপা-কাঁপা শাদা ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ল গাছের মাথা-বরাবর। আর অত দূর থেকে ঠিক যেন গুবরে-পোকার মতো একটা কালোরঙের এঞ্জিন দূরের একটা মোড় ঘুরে আস্তে- আন্তে এগিয়ে আসতে লাগল।